আইএসআইয়ের দুজন কর্মকর্তা মুম্বাই হামলায় সহায়তা দেন
মুম্বাই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলি বলেছেন, মেজর ইকবাল ওরফে চৌধুরী খান ও মেজর সামির নামে পাকিস্তানের দুজন কর্মকর্তা তাঁকে হামলার ব্যাপারে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, তাঁরা দুজনই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কর্মকর্তা। তাঁদের সঙ্গে বিশেষ করে মেজর ইকবালের ই-মেইলে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের একটি আদালতে হেডলি এসব কথা জানান।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হেডলি জানান, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা (এলইটি) নেতা ও জামাত-উদ-দাওয়ার (জেডইউডি) প্রধান হাফিজ সাঈদ তাঁকে জিহাদে উদ্বুদ্ধ করেন। হাফিজ সাঈদ তাঁকে বলেন, ‘জিহাদে এক সেকেন্ড সময় দেওয়া শত শত বছর ইবাদতে মশগুল থাকার চেয়ে উত্তম।’
হেডলি আদালতকে বলেন, এমনিতেই তিনি ভারতবিদ্বেষী ছিলেন। তিনি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গিয়ে ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাফিজ সাঈদ তাঁকে বলেন, যেহেতু তিনি মার্কিন নাগরিক, সেহেতু তাঁকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
হেডলি বলেন, ২০০৪ সালে পাকিস্তানে লস্কর নেতা হাফিজ সাঈদ ও জাকিউর রহমান লাখভির সঙ্গে তাঁর কথা হয়। সেখানে তাঁরা মুম্বাই হামলার প্রাথমিক পরিকল্পনা করেন। ওই দুই জঙ্গি নেতা তাঁকে জানান, এ বিষয়ে আইএসআইয়ের সঙ্গে তাঁরা পরামর্শ করবেন। হেডলি আদালতকে বলেন, তিনি তখন জানতে পারেন, আইএসআই অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে তাঁদের সাহায্য করছিল। তিনি বলেন, লাখভি তাঁকে জানান, আইএসআই কর্মকর্তা মেজর ইকবাল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এর পরই মেজর ইকবালের সঙ্গে তাঁর ই-মেইলে যোগাযোগ হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, ইকবালের সঙ্গে মোট ২০ বার হেডলির ই-মেইল বার্তা চালাচালি হয়। এর মাধ্যমে তাঁরা মুম্বাই হামলার বিষয়ে নানা তথ্য আদান-প্রদান করেন। এ ছাড়া তাঁরা ভারতের উগ্রপন্থী সংগঠন শিব সেনার প্রধান বাল ঠাকরেকে হত্যা করা যায় কি না তা নিয়েও মতবিনিময় করেন।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ের দুটি হোটেল, রেলস্টেশনসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলায় ১৬৬ জন মারা যায়। ভারতের অভিযোগ, লস্কর-ই-তাইয়েবা ওই হামলা চালায়। ২০১০ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তান যাওয়ার সময় হেডলিকে আটক করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হেডলি জানান, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা (এলইটি) নেতা ও জামাত-উদ-দাওয়ার (জেডইউডি) প্রধান হাফিজ সাঈদ তাঁকে জিহাদে উদ্বুদ্ধ করেন। হাফিজ সাঈদ তাঁকে বলেন, ‘জিহাদে এক সেকেন্ড সময় দেওয়া শত শত বছর ইবাদতে মশগুল থাকার চেয়ে উত্তম।’
হেডলি আদালতকে বলেন, এমনিতেই তিনি ভারতবিদ্বেষী ছিলেন। তিনি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গিয়ে ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাফিজ সাঈদ তাঁকে বলেন, যেহেতু তিনি মার্কিন নাগরিক, সেহেতু তাঁকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
হেডলি বলেন, ২০০৪ সালে পাকিস্তানে লস্কর নেতা হাফিজ সাঈদ ও জাকিউর রহমান লাখভির সঙ্গে তাঁর কথা হয়। সেখানে তাঁরা মুম্বাই হামলার প্রাথমিক পরিকল্পনা করেন। ওই দুই জঙ্গি নেতা তাঁকে জানান, এ বিষয়ে আইএসআইয়ের সঙ্গে তাঁরা পরামর্শ করবেন। হেডলি আদালতকে বলেন, তিনি তখন জানতে পারেন, আইএসআই অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে তাঁদের সাহায্য করছিল। তিনি বলেন, লাখভি তাঁকে জানান, আইএসআই কর্মকর্তা মেজর ইকবাল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এর পরই মেজর ইকবালের সঙ্গে তাঁর ই-মেইলে যোগাযোগ হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, ইকবালের সঙ্গে মোট ২০ বার হেডলির ই-মেইল বার্তা চালাচালি হয়। এর মাধ্যমে তাঁরা মুম্বাই হামলার বিষয়ে নানা তথ্য আদান-প্রদান করেন। এ ছাড়া তাঁরা ভারতের উগ্রপন্থী সংগঠন শিব সেনার প্রধান বাল ঠাকরেকে হত্যা করা যায় কি না তা নিয়েও মতবিনিময় করেন।
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ের দুটি হোটেল, রেলস্টেশনসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলায় ১৬৬ জন মারা যায়। ভারতের অভিযোগ, লস্কর-ই-তাইয়েবা ওই হামলা চালায়। ২০১০ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তান যাওয়ার সময় হেডলিকে আটক করা হয়।
No comments