বার্সেলোনা না ম্যানইউ?
এই বার্সাই সেরা
মানের দিক দিয়ে সেরা না হয়েও সাফল্য পাচ্ছে এই ম্যানইউ—এমন একটা আলোচনা বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। এই আলোচনায় অংশ নেবেন না সেটা আগেই বলেছেন। তবে সাগ্রহে লিওনেল মেসি জানালেন, তাঁর দেখা বার্সেলোনার এবারের দলটাই সেরা, ‘এটা নিশ্চিত, আমার খেলা দলগুলোর মধ্যে এই বার্সেলোনাই সেরা। দলের খেলোয়াড়দের অনেকেই মানের দিক দিয়ে কয়েক বছর আগে যেমন ছিল, এখনো তেমনই আছে। কিন্তু আমাদের সবারই বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটোই বেড়েছে। গার্দিওলার মতো আমরা একজন সেরা কোচও পেয়েছি। তিনি সব সময় সেটাই করেন, যেটা তাঁর জন্য নয়, বরং দলের জন্য ভালো। বার্সেলোনা কীভাবে খেলে, কেমন আচরণ করে, সেটারই প্রতীক যেন তিনি।’
মেসির এই মন্তব্যের শেষ বাক্যটায় মরিনহো আর রিয়ালকে খোঁচা দেওয়ার ইঙ্গিত অনেকে খুঁজে পেতে পারেন। তবে অন্যকে হেয় না করেই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের জয়গান গাইতে চান মেসি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এখন পর্যন্ত ১১ গোল করা এই খুদে জাদুকর বলছেন, ফেবারিট-টেবারিটের হিসাব দিয়ে নয়; এবারও শিরোপা জিততে চান। কারণ, চ্যাম্পিয়নস লিগ ‘স্পেশাল’ একটা টুর্নামেন্ট, ‘বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়নস লিগই আমার কাছে সেরা টুর্নামেন্ট। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়েরাই এখানে খেলে। সেরা দুটো দলই ফাইনালে উঠে আসে। আর তাই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলতে পারাটাই অনেক গর্বের।’ তিনটি শিরোপা জিততে পারা নিশ্চয়ই আরও বড় গর্বের। মেসির সামনে এখনো তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ! ওয়েবসাইট।
রুনি আছে, সাবধান
মৌসুমে ৫২ গোল করেছেন, এর অনেক গোলের ছবিই ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। চ্যাম্পিয়নস লিগেও ১১ গোল। স্বাভাবিকভাবেই ‘মেসি মেসি’ রব উঠেছে। ২০০৯ সালের ফাইনালটির মতো এবারও না মেসিতেই শেষ হয় ম্যানইউর আশা! তবে এরই ফাঁকে একজন খুব দামি একটা কথা বলেছেন। বলেছেন, ওদের দলেও ওয়েইন রুনি নামের একজন ‘ডেঞ্জারম্যান’ আছে। তাই সাবধান। এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন রুনিরই একসময়ের ম্যানইউ-সতীর্থ জেরার্ড পিকে। গত মৌসুমে দুর্দান্ত খেলেছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপ থেকেই রুনি যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন। এই মৌসুমের প্রথমার্ধ তাঁর জন্য বিস্মরণযোগ্য। মাঝে তো ম্যানইউ ছেড়ে যাওয়ার জন্য মরিয়াই হয়ে গেলেন। কিন্তু দুই মাস ধরে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। শুরুর হতাশাও রুনি শেষের আনন্দ দিয়ে মুছে ফেলতে চাইবেন। এএফপি।
ইতোর সমর্থন
ফাইনালে সেই দুই দল মুখোমুখি বলে ২০০৯ সালের স্মৃতি অনেকেরই মনের পর্দায় ভেসে আসছে। এই স্মৃতিও ভেসে আসছে, সেবার শুরুটা ম্যানইউ দারুণ করেছিল। কিন্তু প্রথম গোলের পরই ছবিটা পাল্টে যেতে থাকল। ম্যাচের লাগাম পুরোপুরি নিয়ে নিল বার্সা। সেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া গোলটা কিন্তু করেছিলেন স্যামুয়েল ইতো।
ক্যামেরুনিয়ান এই স্ট্রাইকার ওই মৌসুমের পরই বার্সা ছেড়ে গেছেন। আসলে অনেকটা তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধেই বার্সা ইন্টার মিলানে তাঁকে বিক্রি করে দিয়েছিল। তবে ইতো এখনো নিজেকে বার্সারই একজন ভাবেন। বার্সেলোনার হয়ে দুটো চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা, দুটো ফাইনালেই দলের প্রথম গোলটি করা ইতো বলছেন, ‘আমি অবশ্যই চাই বার্সেলোনা জিতুক। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটি আগে বলা সম্ভব নয়। ২০০৯ সালের পর বার্সা, ম্যানইউ দুই দলই উন্নতি করেছে। আমি তাই একটা সুন্দর ফাইনালের প্রত্যাশাই করছি। মেসি তো নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। আর হাভিয়ের হার্নান্দেজও এই মৌসুমে দারুণ করেছে।’ বার্সার প্রতি সমর্থন দিয়েও কি একটু নিরপেক্ষতার ভারসাম্য আনতে চাইলেন ইতো? ওয়েবসাইট।
বলছেন লিনেকার
ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারদের একজন। আর একটা গোল করতে পারলে ববি চার্লটনের ইংলিশ রেকর্ড ৪৯ গোল ছুঁয়ে ফেলতেন। খেলা ছাড়ার পরও বিশেষজ্ঞ হিসেবে যথেষ্ট নামী গ্যারি লিনেকার। নিজেও তিনটি মৌসুম খেলেছেন বার্সেলোনায়। তবে লিনেকার এখানে নিরপেক্ষ বিশ্লেষক। একদিকে ম্যানইউ তাঁর দেশেরই দল, অন্যদিকে তাঁরই সাবেক ক্লাব—পক্ষপাতদুষ্ট হওয়াটা কঠিন।
তার পরও লিনেকারকে বার্সা-সমর্থক মনে হতে পারে। কারণ, ৫০ বছর বয়সী এই ‘তরুণ’ বলছেন, ‘বার্সেলোনা তাদের মতো খেলছে, ওরাই জিতবে। ইউনাইটেডকে জিততে হলে আসলে বার্সেলোনার একটা বাজে দিন যেতে হবে। যদিও নিজেদের দেশে খেলা বলে বড় সমর্থন ওরা পাবে। তা ছাড়া এখানে ফিরতি লেগও নেই—এটাও অনেক বড় সুবিধা।’ সেই সুবিধা শেষ পর্যন্ত ম্যানইউর কোনো কাজে নাও আসতে পারে। কারণ লিনেকারের মতে, এই বার্সেলোনা সর্বকালেরই সেরা দল হওয়ার সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে।
মানের দিক দিয়ে সেরা না হয়েও সাফল্য পাচ্ছে এই ম্যানইউ—এমন একটা আলোচনা বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। এই আলোচনায় অংশ নেবেন না সেটা আগেই বলেছেন। তবে সাগ্রহে লিওনেল মেসি জানালেন, তাঁর দেখা বার্সেলোনার এবারের দলটাই সেরা, ‘এটা নিশ্চিত, আমার খেলা দলগুলোর মধ্যে এই বার্সেলোনাই সেরা। দলের খেলোয়াড়দের অনেকেই মানের দিক দিয়ে কয়েক বছর আগে যেমন ছিল, এখনো তেমনই আছে। কিন্তু আমাদের সবারই বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটোই বেড়েছে। গার্দিওলার মতো আমরা একজন সেরা কোচও পেয়েছি। তিনি সব সময় সেটাই করেন, যেটা তাঁর জন্য নয়, বরং দলের জন্য ভালো। বার্সেলোনা কীভাবে খেলে, কেমন আচরণ করে, সেটারই প্রতীক যেন তিনি।’
মেসির এই মন্তব্যের শেষ বাক্যটায় মরিনহো আর রিয়ালকে খোঁচা দেওয়ার ইঙ্গিত অনেকে খুঁজে পেতে পারেন। তবে অন্যকে হেয় না করেই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের জয়গান গাইতে চান মেসি। চ্যাম্পিয়নস লিগে এখন পর্যন্ত ১১ গোল করা এই খুদে জাদুকর বলছেন, ফেবারিট-টেবারিটের হিসাব দিয়ে নয়; এবারও শিরোপা জিততে চান। কারণ, চ্যাম্পিয়নস লিগ ‘স্পেশাল’ একটা টুর্নামেন্ট, ‘বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়নস লিগই আমার কাছে সেরা টুর্নামেন্ট। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়েরাই এখানে খেলে। সেরা দুটো দলই ফাইনালে উঠে আসে। আর তাই চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলতে পারাটাই অনেক গর্বের।’ তিনটি শিরোপা জিততে পারা নিশ্চয়ই আরও বড় গর্বের। মেসির সামনে এখনো তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ! ওয়েবসাইট।
রুনি আছে, সাবধান
মৌসুমে ৫২ গোল করেছেন, এর অনেক গোলের ছবিই ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো। চ্যাম্পিয়নস লিগেও ১১ গোল। স্বাভাবিকভাবেই ‘মেসি মেসি’ রব উঠেছে। ২০০৯ সালের ফাইনালটির মতো এবারও না মেসিতেই শেষ হয় ম্যানইউর আশা! তবে এরই ফাঁকে একজন খুব দামি একটা কথা বলেছেন। বলেছেন, ওদের দলেও ওয়েইন রুনি নামের একজন ‘ডেঞ্জারম্যান’ আছে। তাই সাবধান। এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন রুনিরই একসময়ের ম্যানইউ-সতীর্থ জেরার্ড পিকে। গত মৌসুমে দুর্দান্ত খেলেছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপ থেকেই রুনি যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন। এই মৌসুমের প্রথমার্ধ তাঁর জন্য বিস্মরণযোগ্য। মাঝে তো ম্যানইউ ছেড়ে যাওয়ার জন্য মরিয়াই হয়ে গেলেন। কিন্তু দুই মাস ধরে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। শুরুর হতাশাও রুনি শেষের আনন্দ দিয়ে মুছে ফেলতে চাইবেন। এএফপি।
ইতোর সমর্থন
ফাইনালে সেই দুই দল মুখোমুখি বলে ২০০৯ সালের স্মৃতি অনেকেরই মনের পর্দায় ভেসে আসছে। এই স্মৃতিও ভেসে আসছে, সেবার শুরুটা ম্যানইউ দারুণ করেছিল। কিন্তু প্রথম গোলের পরই ছবিটা পাল্টে যেতে থাকল। ম্যাচের লাগাম পুরোপুরি নিয়ে নিল বার্সা। সেই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া গোলটা কিন্তু করেছিলেন স্যামুয়েল ইতো।
ক্যামেরুনিয়ান এই স্ট্রাইকার ওই মৌসুমের পরই বার্সা ছেড়ে গেছেন। আসলে অনেকটা তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধেই বার্সা ইন্টার মিলানে তাঁকে বিক্রি করে দিয়েছিল। তবে ইতো এখনো নিজেকে বার্সারই একজন ভাবেন। বার্সেলোনার হয়ে দুটো চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা, দুটো ফাইনালেই দলের প্রথম গোলটি করা ইতো বলছেন, ‘আমি অবশ্যই চাই বার্সেলোনা জিতুক। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেটি আগে বলা সম্ভব নয়। ২০০৯ সালের পর বার্সা, ম্যানইউ দুই দলই উন্নতি করেছে। আমি তাই একটা সুন্দর ফাইনালের প্রত্যাশাই করছি। মেসি তো নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। আর হাভিয়ের হার্নান্দেজও এই মৌসুমে দারুণ করেছে।’ বার্সার প্রতি সমর্থন দিয়েও কি একটু নিরপেক্ষতার ভারসাম্য আনতে চাইলেন ইতো? ওয়েবসাইট।
বলছেন লিনেকার
ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকারদের একজন। আর একটা গোল করতে পারলে ববি চার্লটনের ইংলিশ রেকর্ড ৪৯ গোল ছুঁয়ে ফেলতেন। খেলা ছাড়ার পরও বিশেষজ্ঞ হিসেবে যথেষ্ট নামী গ্যারি লিনেকার। নিজেও তিনটি মৌসুম খেলেছেন বার্সেলোনায়। তবে লিনেকার এখানে নিরপেক্ষ বিশ্লেষক। একদিকে ম্যানইউ তাঁর দেশেরই দল, অন্যদিকে তাঁরই সাবেক ক্লাব—পক্ষপাতদুষ্ট হওয়াটা কঠিন।
তার পরও লিনেকারকে বার্সা-সমর্থক মনে হতে পারে। কারণ, ৫০ বছর বয়সী এই ‘তরুণ’ বলছেন, ‘বার্সেলোনা তাদের মতো খেলছে, ওরাই জিতবে। ইউনাইটেডকে জিততে হলে আসলে বার্সেলোনার একটা বাজে দিন যেতে হবে। যদিও নিজেদের দেশে খেলা বলে বড় সমর্থন ওরা পাবে। তা ছাড়া এখানে ফিরতি লেগও নেই—এটাও অনেক বড় সুবিধা।’ সেই সুবিধা শেষ পর্যন্ত ম্যানইউর কোনো কাজে নাও আসতে পারে। কারণ লিনেকারের মতে, এই বার্সেলোনা সর্বকালেরই সেরা দল হওয়ার সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে।
No comments