অস্ট্রেলিয়ানরা বিস্মিত নন!
যাঁকে লক্ষ্য করে ডিয়েগো ম্যারাডোনা বোমাটা ছুড়েছেন, সেই হুলিও গ্রন্ডোনা এখনো চুপ, মুখে রা পর্যন্ত করেননি আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। কিন্তু ম্যারাডোনার সেই সময়ের সতীর্থরা বলেছেন, জ্ঞাতসারে কোনো পারফরম্যান্স-বর্ধক ড্রাগ তাঁরা নেননি। ‘কফির সঙ্গে ড্রাগ নেওয়ার’ অভিযোগ উড়িয়েই দিয়েছেন তাঁরা। আর অস্ট্রেলিয়ানরা ম্যারাডোনার মন্তব্যে মোটেও বিস্মিত নন, বরং এত দিন পর তাঁদের মনে হচ্ছে, আর্জেন্টাইনরা নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়েও থাকতে পারেন।
গ্রন্ডোনাকে খোঁচাতে গিয়েই ম্যারাডোনা টেনে বের করেছেন থলের বিড়াল। অভিযোগ করেছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৯৩ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফিরতি ম্যাচ খেলার আগে নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়েছিল পুরো আর্জেন্টিনা দল। ফিফার প্রভাবশালী কর্মকর্তা ও আর্জেন্টাইন ফুটবল সংস্থার (এএফএ) প্রধান গ্রন্ডোনাই স্বয়ং এই পরিকল্পনার অংশ ছিলেন। বুয়েনস এইরেসের ওই ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের ডোপ পরীক্ষা দিতে হয়নি বলেও দাবি ম্যারাডোনার।
ম্যারাডোনার এই দাবির সঙ্গে তাঁর সতীর্থরা একমত, আগের ১০টি ম্যাচে ডোপ পরীক্ষা হলেও ওই ম্যাচে হয়নি। তবে জেনে-শুনে তাঁরা ড্রাগ নিয়েছেন, এটি মানতে পারছেন না। মিডফিল্ডার হুগো পেরেজ বলেছেন, ‘আমরা জানতাম, ওই ম্যাচের কয়েক দিন আগে আমরা ডোপ টেস্টে অংশ নিইনি, কিন্তু আমাদের কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণও ছিল না। আমরা স্রেফ খেলায় মনোযোগী ছিলাম। কিন্তু ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ ছিল না বলে ডিয়েগো যা বলছে, এটা সত্য।’ পেরেজের কথা, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলাটা কঠিন। কারণ, এটা অনেক আগের বিষয়। যদিও মনে করতে পারছেন যে খেলোয়াড়েরা পানি কিংবা কফি খেয়েছিলেন।
ডিফেন্ডার হোসে চামোতের দাবি, সেখানে ডোপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকলেও অবৈধ কোনো বস্তু নেওয়া যে ‘অবৈধ’, সেটি তাঁরা জানতেন। ‘আমার ওই সবের প্রয়োজন ছিল না। মাঝেমধ্যে আমাদের ভ্রমণের জন্য ভিটামিন দেওয়া হতো। কিন্তু এর বেশি কিছু না। যদি দলকে দ্রুত দৌড়ানোর জন্য কোনো কিছু দেওয়া হয়েই থাকে, আমি অন্তত তার মধ্যে ছিলাম না’—লিব্রে পত্রিকাকে বলেছেন চামোত।
আরেক সতীর্থ ডিফেন্ডার হোর্হে বোরেল্লির দাবি, তিনি কফিই খাননি, ‘আমি কোনো “উত্তেজনাবর্ধক কফি”ই খাইনি। আমি স্রেফ চা এবং কোমল পানীয় পান করেছিলাম।’
ম্যারাডোনার সতীর্থদের ঠিক বিপরীত অবস্থানে অস্ট্রেলিয়ার সেই সময়ের অধিনায়ক পল ওয়েড। শুধু বুয়েনস এইরেসের ফিরতি ম্যাচেই নয়, সাবেক সকারু অধিনায়কের বিশ্বাস, আর্জেন্টাইনরা ‘প্রতারণা’ করে থাকতে পারেন দুটি ম্যাচেই। দ্য অস্ট্রেলিয়ানকে ওয়েড বলেছেন, ‘আমার মনে আছে, যখন আমরা ফিরতি ম্যাচটি খেলার জন্য সেখানে যাই, আর্জেন্টিনার সভাপতি বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কোনো কিছু ভাবাই যায় না। তিনি বলেছিলেন, তারা হারলে সেখানে জাতীয় শোক দিবস পালিত হবে।’
ওয়েড এর পরই বলেছেন, ‘যদি তারা ওই বস্তু (ড্রাগ) নিয়েও থাকে, আমি বিস্মিত হব না। তারা তুলনামূলক একটি অনগ্রসর দেশের সঙ্গে খেলছিল। এবং আমরা যদি তাদের হারিয়ে দিতাম, আপনি কল্পনা করতে পারেন, কী ঘটত?
গ্রন্ডোনাকে খোঁচাতে গিয়েই ম্যারাডোনা টেনে বের করেছেন থলের বিড়াল। অভিযোগ করেছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৯৩ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফিরতি ম্যাচ খেলার আগে নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়েছিল পুরো আর্জেন্টিনা দল। ফিফার প্রভাবশালী কর্মকর্তা ও আর্জেন্টাইন ফুটবল সংস্থার (এএফএ) প্রধান গ্রন্ডোনাই স্বয়ং এই পরিকল্পনার অংশ ছিলেন। বুয়েনস এইরেসের ওই ম্যাচের আগে খেলোয়াড়দের ডোপ পরীক্ষা দিতে হয়নি বলেও দাবি ম্যারাডোনার।
ম্যারাডোনার এই দাবির সঙ্গে তাঁর সতীর্থরা একমত, আগের ১০টি ম্যাচে ডোপ পরীক্ষা হলেও ওই ম্যাচে হয়নি। তবে জেনে-শুনে তাঁরা ড্রাগ নিয়েছেন, এটি মানতে পারছেন না। মিডফিল্ডার হুগো পেরেজ বলেছেন, ‘আমরা জানতাম, ওই ম্যাচের কয়েক দিন আগে আমরা ডোপ টেস্টে অংশ নিইনি, কিন্তু আমাদের কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণও ছিল না। আমরা স্রেফ খেলায় মনোযোগী ছিলাম। কিন্তু ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ ছিল না বলে ডিয়েগো যা বলছে, এটা সত্য।’ পেরেজের কথা, এ বিষয়ে বিস্তারিত বলাটা কঠিন। কারণ, এটা অনেক আগের বিষয়। যদিও মনে করতে পারছেন যে খেলোয়াড়েরা পানি কিংবা কফি খেয়েছিলেন।
ডিফেন্ডার হোসে চামোতের দাবি, সেখানে ডোপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না থাকলেও অবৈধ কোনো বস্তু নেওয়া যে ‘অবৈধ’, সেটি তাঁরা জানতেন। ‘আমার ওই সবের প্রয়োজন ছিল না। মাঝেমধ্যে আমাদের ভ্রমণের জন্য ভিটামিন দেওয়া হতো। কিন্তু এর বেশি কিছু না। যদি দলকে দ্রুত দৌড়ানোর জন্য কোনো কিছু দেওয়া হয়েই থাকে, আমি অন্তত তার মধ্যে ছিলাম না’—লিব্রে পত্রিকাকে বলেছেন চামোত।
আরেক সতীর্থ ডিফেন্ডার হোর্হে বোরেল্লির দাবি, তিনি কফিই খাননি, ‘আমি কোনো “উত্তেজনাবর্ধক কফি”ই খাইনি। আমি স্রেফ চা এবং কোমল পানীয় পান করেছিলাম।’
ম্যারাডোনার সতীর্থদের ঠিক বিপরীত অবস্থানে অস্ট্রেলিয়ার সেই সময়ের অধিনায়ক পল ওয়েড। শুধু বুয়েনস এইরেসের ফিরতি ম্যাচেই নয়, সাবেক সকারু অধিনায়কের বিশ্বাস, আর্জেন্টাইনরা ‘প্রতারণা’ করে থাকতে পারেন দুটি ম্যাচেই। দ্য অস্ট্রেলিয়ানকে ওয়েড বলেছেন, ‘আমার মনে আছে, যখন আমরা ফিরতি ম্যাচটি খেলার জন্য সেখানে যাই, আর্জেন্টিনার সভাপতি বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কোনো কিছু ভাবাই যায় না। তিনি বলেছিলেন, তারা হারলে সেখানে জাতীয় শোক দিবস পালিত হবে।’
ওয়েড এর পরই বলেছেন, ‘যদি তারা ওই বস্তু (ড্রাগ) নিয়েও থাকে, আমি বিস্মিত হব না। তারা তুলনামূলক একটি অনগ্রসর দেশের সঙ্গে খেলছিল। এবং আমরা যদি তাদের হারিয়ে দিতাম, আপনি কল্পনা করতে পারেন, কী ঘটত?
No comments