সেই জ্বালা ফিরিয়ে দিল বার্সা
গত বছর ২৮ এপ্রিল এই ন্যু ক্যাম্পেই উদ্বাহু নৃত্য করেছিলেন, বিজয়োল্লাসে ভোঁ দৌড় দিয়েছিলেন মাঠের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত। গত পরশু হোসে মরিনহোকে খুঁজে পাওয়া গেল না বার্সেলোনার মাঠে। হয়তো ছিলেন, ভিআইপি গ্যালারির কাচঘেরা সুশীতল আড়ালে। ম্যাচ শেষে কী করলেন জানা গেল না। তবে প্রতিশোধের আনন্দে উদ্বাহু নৃত্য করল বার্সেলোনা, সঙ্গে ভোঁ দৌড়। প্রতিশোধ! এই মরিনহোর ইন্টার মিলানই গতবার সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে দিয়েছিল বার্সেলোনাকে।
গতবার ফিরতি লেগে ১-০ গোলে জিতেও মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়েছিল বার্সা। শোকস্তব্ধ ছিল ন্যু ক্যাম্প। আর পরশু মরিনহোর এবারের দল রিয়ালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র ম্যাচেও তারা উল্লাস করল দুকূলপ্লাবী আনন্দে। দুই লেগ মিলে যে ৩-১ ব্যবধানে ওয়েম্বলির ফাইনালের টিকিট পেয়ে গেল পেপ গার্দিওলার দল; ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামেই ১৯৯২ সালে সর্বপ্রথম ইউরোপ-সেরার মুকুট পরেছিল বার্সেলোনা। সেই দলেরই খেলোয়াড় গার্দিওলার সামনে এখন একই মাঠে কোচ হিসেবেও শিরোপা জেতার সুবর্ণ সুযোগ।
ম্যাচটা ড্র হলেও ফুটবলীয় শক্তি-সামর্থ্য-সৌন্দর্য প্রকাশের দিক দিয়ে জয়ী বার্সেলোনাই। প্রায় একতরফা প্রথমার্ধে রিয়াল অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস দুর্দান্ত তিনটি সেভ না করলে প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকে না। প্রথমার্ধের ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি দ্বিতীয়ার্ধে মাঝারি বর্ষণে রূপ নেওয়ার পর পাল্টে যায় ম্যাচের চেহারাও। ১০ মিনিটের মাথায় ইনিয়েস্তার দারুণ এক থ্রু থেকে গোল করেছেন পেদ্রো। খাদের কিনারে এক পা চলে যাওয়ার শিহরণ পেয়েই যেন গা ঝাড়া দেয় মাদ্রিদীয় অহং। দারুণ পাল্টা আক্রমণে ১০ মিনিটেই গোল শোধ করে দেন মার্সেলো, যাঁকে ‘মনো, মনো’ বলে নাকি প্রথম লেগে উত্ত্যক্ত করেছিলেন বুসকেটস। শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইন ওই ১-১-ই। অবশ্য রিয়ালের একটি গোল বাতিল হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। গঞ্জালো হিগুয়েইন বল জালে ঢোকানোর আগেই মাচেরানোকে ফাউল করার দায়ে রোনালদোর বিপক্ষে ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি।
মার্সেলোর ওই গোলটাই বার্সার গোলমুখে নেওয়া রিয়ালের একমাত্র শট, যেখানে বার্সেলোনা গোলে শট নিয়েছিল ছয়টি। বার্সা যথারীতি বল দখলে রাখার লড়াইয়ে নিরঙ্কুশ বিজয়ী, ৬৯ শতাংশ বল দখল। বার্সাময় ম্যাচ। যদিও পরশু দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ আইতর কারাঙ্কার অধীনে আক্রমণাত্মক মেজাজেই খেলেছে রিয়াল। শুরুতেই আক্রমণভাগে রোনালদো, হিগুয়েইন, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার সঙ্গে ছিলেন কাকাও। প্রথম ১০ মিনিটে অবশ্য রোনালদোর দারুণ কিছু ঝলকও ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলার জন্য রিয়ালের অপেক্ষাটা গড়াল দশম বছরে।
অন্যদিকে এখন বার্সা এখন অপেক্ষায় তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার ইউরোপ-সেরার মুকুট পরার। ২৮ মের ফাইনালে ওয়েম্বলিতে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ঠিক হয়ে গেছে কাল রাতের অন্য সেমিফাইনালে। ধারণা ছিল, ২০০৮-০৯-এর ফাইনালেরই পুনরাবৃত্তি হবে। বার্সা মুখোমুখি হবে ম্যানইউর। গার্দিওলাও ম্যানইউকেই সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ধরে আগাম ছক কাটা শুরু করে দিয়েছিলেন, ‘আমরা আগামীকালের (বুধবার) ম্যাচটি দেখব। তবে মনে হচ্ছে ম্যানচেস্টারই ফাইনালে যাবে। ওরা শেষ মুহূর্তে প্রাণপণ লড়াই-ই করবে। আমরাও কিন্তু ফাইনালে ছাড় দেব না। ওদের দুর্বল জায়গা খুঁজে বের করে আঘাত হানব।’
ওয়েম্বলির ফাইনাল যে তাঁর জন্য বিশেষ কিছু, সেটিও জানিয়েছেন ৪০ বছর বয়সেই কোচ হিসেবে দুটি ইউরোপ-সেরা ট্রফি জয়ের সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গার্দিওলা, ‘আমরা আবার ওয়েম্বলিতে খেলব। এটা অনেক সম্মানের। ফুটবল তার নিজের ঘরে ফিরছে। জানি না ওই ম্যাচে সবাই ম্যানইউকেই সমর্থন দেবে কিনা। তবে পুরো বিশ্বকে আমরা আমাদের ফুটবল স্টাইল দেখিয়ে মুগ্ধ করার চেষ্টা করব।
গতবার ফিরতি লেগে ১-০ গোলে জিতেও মাথা নিচু করে মাঠ ছেড়েছিল বার্সা। শোকস্তব্ধ ছিল ন্যু ক্যাম্প। আর পরশু মরিনহোর এবারের দল রিয়ালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র ম্যাচেও তারা উল্লাস করল দুকূলপ্লাবী আনন্দে। দুই লেগ মিলে যে ৩-১ ব্যবধানে ওয়েম্বলির ফাইনালের টিকিট পেয়ে গেল পেপ গার্দিওলার দল; ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামেই ১৯৯২ সালে সর্বপ্রথম ইউরোপ-সেরার মুকুট পরেছিল বার্সেলোনা। সেই দলেরই খেলোয়াড় গার্দিওলার সামনে এখন একই মাঠে কোচ হিসেবেও শিরোপা জেতার সুবর্ণ সুযোগ।
ম্যাচটা ড্র হলেও ফুটবলীয় শক্তি-সামর্থ্য-সৌন্দর্য প্রকাশের দিক দিয়ে জয়ী বার্সেলোনাই। প্রায় একতরফা প্রথমার্ধে রিয়াল অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াস দুর্দান্ত তিনটি সেভ না করলে প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকে না। প্রথমার্ধের ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি দ্বিতীয়ার্ধে মাঝারি বর্ষণে রূপ নেওয়ার পর পাল্টে যায় ম্যাচের চেহারাও। ১০ মিনিটের মাথায় ইনিয়েস্তার দারুণ এক থ্রু থেকে গোল করেছেন পেদ্রো। খাদের কিনারে এক পা চলে যাওয়ার শিহরণ পেয়েই যেন গা ঝাড়া দেয় মাদ্রিদীয় অহং। দারুণ পাল্টা আক্রমণে ১০ মিনিটেই গোল শোধ করে দেন মার্সেলো, যাঁকে ‘মনো, মনো’ বলে নাকি প্রথম লেগে উত্ত্যক্ত করেছিলেন বুসকেটস। শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইন ওই ১-১-ই। অবশ্য রিয়ালের একটি গোল বাতিল হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই। গঞ্জালো হিগুয়েইন বল জালে ঢোকানোর আগেই মাচেরানোকে ফাউল করার দায়ে রোনালদোর বিপক্ষে ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি।
মার্সেলোর ওই গোলটাই বার্সার গোলমুখে নেওয়া রিয়ালের একমাত্র শট, যেখানে বার্সেলোনা গোলে শট নিয়েছিল ছয়টি। বার্সা যথারীতি বল দখলে রাখার লড়াইয়ে নিরঙ্কুশ বিজয়ী, ৬৯ শতাংশ বল দখল। বার্সাময় ম্যাচ। যদিও পরশু দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ আইতর কারাঙ্কার অধীনে আক্রমণাত্মক মেজাজেই খেলেছে রিয়াল। শুরুতেই আক্রমণভাগে রোনালদো, হিগুয়েইন, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার সঙ্গে ছিলেন কাকাও। প্রথম ১০ মিনিটে অবশ্য রোনালদোর দারুণ কিছু ঝলকও ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলার জন্য রিয়ালের অপেক্ষাটা গড়াল দশম বছরে।
অন্যদিকে এখন বার্সা এখন অপেক্ষায় তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার ইউরোপ-সেরার মুকুট পরার। ২৮ মের ফাইনালে ওয়েম্বলিতে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ঠিক হয়ে গেছে কাল রাতের অন্য সেমিফাইনালে। ধারণা ছিল, ২০০৮-০৯-এর ফাইনালেরই পুনরাবৃত্তি হবে। বার্সা মুখোমুখি হবে ম্যানইউর। গার্দিওলাও ম্যানইউকেই সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ধরে আগাম ছক কাটা শুরু করে দিয়েছিলেন, ‘আমরা আগামীকালের (বুধবার) ম্যাচটি দেখব। তবে মনে হচ্ছে ম্যানচেস্টারই ফাইনালে যাবে। ওরা শেষ মুহূর্তে প্রাণপণ লড়াই-ই করবে। আমরাও কিন্তু ফাইনালে ছাড় দেব না। ওদের দুর্বল জায়গা খুঁজে বের করে আঘাত হানব।’
ওয়েম্বলির ফাইনাল যে তাঁর জন্য বিশেষ কিছু, সেটিও জানিয়েছেন ৪০ বছর বয়সেই কোচ হিসেবে দুটি ইউরোপ-সেরা ট্রফি জয়ের সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গার্দিওলা, ‘আমরা আবার ওয়েম্বলিতে খেলব। এটা অনেক সম্মানের। ফুটবল তার নিজের ঘরে ফিরছে। জানি না ওই ম্যাচে সবাই ম্যানইউকেই সমর্থন দেবে কিনা। তবে পুরো বিশ্বকে আমরা আমাদের ফুটবল স্টাইল দেখিয়ে মুগ্ধ করার চেষ্টা করব।
No comments