হতাশার আঁধারে মাদ্রিদ
খেলাটেলার ঝামেলায় গিয়ে কাজ নেই। ট্রফিটা সরাসরি বার্সেলোনার হাতেই তুলে দেওয়া হোক! এই ‘আহ্বান’ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। পরশু ম্যাচে রোনালদোর বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে বল জালে ঢুকিয়ে দেন গঞ্জালো হিগুয়েইন। কিন্তু এর আগেই বাঁশি বাজিয়ে দেন বেলজিয়ান রেফারি ফ্রাঙ্ক ডি ব্লিকিয়ার। এ কারণেই ভীষণ চটেছেন রিয়ালের পর্তুগিজ উইঙ্গার। পরশু ম্যাচ শেষে গুরু মরিনহোর ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব’ পুরোপুরি সমর্থন করে বলেছেন, রেফারি সব সময়ই নাকি আনুকূল্য দেয় বার্সাকে!
‘আবারও বাধা হয়ে দাঁড়ালেন রেফারি। আমরা বার্সাকে হারাতে পারতাম। কিন্তু রেফারি সেটি হতে দেননি। হিগুয়েইনের গোলটা ঠিকই ছিল। পিকেই আমাকে ধাক্কা দিয়েছে বলে আমি মাচেরানোর ওপর পড়েছি। লিভারপুলে খেলার সময় মাচেরানো এমনটা ছিল না। ও নির্ঘাত বার্সেলোনাতে এসেই ও এসব প্রতারণা শিখেছে’—বলেছেন রোনালদো। তাঁর দাবি, রেফারিরা সব সময় বার্সাকে জিতিয়ে দেয়, ‘পরের বছর থেকে আমাদের উচিত হবে ঘরে বসে থাকা। বার্সা একাই খেলুক। কাপটা সরাসরি বার্সার হাতে তুলে দেওয়া হোক।’
হিসাব বলছে, এই গোলটা হলেও খুব একটা সুবিধা হতো না রিয়ালের। রোনালদো কিন্তু বলছেন, ‘এই গোলটা হলে খেলার ছবিটাই হয়তো পাল্টে যেত। যারা ফুটবলের খোঁজখবর রাখে, তারা ভালো করেই জানে, বার্সাকে সব সময় আগলে রাখা হয়। আমাদের এই অন্যায় যেন মেনে নিতেই হবে।’ অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াসের দাবিও যেন এ রকম, ‘আগেও এমনটা হয়েছে, এবারও হলো।’
মিডফিল্ডার জাবি আলোনসো বলছেন, ‘অনেক সিদ্ধান্তই আমাদের বিপক্ষে গেছে। আমরা এতে মোটেও সন্তুষ্ট নই। গোলটা বহাল রাখা হলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতো। আমাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হতো। কিন্তু গোল বাতিল করায় আমাদের কাজ অনেক কঠিন হয়ে গেছে।’
ভারপ্রাপ্ত কোচ আইতর কারাঙ্কাও বলছেন, ‘মরিনহো ঠিকই বলেছেন। তিনি আগেই বলেছেন, আমাদের ফাইনালে যাওয়া হবে না। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। টিভিতে কোটি কোটি লোকও সেটি দেখেছে।’
রিয়ালের কোচ-খেলোয়াড়দের মতো ফুঁসে উঠেছে মাদ্রিদভিত্তিক পত্রিকাগুলোও। ‘এটা ছিল মিশন ইম্পসিবল’ শিরোনাম দিয়ে মার্কা লিখেছে, ‘আরেকটি বাজে রেফারিং মাদ্রিদের ফিরে আসার লড়াই ভেস্তে দিল।’ এএস লিখেছে, ‘রেফারি বৈধ গোলটি বাতিল করে দিলেন, যে গোলটি হলে মাদ্রিদ এগিয়ে যেত।’
মাদ্রিদের এই হতাশার আঁধারের উল্টো ছবি বার্সেলোনায়। আনন্দের উজ্জ্বল আলোয় উদ্ভাসিত উৎসব। তারই প্রতিচ্ছবি পত্রিকাগুলোতেও। মুন্দো এল দেপোর্তিভো ‘ছিঁচকাঁদুনে’ মাদ্রিদকে খোঁচাও দিয়েছে এই বলে, রিয়াল বারবার নিজেদের ‘ভিকটিম’ হিসেবে হাজির করছে। আরও বড় খোঁচা দিয়েছে বার্সেলোনা ডেইলি স্পোর্ত লিখেছে, ‘গুডবাই মাদ্রিদ, আমরা ওয়েম্বলিতে যাচ্ছি।’
রিকার্ডো কারভালহো কেন লাল কার্ড দেখল না—এই প্রশ্নও করছে বার্সা শিবিরের একাংশ। তবে সব মিলে রেফারি যে উত্তেজনার বারুদে ঠাসা একটি ম্যাচ ভালোমতো সামাল দিয়েছেন, তারও প্রশংসা করেছে অনেকেই।
‘আবারও বাধা হয়ে দাঁড়ালেন রেফারি। আমরা বার্সাকে হারাতে পারতাম। কিন্তু রেফারি সেটি হতে দেননি। হিগুয়েইনের গোলটা ঠিকই ছিল। পিকেই আমাকে ধাক্কা দিয়েছে বলে আমি মাচেরানোর ওপর পড়েছি। লিভারপুলে খেলার সময় মাচেরানো এমনটা ছিল না। ও নির্ঘাত বার্সেলোনাতে এসেই ও এসব প্রতারণা শিখেছে’—বলেছেন রোনালদো। তাঁর দাবি, রেফারিরা সব সময় বার্সাকে জিতিয়ে দেয়, ‘পরের বছর থেকে আমাদের উচিত হবে ঘরে বসে থাকা। বার্সা একাই খেলুক। কাপটা সরাসরি বার্সার হাতে তুলে দেওয়া হোক।’
হিসাব বলছে, এই গোলটা হলেও খুব একটা সুবিধা হতো না রিয়ালের। রোনালদো কিন্তু বলছেন, ‘এই গোলটা হলে খেলার ছবিটাই হয়তো পাল্টে যেত। যারা ফুটবলের খোঁজখবর রাখে, তারা ভালো করেই জানে, বার্সাকে সব সময় আগলে রাখা হয়। আমাদের এই অন্যায় যেন মেনে নিতেই হবে।’ অধিনায়ক ইকার ক্যাসিয়াসের দাবিও যেন এ রকম, ‘আগেও এমনটা হয়েছে, এবারও হলো।’
মিডফিল্ডার জাবি আলোনসো বলছেন, ‘অনেক সিদ্ধান্তই আমাদের বিপক্ষে গেছে। আমরা এতে মোটেও সন্তুষ্ট নই। গোলটা বহাল রাখা হলে পরিস্থিতি অন্য রকম হতো। আমাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী হতো। কিন্তু গোল বাতিল করায় আমাদের কাজ অনেক কঠিন হয়ে গেছে।’
ভারপ্রাপ্ত কোচ আইতর কারাঙ্কাও বলছেন, ‘মরিনহো ঠিকই বলেছেন। তিনি আগেই বলেছেন, আমাদের ফাইনালে যাওয়া হবে না। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। টিভিতে কোটি কোটি লোকও সেটি দেখেছে।’
রিয়ালের কোচ-খেলোয়াড়দের মতো ফুঁসে উঠেছে মাদ্রিদভিত্তিক পত্রিকাগুলোও। ‘এটা ছিল মিশন ইম্পসিবল’ শিরোনাম দিয়ে মার্কা লিখেছে, ‘আরেকটি বাজে রেফারিং মাদ্রিদের ফিরে আসার লড়াই ভেস্তে দিল।’ এএস লিখেছে, ‘রেফারি বৈধ গোলটি বাতিল করে দিলেন, যে গোলটি হলে মাদ্রিদ এগিয়ে যেত।’
মাদ্রিদের এই হতাশার আঁধারের উল্টো ছবি বার্সেলোনায়। আনন্দের উজ্জ্বল আলোয় উদ্ভাসিত উৎসব। তারই প্রতিচ্ছবি পত্রিকাগুলোতেও। মুন্দো এল দেপোর্তিভো ‘ছিঁচকাঁদুনে’ মাদ্রিদকে খোঁচাও দিয়েছে এই বলে, রিয়াল বারবার নিজেদের ‘ভিকটিম’ হিসেবে হাজির করছে। আরও বড় খোঁচা দিয়েছে বার্সেলোনা ডেইলি স্পোর্ত লিখেছে, ‘গুডবাই মাদ্রিদ, আমরা ওয়েম্বলিতে যাচ্ছি।’
রিকার্ডো কারভালহো কেন লাল কার্ড দেখল না—এই প্রশ্নও করছে বার্সা শিবিরের একাংশ। তবে সব মিলে রেফারি যে উত্তেজনার বারুদে ঠাসা একটি ম্যাচ ভালোমতো সামাল দিয়েছেন, তারও প্রশংসা করেছে অনেকেই।
No comments