আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই-জামিন পেয়েই আসামির হুমকি
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর হত্যা মামলার আসামিদের জামিনে মুক্তির ঘটনাটি আইনি বিষয় হলেও তাঁদের সংবর্ধনা রাজনৈতিক এবং সেই অনুষ্ঠান থেকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি বেআইনি। স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন এবং স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্ট এ ব্যাপারে রুল জারি করেছেন।
সানাউল্লাহ নূর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১১ আসামির সবাই জামিনে মুক্তি পান গত বৃহস্পতিবার। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নাটোরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের সন্তুষ্টিসাপেক্ষে আসামিদের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর নাটোরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে জামিননামা দাখিলের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। হাইকোর্টের আদেশে এটাও বলা হয়েছে, জামিনের কোনো ধরনের অপব্যবহার হলে আদালতের (বিচারিক) জামিন বাতিলের স্বাধীনতা রয়েছে। এসবই আইনি প্রক্রিয়া। কিন্তু সন্ধ্যা সাতটায় কারাগার থেকে বের হওয়ার পরই সরকারি দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা তাঁদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। এই আসামিদের নিয়ে হয়েছে মোটর শোভাযাত্রা, এরপর দেওয়া হয়েছে সংবর্ধনা। এ সময় সানাউল্লাহ নূর হত্যা মামলার প্রধান আসামি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জাকির হোসেন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণে বনপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীদের সাত দিনের সময় দিয়ে বলেন, ‘নইলে আমরা ব্যবসায়ীদের বিচার করব।’ বনপাড়ার ব্যবসায়ীদের ‘অপরাধ’, তাঁরা নূর হত্যাকাণ্ডের পর দোকান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।
এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে জাকির হোসেন স্পষ্টতই প্রতিপক্ষকে হুমকি দিয়েছেন এবং ব্যবসায়ীদের বিচার করার কথা বলে তিনি কার্যত আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। এটি উদ্বেগজনক। আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। হত্যা মামলার আসামিরা অপরাধী বা নির্দোষ কি না, সেটা আদালতে প্রমাণিত হবে। এর দায়িত্ব কোনোভাবেই বনপাড়ার ব্যবসায়ীরা নিতে পারেন না। কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ বা মানববন্ধন করা অপরাধ হতে পারে না।
প্রথম আলোয় এ নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর হাইকোর্টের যে বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করেছিলেন, ওই একই বেঞ্চ জামিন কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি রুল জারি করেছেন। রুলের ওপর শুনানির দিনও ধার্য হয়েছে আগামী ২৮ মার্চ।
আমরা চাই, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলুক। আইনি বিষয়গুলো আইনিভাবেই সুরাহা হোক। কিন্তু কোনো আসামি জামিন পেয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি দেবেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেবেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এই আসামিদের শক্তির উৎস কোথায়, তা বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যে আসামিদের সরকারি দলের সদস্যরা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন, দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়, তাঁরা যখন হুমকি দেন, তখন উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
সানাউল্লাহ নূর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১১ আসামির সবাই জামিনে মুক্তি পান গত বৃহস্পতিবার। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নাটোরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের সন্তুষ্টিসাপেক্ষে আসামিদের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর নাটোরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে জামিননামা দাখিলের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। হাইকোর্টের আদেশে এটাও বলা হয়েছে, জামিনের কোনো ধরনের অপব্যবহার হলে আদালতের (বিচারিক) জামিন বাতিলের স্বাধীনতা রয়েছে। এসবই আইনি প্রক্রিয়া। কিন্তু সন্ধ্যা সাতটায় কারাগার থেকে বের হওয়ার পরই সরকারি দল আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা তাঁদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন। এই আসামিদের নিয়ে হয়েছে মোটর শোভাযাত্রা, এরপর দেওয়া হয়েছে সংবর্ধনা। এ সময় সানাউল্লাহ নূর হত্যা মামলার প্রধান আসামি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জাকির হোসেন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণে বনপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীদের সাত দিনের সময় দিয়ে বলেন, ‘নইলে আমরা ব্যবসায়ীদের বিচার করব।’ বনপাড়ার ব্যবসায়ীদের ‘অপরাধ’, তাঁরা নূর হত্যাকাণ্ডের পর দোকান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।
এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে জাকির হোসেন স্পষ্টতই প্রতিপক্ষকে হুমকি দিয়েছেন এবং ব্যবসায়ীদের বিচার করার কথা বলে তিনি কার্যত আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। এটি উদ্বেগজনক। আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। হত্যা মামলার আসামিরা অপরাধী বা নির্দোষ কি না, সেটা আদালতে প্রমাণিত হবে। এর দায়িত্ব কোনোভাবেই বনপাড়ার ব্যবসায়ীরা নিতে পারেন না। কোনো হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ বা মানববন্ধন করা অপরাধ হতে পারে না।
প্রথম আলোয় এ নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর হাইকোর্টের যে বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করেছিলেন, ওই একই বেঞ্চ জামিন কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি রুল জারি করেছেন। রুলের ওপর শুনানির দিনও ধার্য হয়েছে আগামী ২৮ মার্চ।
আমরা চাই, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলুক। আইনি বিষয়গুলো আইনিভাবেই সুরাহা হোক। কিন্তু কোনো আসামি জামিন পেয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি দেবেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেবেন, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এই আসামিদের শক্তির উৎস কোথায়, তা বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যে আসামিদের সরকারি দলের সদস্যরা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন, দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়, তাঁরা যখন হুমকি দেন, তখন উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
No comments