‘নারী দালাই লামা হবেন অনেক বেশি কার্যকর’
ভবিষ্যৎ দালাই লামা হিসেবে নারীদের পছন্দ বর্তমান দালাই লামার। তিব্বতের এই আধ্যাত্মিক নেতা বলেছেন, দালাই লামার পদ একজন নারী অলংকৃত করলে তা হবে অনেক বেশি কার্যকর।
সম্প্রতি কানাডার টরন্টোতে এক অনুষ্ঠানে দালাই লামা এ কথা বলেছেন। সেখানে নতুন একটি তিব্বতি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে ১৫ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
দালাই লামা বলেন, মূলত দুটি কারণে নারী দালাই লামার পক্ষে তিনি। একটি হলো, পুরুষের তুলনায় নারীরা অন্যের দুঃখ-কষ্টের ব্যাপারে প্রকৃতিগতভাবেই বেশি সংবেদনশীল। অন্যটি হলো, নারী দালাই লামা হলে তিনি হবেন পুরুষ দালাই লামার চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
ভবিষ্যৎ নারী দালাই লামার পক্ষে কথা বলে নিজের অবসরভাবনার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন ১৪তম দালাই লামা। তিনি বলেন, ‘আমি অবসরের কথা ভাবছি। আমার মানবিক অধিকার থাকলে অবসরে যাওয়ার অধিকারও থাকা উচিত।’ রসিকতা করে ৭৫ বছরের এই আধ্যাত্মিক নেতা আরও বলেন, ‘হলফ করে বলতে পারি, আমি সেরা দালাই লামা নই। আবার নিকৃষ্টতমও নই। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি একজন জনপ্রিয় দালাই লামা।’
শান্তি নিয়ে মানুষের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে দালাই লামা বলেন, ‘আকাশ থেকে শান্তি আসবে না। শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই শান্তি আসতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রগুলো সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে।’
চীনা সরকারের হাতে নিজের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে দালাই লামা বলেন, ‘মাত্র ১৬ বছর বয়সে আমি আমার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলি। ২৪ বছর বয়সে দেশ হারাই। এই ৭৫ বছরে এসে আমি একটি জিনিসই শিখতে পেরেছি, আলোচনাই হলো শক্তি। এই আলোচনার চেতনা হলো দুটি পক্ষেরই জয়। কিন্তু এখানে কেউ হারবে কেউ জিতবে তা নয়। প্রকৃতপক্ষে সবারই আন্তরিক হতে হবে। অন্যদের ভালো-মন্দ বিবেচনা করতে হবে।’
তিব্বতি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন ছাড়াও দালাই লামা তিব্বতি-কানাডিয়ান একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও উদ্বোধন করেন। সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়ে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেন। তাঁদের বেশির ভাগই তিব্বতি
সম্প্রতি কানাডার টরন্টোতে এক অনুষ্ঠানে দালাই লামা এ কথা বলেছেন। সেখানে নতুন একটি তিব্বতি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে ১৫ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
দালাই লামা বলেন, মূলত দুটি কারণে নারী দালাই লামার পক্ষে তিনি। একটি হলো, পুরুষের তুলনায় নারীরা অন্যের দুঃখ-কষ্টের ব্যাপারে প্রকৃতিগতভাবেই বেশি সংবেদনশীল। অন্যটি হলো, নারী দালাই লামা হলে তিনি হবেন পুরুষ দালাই লামার চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
ভবিষ্যৎ নারী দালাই লামার পক্ষে কথা বলে নিজের অবসরভাবনার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন ১৪তম দালাই লামা। তিনি বলেন, ‘আমি অবসরের কথা ভাবছি। আমার মানবিক অধিকার থাকলে অবসরে যাওয়ার অধিকারও থাকা উচিত।’ রসিকতা করে ৭৫ বছরের এই আধ্যাত্মিক নেতা আরও বলেন, ‘হলফ করে বলতে পারি, আমি সেরা দালাই লামা নই। আবার নিকৃষ্টতমও নই। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি একজন জনপ্রিয় দালাই লামা।’
শান্তি নিয়ে মানুষের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে দালাই লামা বলেন, ‘আকাশ থেকে শান্তি আসবে না। শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই শান্তি আসতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রগুলো সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে।’
চীনা সরকারের হাতে নিজের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে দালাই লামা বলেন, ‘মাত্র ১৬ বছর বয়সে আমি আমার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলি। ২৪ বছর বয়সে দেশ হারাই। এই ৭৫ বছরে এসে আমি একটি জিনিসই শিখতে পেরেছি, আলোচনাই হলো শক্তি। এই আলোচনার চেতনা হলো দুটি পক্ষেরই জয়। কিন্তু এখানে কেউ হারবে কেউ জিতবে তা নয়। প্রকৃতপক্ষে সবারই আন্তরিক হতে হবে। অন্যদের ভালো-মন্দ বিবেচনা করতে হবে।’
তিব্বতি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন ছাড়াও দালাই লামা তিব্বতি-কানাডিয়ান একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও উদ্বোধন করেন। সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়ে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেন। তাঁদের বেশির ভাগই তিব্বতি
No comments