আমরা যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নই: উইকিলিকস
উইকিলিকস ওয়েবসাইটের মুখপাত্র ক্রিস্টিন হ্রাফনসন বলেছেন, তাঁদের ওয়েবসাইট যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নয়। পাশাপাশি তিনি এ-ও জানিয়েছেন, প্রকাশ করার জন্য তাঁদের হাতে আরও তথ্য রয়েছে। গতকাল সোমবার বিবিসি রেডিও ফোরকে তিনি এ কথা বলেন। এদিকে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নিজের নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইরাক যুদ্ধসংক্রান্ত চার লাখ গোপন দলিল প্রকাশ করে ওয়েবসাইটটি। ওই সব গোপন দলিলে ইরাক যুদ্ধের ধ্বংস ও নির্যাতনসংক্রান্ত অজানা তথ্য বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এর আগে ওয়েবসাইটটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর আফগানিস্তান যুদ্ধসংক্রান্ত ৭০ হাজার গোপন দলিল প্রকাশ করে।
তাদের ওয়েবসাইট ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে কাজ করছে না উল্লেখ করে ক্রিস্টিন হ্রাফনসন বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আমরা যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নই। এমন অসংখ্য মানুষ উইকিলিকসকে সমর্থন করছে, যারা মার্কিন সমাজের মূলনীতি ও আদর্শকে অত্যন্ত পছন্দ করে। এটা কাকতালীয় ঘটনা হতে পারে, গত কয়েক মাসে যেসব গুরুত্বপূর্ণ গোপন দলিল উইকিলিকসে প্রকাশ করা হয়েছে, তা মার্কিন সামরিক বাহিনী ও যুদ্ধ উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।’ তিনি আরও জানান, মার্কিন কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিয়েছে, আফগানিস্তানের যুদ্ধসংক্রান্ত গোপন দলিল প্রকাশ করায় তাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
ইরাক যুদ্ধসংক্রান্ত গোপন দলিল প্রকাশ করায় ওয়াশিংটন থেকে আপত্তি জানানোর বিষয় উল্লেখ করে হ্রাফনসন বলেন, ‘আমরা একই ধরনের অভিযোগের কথা এখন শুনছি। এসব দাবি পরীক্ষা করে দেখা হবে।’ উইকিলিকস সামনে আরও গোপন তথ্য প্রকাশ করবে এবং ওয়েবসাইটটিকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন দেশে সার্ভার বসানো হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে গত রোববার উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ ইসরায়েলের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, তিনি নিজের জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না। তবে তিনি অতিরিক্ত নিরাপত্তার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের এক সাবেক কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, তাঁর মনে হচ্ছে, এই গোপন দলিল প্রকাশের ঘটনায় মার্কিন প্রশাসন আমার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বোঝাপড়া করবে। তারা আমাকে ধরতে চাইবে।’
গত শুক্রবার পেন্টাগনের প্রেস সচিব জিওফ মোরেল বলেছিলেন, ‘আইন ভঙ্গের অভিযোগে উইকিলিকস ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ বা এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছি আমরা।’
উপসাগরীয় দেশগুলোর তদন্তের দাবি: উইকিলিকসে প্রকাশিত দলিলে ইরাক যুদ্ধে মানবতাবিরোধী যেসব অপরাধ সংঘটনের খবর জানা গেছে, সেগুলোর তদন্ত করতে মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে উপসাগরীয় দেশগুলোর সংস্থা গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)। জিসিসির মহাসচিব আবদুল রহমান আল-আত্তিয়াহ বলেন, ‘এসব গোপন দলিলে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য জানা গেছে, সেগুলোর তদন্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। ইরাক যুদ্ধে মার্কিন সেনাসদস্যদের ঘটানো যেকোনো অপরাধকর্ম ও নির্যাতনের দায়দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের।’
চীনের পত্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা: চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পত্রিকা চায়না ডেইলিতে বলা হয়েছে, উইকিলিকস ওয়েবসাইটে ইরাক যুদ্ধসংক্রান্ত যেসব দলিল প্রকাশ করা হয়েছে, তা মানবাধিকারের রক্ষক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে নিষ্প্রভ করে ফেলেছে। সম্প্রতি মার্কিন আইনপ্রণেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি কমিশনের প্রতিবেদনে চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে এই মন্তব্য করল চীনের পত্রিকাটি।
গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ইরাক যুদ্ধসংক্রান্ত চার লাখ গোপন দলিল প্রকাশ করে ওয়েবসাইটটি। ওই সব গোপন দলিলে ইরাক যুদ্ধের ধ্বংস ও নির্যাতনসংক্রান্ত অজানা তথ্য বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এর আগে ওয়েবসাইটটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর আফগানিস্তান যুদ্ধসংক্রান্ত ৭০ হাজার গোপন দলিল প্রকাশ করে।
তাদের ওয়েবসাইট ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে কাজ করছে না উল্লেখ করে ক্রিস্টিন হ্রাফনসন বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আমরা যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নই। এমন অসংখ্য মানুষ উইকিলিকসকে সমর্থন করছে, যারা মার্কিন সমাজের মূলনীতি ও আদর্শকে অত্যন্ত পছন্দ করে। এটা কাকতালীয় ঘটনা হতে পারে, গত কয়েক মাসে যেসব গুরুত্বপূর্ণ গোপন দলিল উইকিলিকসে প্রকাশ করা হয়েছে, তা মার্কিন সামরিক বাহিনী ও যুদ্ধ উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।’ তিনি আরও জানান, মার্কিন কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিয়েছে, আফগানিস্তানের যুদ্ধসংক্রান্ত গোপন দলিল প্রকাশ করায় তাদের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
ইরাক যুদ্ধসংক্রান্ত গোপন দলিল প্রকাশ করায় ওয়াশিংটন থেকে আপত্তি জানানোর বিষয় উল্লেখ করে হ্রাফনসন বলেন, ‘আমরা একই ধরনের অভিযোগের কথা এখন শুনছি। এসব দাবি পরীক্ষা করে দেখা হবে।’ উইকিলিকস সামনে আরও গোপন তথ্য প্রকাশ করবে এবং ওয়েবসাইটটিকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন দেশে সার্ভার বসানো হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে গত রোববার উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ ইসরায়েলের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, তিনি নিজের জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না। তবে তিনি অতিরিক্ত নিরাপত্তার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের এক সাবেক কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, তাঁর মনে হচ্ছে, এই গোপন দলিল প্রকাশের ঘটনায় মার্কিন প্রশাসন আমার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বোঝাপড়া করবে। তারা আমাকে ধরতে চাইবে।’
গত শুক্রবার পেন্টাগনের প্রেস সচিব জিওফ মোরেল বলেছিলেন, ‘আইন ভঙ্গের অভিযোগে উইকিলিকস ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ বা এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখছি আমরা।’
উপসাগরীয় দেশগুলোর তদন্তের দাবি: উইকিলিকসে প্রকাশিত দলিলে ইরাক যুদ্ধে মানবতাবিরোধী যেসব অপরাধ সংঘটনের খবর জানা গেছে, সেগুলোর তদন্ত করতে মার্কিন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে উপসাগরীয় দেশগুলোর সংস্থা গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)। জিসিসির মহাসচিব আবদুল রহমান আল-আত্তিয়াহ বলেন, ‘এসব গোপন দলিলে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধের তথ্য জানা গেছে, সেগুলোর তদন্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। ইরাক যুদ্ধে মার্কিন সেনাসদস্যদের ঘটানো যেকোনো অপরাধকর্ম ও নির্যাতনের দায়দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের।’
চীনের পত্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা: চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পত্রিকা চায়না ডেইলিতে বলা হয়েছে, উইকিলিকস ওয়েবসাইটে ইরাক যুদ্ধসংক্রান্ত যেসব দলিল প্রকাশ করা হয়েছে, তা মানবাধিকারের রক্ষক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে নিষ্প্রভ করে ফেলেছে। সম্প্রতি মার্কিন আইনপ্রণেতা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি কমিশনের প্রতিবেদনে চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতির সমালোচনা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে এই মন্তব্য করল চীনের পত্রিকাটি।
No comments