পশ্চিমা বিশ্ব তিনটি মারাত্মক ভুল করেছিল
কয়েক বছর আগে পশ্চিমা বিশ্ব তিনটি মারাত্মক ভুল করেছিল, যার পরিণতিতে দেখা দেওয়া সন্ত্রাসের হুমকি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এখনো বহন করে চলেছে। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া সোসাইটির টেক্সাস সেন্টারে ভাষণ দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফ। গতকাল সোমবার দ্য নেশন-এ প্রকাশিত খবরে এ কথা জানা যায়।
পারভেজ মোশাররফ বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের ওই তিনটি ভুল এই এলাকায় সন্ত্রাসের হুমকির ব্যাপারে অবদান রেখেছে। তিনি অভিযোগ করেন, আফগানিস্তানে সাবেক দখলদার সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে মুজাহিদদের লড়াই করতে মদদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। লড়াই করার জন্য মুজাহিদদের অস্ত্র্রও দিয়েছে তারা। তাদের এই পদক্ষেপের কারণে আফগানিস্তানে জঙ্গিবাদের উৎপত্তি। পরবর্তী সময়ে সোভিয়েত সেনারা চলে গেলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে পরিত্যাগ করে তারা।
মোশাররফ বলেন, তারা প্রথম ভুলটি করে ১৯৮৯ সালে। আফগান নাগরিকদের পুনর্বাসন বা বাস্তুসংস্থানের ব্যবস্থা না করায় প্রথমে আল-কায়েদা ও পরে তালেবানের উত্থান ঘটে।
আফগানিস্তানের তৎকালীন তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিকে সমর্থন করে মোশাররফ বলেন, এ ক্ষেত্রে তাঁর লক্ষ্য ছিল পরিবর্তন আনা। তিনি চেয়েছিলেন ভেতর থেকে তালেবান বদলে যাক। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব কাজটি করতে ব্যর্থ হয়। এটি ছিল তাদের দ্বিতীয় মারাত্মক ভুল।
মোশাররফের বক্তব্য অনুযায়ী তৃতীয় ভুলটি হচ্ছে আফগান পরিস্থিতির রাজনৈতিক সমাধানের সুযোগ হাতছাড়া করা। ৯/১১ হামলার পর জোট বাহিনী যখন সে দেশে প্রবেশ করে, তখন তাদের হাতে এই সমাধান ছিল।
পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক বলেন, ‘নিজ স্বার্থে পাকিস্তান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোট বেধেছে। এই বিষয়টির ওপর আমি এই কারণে গুরুত্ব দিচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের এখন আমাদের ব্যাপারে ধারণা জন্মেছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা যথেষ্ট কিছু করছি না। এ ব্যাপারে আমাদের আগ্রহও তেমন নেই। আসলে এ ধারণা ভুল। পাকিস্তানের কোনো নাগরিকই চাইবে না পাকিস্তান তালেবানের দেশ হোক।’
মোশাররফ আরও বলেন, পাকিস্তান আল-কায়েদার সন্ত্রাসীদের হুমকি মোকাবিলা করছে। দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় আদিবাসী এলাকায় তারা অবস্থান করছে। তবে তারা সংখ্যায় কম।
পারভেজ মোশাররফ বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের ওই তিনটি ভুল এই এলাকায় সন্ত্রাসের হুমকির ব্যাপারে অবদান রেখেছে। তিনি অভিযোগ করেন, আফগানিস্তানে সাবেক দখলদার সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে মুজাহিদদের লড়াই করতে মদদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো। লড়াই করার জন্য মুজাহিদদের অস্ত্র্রও দিয়েছে তারা। তাদের এই পদক্ষেপের কারণে আফগানিস্তানে জঙ্গিবাদের উৎপত্তি। পরবর্তী সময়ে সোভিয়েত সেনারা চলে গেলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে পরিত্যাগ করে তারা।
মোশাররফ বলেন, তারা প্রথম ভুলটি করে ১৯৮৯ সালে। আফগান নাগরিকদের পুনর্বাসন বা বাস্তুসংস্থানের ব্যবস্থা না করায় প্রথমে আল-কায়েদা ও পরে তালেবানের উত্থান ঘটে।
আফগানিস্তানের তৎকালীন তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিকে সমর্থন করে মোশাররফ বলেন, এ ক্ষেত্রে তাঁর লক্ষ্য ছিল পরিবর্তন আনা। তিনি চেয়েছিলেন ভেতর থেকে তালেবান বদলে যাক। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব কাজটি করতে ব্যর্থ হয়। এটি ছিল তাদের দ্বিতীয় মারাত্মক ভুল।
মোশাররফের বক্তব্য অনুযায়ী তৃতীয় ভুলটি হচ্ছে আফগান পরিস্থিতির রাজনৈতিক সমাধানের সুযোগ হাতছাড়া করা। ৯/১১ হামলার পর জোট বাহিনী যখন সে দেশে প্রবেশ করে, তখন তাদের হাতে এই সমাধান ছিল।
পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক বলেন, ‘নিজ স্বার্থে পাকিস্তান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোট বেধেছে। এই বিষয়টির ওপর আমি এই কারণে গুরুত্ব দিচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের এখন আমাদের ব্যাপারে ধারণা জন্মেছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা যথেষ্ট কিছু করছি না। এ ব্যাপারে আমাদের আগ্রহও তেমন নেই। আসলে এ ধারণা ভুল। পাকিস্তানের কোনো নাগরিকই চাইবে না পাকিস্তান তালেবানের দেশ হোক।’
মোশাররফ আরও বলেন, পাকিস্তান আল-কায়েদার সন্ত্রাসীদের হুমকি মোকাবিলা করছে। দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় আদিবাসী এলাকায় তারা অবস্থান করছে। তবে তারা সংখ্যায় কম।
No comments