নেপালে এমপিদের কিনতে চীনা অর্থ?
নেপালের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটির আগে এমপিদের ভোট কেনার জন্য চীনা ‘বন্ধুদের’ কাছে ৫০ কোটি নেপালি রুপি চেয়েছে দেশটির সাবেক মাওবাদী গেরিলারা। সম্প্রতি টেলিভিশনে প্রচারিত একটি অডিও টেপ থেকে এ ইঙ্গিত মিলেছে। তবে মাওবাদীরা ও কাঠমান্ডুতে চীনা দূতাবাস এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রচারিত অডিও টেপকে ভুয়া হিসেবে অভিহিত করেছে।
শুক্রবার রাতে নেপালি ভাষার ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল নেপাল ১-এ একটি অডিও টেপ প্রচারিত হওয়ার পর ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। প্রায় ২০ মিনিটের ওই অডিও টেপে সাবেক তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী কৃষ্ণ বাহাদুর মাহারা অজ্ঞাত পরিচয় এক পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তি চীনা মধ্যস্থতাকারী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে নেপাল নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ঐক্যবদ্ধ সিপিএন (মাওবাদী) দলের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান কৃষ্ণ বাহাদুর মাহারা অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এটা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র।
কথোপকথনের শুরুতে ফোনদাতা ব্যক্তি বলেন, মি. মাহারা, নেপালে নির্বাচনের ‘প্রবণতা’ কী?
জবাবে যাঁকে মাহারা হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে, তিনি বলেন, যদিও রোববারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য তাঁর দল ১০-১৫ জন অতিরিক্ত এমপির সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদে জেতার জন্য আরও ৫০টির বেশি ভোটের প্রয়োজন।
এরপর ফোনদাতা বলেন, মি. মাহারা, কোন ধরনের সাহায্য অতিরিক্ত আসন পেতে সাহায্য করবে?
তখন কথিত মাহারা বলেন, এটা খুবই কঠিন কাজ। কারণ, একদল এমপি অন্যদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন।
এই একদল এমপি বলতে কথিত মাহারা তেরাই ব্লকের এমপিদের বুঝিয়েছেন বলে স্পষ্টতই মনে হয়েছে, যাঁরা আগের পাঁচ দফা ভোটাভুটিতে নিরপেক্ষ অবস্থান নেন। এ কারণে মাওবাদী চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ড কিংবা তাঁর চ্যালেঞ্জার নেপালি কংগ্রেস নেতা রাম চন্দ্র পুয়োডেল কেউ নির্বাচিত হতে পারেননি।
মাওবাদীদের অভিযোগ—ভারতীয় সরকার তেরাই দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
কথোপকথনের একপর্যায়ে ফোনদাতা বলেন, তাঁর একজন ‘বন্ধু’ আছেন, যিনি ‘সহায়তা’ করতে চান। যদিও ওই বন্ধু নেপালে যেতে পারবেন না। তাই অন্য কোনো জায়গায় তাঁর, মাহারা ও ‘চেয়াম্যান’-এর বৈঠকের স্থান নির্ধারণ করতে হবে।
এরপর বৈঠকের জায়গা হিসেবে হংকংয়ের নাম প্রস্তাব করেন ফোনদাতা। তিনি বলেন, তাঁর বন্ধুর হংকংয়ের ভিসার দরকার নেই। ফোনদাতার কথায় ইঙ্গিত পাওয়া যায়, ওই ব্যক্তি একজন চীনা। তিনি সম্ভবত একজন কূটনীতিক কিংবা একজন সরকারি কর্মকর্তা। ফোনদাতা বলেন, অন্য কোনো দেশে যাওয়ার জন্য তাঁর বিশেষ ভিসার দরকার হবে, যা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। কিন্তু তিনি হংকং যেতে পারবেন এবং কেউ এটা জানবে না।
তবে ফোনদাতা তাঁর বন্ধুর নাম উল্লেখ করেননি। কথোপকথনে হংকংয়ের ব্যাপারে অস্বস্তি প্রকাশ করেন মাহারা। তিনি বলেন, সেখানে অনেক নেপালি বাস করেন এবং সফরের বিষয়টি গোপন না-ও থাকতে পারে। কথিত মাহারা বলেন, তিনি হংকংয়ে গেলে বিষয়টি ব্যাপক প্রচার পাবে। কারণ তিনি (প্রচণ্ড) প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী।
কথিত মাহারার এ বক্তব্যে ইঙ্গিত মিলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলতে তিনি প্রচণ্ডকে বোঝাচ্ছেন।
হংকংয়ের পরিবর্তে চীনের চেংদুর নাম প্রস্তাব করেন কথিত। চেংদুকে সর্বোত্তম জায়গা হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, বিষয়টি কেউ জানবে না।
কিন্তু ফোনদাতা বিষয়টি নাকচ করে দেন। পরে কথিত মাহারা বৈঠকের জন্য সিঙ্গাপুরের নাম প্রস্তাব করেন। এরপর তিনি অর্থের প্রকৃত অঙ্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রত্যেকজনের জন্য কমপক্ষে এক কোটি নেপালি রুপি করে লাগবে।
এদিকে ছোট একটি কমিউনিস্ট দলের নেতা চন্দ্র প্রকাশ মেইনালি গত মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, রোববারের নির্বাচনে মাওবাদীদের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য তাঁকে পাঁচ কোটি নেপালি রুপি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মাওবাদীরা মেইনালির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। টেলিভিশনে প্রচারিত অডিও টেপকে ভুয়া হিসেবে অভিহিত করেছে তারা। চীনা দূতাবাসও অডিও টেপকে ভিত্তিহীন হিসেবে অভিহিত করেছে।
শুক্রবার রাতে নেপালি ভাষার ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল নেপাল ১-এ একটি অডিও টেপ প্রচারিত হওয়ার পর ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। প্রায় ২০ মিনিটের ওই অডিও টেপে সাবেক তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী কৃষ্ণ বাহাদুর মাহারা অজ্ঞাত পরিচয় এক পুরুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। অজ্ঞাত পরিচয় ওই ব্যক্তি চীনা মধ্যস্থতাকারী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে নেপাল নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ঐক্যবদ্ধ সিপিএন (মাওবাদী) দলের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান কৃষ্ণ বাহাদুর মাহারা অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এটা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র।
কথোপকথনের শুরুতে ফোনদাতা ব্যক্তি বলেন, মি. মাহারা, নেপালে নির্বাচনের ‘প্রবণতা’ কী?
জবাবে যাঁকে মাহারা হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে, তিনি বলেন, যদিও রোববারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য তাঁর দল ১০-১৫ জন অতিরিক্ত এমপির সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদে জেতার জন্য আরও ৫০টির বেশি ভোটের প্রয়োজন।
এরপর ফোনদাতা বলেন, মি. মাহারা, কোন ধরনের সাহায্য অতিরিক্ত আসন পেতে সাহায্য করবে?
তখন কথিত মাহারা বলেন, এটা খুবই কঠিন কাজ। কারণ, একদল এমপি অন্যদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন।
এই একদল এমপি বলতে কথিত মাহারা তেরাই ব্লকের এমপিদের বুঝিয়েছেন বলে স্পষ্টতই মনে হয়েছে, যাঁরা আগের পাঁচ দফা ভোটাভুটিতে নিরপেক্ষ অবস্থান নেন। এ কারণে মাওবাদী চেয়ারম্যান পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ড কিংবা তাঁর চ্যালেঞ্জার নেপালি কংগ্রেস নেতা রাম চন্দ্র পুয়োডেল কেউ নির্বাচিত হতে পারেননি।
মাওবাদীদের অভিযোগ—ভারতীয় সরকার তেরাই দলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
কথোপকথনের একপর্যায়ে ফোনদাতা বলেন, তাঁর একজন ‘বন্ধু’ আছেন, যিনি ‘সহায়তা’ করতে চান। যদিও ওই বন্ধু নেপালে যেতে পারবেন না। তাই অন্য কোনো জায়গায় তাঁর, মাহারা ও ‘চেয়াম্যান’-এর বৈঠকের স্থান নির্ধারণ করতে হবে।
এরপর বৈঠকের জায়গা হিসেবে হংকংয়ের নাম প্রস্তাব করেন ফোনদাতা। তিনি বলেন, তাঁর বন্ধুর হংকংয়ের ভিসার দরকার নেই। ফোনদাতার কথায় ইঙ্গিত পাওয়া যায়, ওই ব্যক্তি একজন চীনা। তিনি সম্ভবত একজন কূটনীতিক কিংবা একজন সরকারি কর্মকর্তা। ফোনদাতা বলেন, অন্য কোনো দেশে যাওয়ার জন্য তাঁর বিশেষ ভিসার দরকার হবে, যা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। কিন্তু তিনি হংকং যেতে পারবেন এবং কেউ এটা জানবে না।
তবে ফোনদাতা তাঁর বন্ধুর নাম উল্লেখ করেননি। কথোপকথনে হংকংয়ের ব্যাপারে অস্বস্তি প্রকাশ করেন মাহারা। তিনি বলেন, সেখানে অনেক নেপালি বাস করেন এবং সফরের বিষয়টি গোপন না-ও থাকতে পারে। কথিত মাহারা বলেন, তিনি হংকংয়ে গেলে বিষয়টি ব্যাপক প্রচার পাবে। কারণ তিনি (প্রচণ্ড) প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী।
কথিত মাহারার এ বক্তব্যে ইঙ্গিত মিলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলতে তিনি প্রচণ্ডকে বোঝাচ্ছেন।
হংকংয়ের পরিবর্তে চীনের চেংদুর নাম প্রস্তাব করেন কথিত। চেংদুকে সর্বোত্তম জায়গা হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, বিষয়টি কেউ জানবে না।
কিন্তু ফোনদাতা বিষয়টি নাকচ করে দেন। পরে কথিত মাহারা বৈঠকের জন্য সিঙ্গাপুরের নাম প্রস্তাব করেন। এরপর তিনি অর্থের প্রকৃত অঙ্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রত্যেকজনের জন্য কমপক্ষে এক কোটি নেপালি রুপি করে লাগবে।
এদিকে ছোট একটি কমিউনিস্ট দলের নেতা চন্দ্র প্রকাশ মেইনালি গত মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, রোববারের নির্বাচনে মাওবাদীদের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য তাঁকে পাঁচ কোটি নেপালি রুপি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মাওবাদীরা মেইনালির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে। টেলিভিশনে প্রচারিত অডিও টেপকে ভুয়া হিসেবে অভিহিত করেছে তারা। চীনা দূতাবাসও অডিও টেপকে ভিত্তিহীন হিসেবে অভিহিত করেছে।
No comments