রিকি পন্টিং বনাম কেমার রোচ?
প্রায় ৩৫ বছর বয়সী একজনের নামের পাশে ১৩৮টি টেস্ট এবং এই ১৩৮ টেস্টে রান করেছেন ১১৪৫৬। আরেকজন ২১ বছরের তরুণ, টেস্ট খেলেছেন মাত্র চারটি, উইকেট ১৭টি। শুনলে অবাক হবেন, কাল থেকে পার্থে শুরু অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় টেস্টের নামকরণ হতে পারে লড়াইয়ের ভেতর লুকিয়ে থাকা এই দুই ‘অসমের’ লড়াই দিয়ে—রিকি পন্টিং বনাম কেমার রোচ!
পার্থ টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই অধিনায়কের মুখেই এই একটা নাম—কেমার রোচ। এমন নয় যে, সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তরুণ ফাস্ট বোলার অস্ট্রেলিয়াকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন, আর সে কারণেই তৃতীয় টেস্টের আগে পাদপ্রদীপের আলোয় তিনি। প্রথম দুই টেস্টে রোচ পেয়েছেনই মাত্র ৪ উইকেট—একটা টেস্টের আগে সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যাওয়ার জন্য যা মোটেও যথেষ্ট নয়।
তাহলে কেন রোচকে নিয়ে এত আলোচনা? কেন পন্টিংয়ের আশঙ্কা, ‘পার্থে তাঁকে সামলানো কঠিন হবে’, গেইলই বা কেন আশা করছেন, ‘রিকির (পন্টিং) সামনে পিছু হটবে না কেমার (রোচ)। বরং পার্থের বাউন্সি উইকেটে ওকে আরও বিপদে ফেলবে’? কারণ, রোচের সামনে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের গত দুই টেস্টের অভিজ্ঞতা। উইকেট খুব বেশি না পেলেও রোচের বলের তুমুল গতির সামনে প্রতিটা মুহূর্তেই বিপদের গন্ধ পেয়েছেন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানরা। পন্টিং তো দুবার আউটও হয়েছেন তাঁর বলে। একই দলে খেললেও গেইলেরও আছে এই বার্বাডিয়ানকে সামলানোর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা, ‘বিশ্বাস করুন, নেটে আমি নিজেও তাঁর বল খেলতে চাই না। খেললেও আগেই বলে দিই আস্তে বল করতে, যেন আমি সেটা দেখি।’
পক্ষ-প্রতিপক্ষ দুই অধিনায়কেরই এমন সার্টিফিকেট যাঁর জন্য বরাদ্দ, সেই কেমার রোচ গতির তানপুরায় নতুন গান তুলতে গুনগুনিয়ে যাচ্ছেন। রোচের বিশ্বাস, পার্থের উইকেটে আগুন ঝরবে তাঁর বলে, ‘আমি আসলেই মনে করি, আমার পক্ষে আরও জোরে বল করা সম্ভব। আমার মনে হয়, পার্থে আমি খুব সহজেই ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটারের (প্রায় ৯৭ মাইল) বেশি গতি তুলতে পারব। আমি এমন জোরে বল করতে চাই, যেটা ব্যাটসম্যানরা কল্পনাও করতে পারেন না।’ পার্থে গতিদানব হয়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষার পেছনে রোচের মধ্যে কাজ করছে পেস বোলারদের চিরন্তন সেই হতাশা, ‘বিশ্বের বেশির ভাগ উইকেটই ফ্ল্যাট। কাজেই এ রকম একটা বাউন্সি উইকেট আমাকে সত্যি সত্যি রোমাঞ্চিত করছে।’
সিরিজে পন্টিংকে দুবার আউট করার পরও ক্ষুধা মেটেনি রোচের। কথা-বার্তার যা ধরন, মনে হচ্ছে, যতবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া খেলতে নামবে, ততবারই তিনি পেতে চান পন্টিংয়ের উইকেট, ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান রিকি পন্টিং। তাঁর প্রতি অনেক শ্রদ্ধা আমার। তাঁর উইকেট পাওয়া সবসময়ই অনেক বড় পুরস্কার।’
গেইলের কল্পনার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে রোচের চাওয়া। পার্থে কি তাহলে আরও একবার রোচের রোষানলে পড়তে যাচ্ছেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক! পন্টিং যতই বলুন, রোচ তাঁর রাতের ঘুম হারাম করছেন না, কৃষ্ণাঙ্গ এই তরুণের সামনে পড়লে বুক তার কেঁপে উঠতে বাধ্য প্রথম দুই টেস্টের অভিজ্ঞতার কারণেই, ‘যতগুলো স্পেল, যতগুলো বল সে করেছে, তার প্রায় সবই ঘণ্টায় ১৫০ কিমি গতির আশেপাশে। বল ফেলার জায়গাটাও খুব ভালো।’
অথচ ক্যারিবীয় পেসার শুনলেই যে রকম লম্বা একটা শরীর ভেসে ওঠে চোখের সামনে, রোচ একদমই সে রকম নন। দেখতে গড়পরতা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলারদের তুলনায় অনেক ছোটখাটো, গাটাগোট্টাও নন। পন্টিং অবশ্য বলছেন, এ রকম শারীরিক কাঠামোই রোচের বলগুলোকে অমন দুর্বোধ্য করে তুলছে, ‘এ রকম খাটো একজন বোলারের বলে ও রকম গতি থাকলে বলকে সে খুব দ্রুত স্কিড করাতে পারবেই। যেকোনো ব্যাটসম্যানকে বিপদে ফেলার ক্ষমতা আছে তার। বিশেষ করে, ম্যাচের শেষ দিকে যখন বাউন্সে তারতম্য হতে থাকে।’
ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে তিন দিনে হারার পর অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে আধিপত্য বিস্তার করে ড্র—ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবির রীতিমতো উজ্জীবিত। তবে সিরিজে তো এখনো অস্ট্রেলিয়া ১-০-তে এগিয়ে। পার্থ টেস্টের আগে দুই অধিনায়কের কথাবার্তা শুনে উল্টোটাই মনে হতে বাধ্য। কারণটা তো বুঝতে পারছেন—মাঝখানে যে দাঁড়িয়ে কেমার রোচ।
পার্থ টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই অধিনায়কের মুখেই এই একটা নাম—কেমার রোচ। এমন নয় যে, সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তরুণ ফাস্ট বোলার অস্ট্রেলিয়াকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছেন, আর সে কারণেই তৃতীয় টেস্টের আগে পাদপ্রদীপের আলোয় তিনি। প্রথম দুই টেস্টে রোচ পেয়েছেনই মাত্র ৪ উইকেট—একটা টেস্টের আগে সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যাওয়ার জন্য যা মোটেও যথেষ্ট নয়।
তাহলে কেন রোচকে নিয়ে এত আলোচনা? কেন পন্টিংয়ের আশঙ্কা, ‘পার্থে তাঁকে সামলানো কঠিন হবে’, গেইলই বা কেন আশা করছেন, ‘রিকির (পন্টিং) সামনে পিছু হটবে না কেমার (রোচ)। বরং পার্থের বাউন্সি উইকেটে ওকে আরও বিপদে ফেলবে’? কারণ, রোচের সামনে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের গত দুই টেস্টের অভিজ্ঞতা। উইকেট খুব বেশি না পেলেও রোচের বলের তুমুল গতির সামনে প্রতিটা মুহূর্তেই বিপদের গন্ধ পেয়েছেন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানরা। পন্টিং তো দুবার আউটও হয়েছেন তাঁর বলে। একই দলে খেললেও গেইলেরও আছে এই বার্বাডিয়ানকে সামলানোর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা, ‘বিশ্বাস করুন, নেটে আমি নিজেও তাঁর বল খেলতে চাই না। খেললেও আগেই বলে দিই আস্তে বল করতে, যেন আমি সেটা দেখি।’
পক্ষ-প্রতিপক্ষ দুই অধিনায়কেরই এমন সার্টিফিকেট যাঁর জন্য বরাদ্দ, সেই কেমার রোচ গতির তানপুরায় নতুন গান তুলতে গুনগুনিয়ে যাচ্ছেন। রোচের বিশ্বাস, পার্থের উইকেটে আগুন ঝরবে তাঁর বলে, ‘আমি আসলেই মনে করি, আমার পক্ষে আরও জোরে বল করা সম্ভব। আমার মনে হয়, পার্থে আমি খুব সহজেই ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটারের (প্রায় ৯৭ মাইল) বেশি গতি তুলতে পারব। আমি এমন জোরে বল করতে চাই, যেটা ব্যাটসম্যানরা কল্পনাও করতে পারেন না।’ পার্থে গতিদানব হয়ে ওঠার আকাঙ্ক্ষার পেছনে রোচের মধ্যে কাজ করছে পেস বোলারদের চিরন্তন সেই হতাশা, ‘বিশ্বের বেশির ভাগ উইকেটই ফ্ল্যাট। কাজেই এ রকম একটা বাউন্সি উইকেট আমাকে সত্যি সত্যি রোমাঞ্চিত করছে।’
সিরিজে পন্টিংকে দুবার আউট করার পরও ক্ষুধা মেটেনি রোচের। কথা-বার্তার যা ধরন, মনে হচ্ছে, যতবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া খেলতে নামবে, ততবারই তিনি পেতে চান পন্টিংয়ের উইকেট, ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান রিকি পন্টিং। তাঁর প্রতি অনেক শ্রদ্ধা আমার। তাঁর উইকেট পাওয়া সবসময়ই অনেক বড় পুরস্কার।’
গেইলের কল্পনার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে রোচের চাওয়া। পার্থে কি তাহলে আরও একবার রোচের রোষানলে পড়তে যাচ্ছেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক! পন্টিং যতই বলুন, রোচ তাঁর রাতের ঘুম হারাম করছেন না, কৃষ্ণাঙ্গ এই তরুণের সামনে পড়লে বুক তার কেঁপে উঠতে বাধ্য প্রথম দুই টেস্টের অভিজ্ঞতার কারণেই, ‘যতগুলো স্পেল, যতগুলো বল সে করেছে, তার প্রায় সবই ঘণ্টায় ১৫০ কিমি গতির আশেপাশে। বল ফেলার জায়গাটাও খুব ভালো।’
অথচ ক্যারিবীয় পেসার শুনলেই যে রকম লম্বা একটা শরীর ভেসে ওঠে চোখের সামনে, রোচ একদমই সে রকম নন। দেখতে গড়পরতা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফাস্ট বোলারদের তুলনায় অনেক ছোটখাটো, গাটাগোট্টাও নন। পন্টিং অবশ্য বলছেন, এ রকম শারীরিক কাঠামোই রোচের বলগুলোকে অমন দুর্বোধ্য করে তুলছে, ‘এ রকম খাটো একজন বোলারের বলে ও রকম গতি থাকলে বলকে সে খুব দ্রুত স্কিড করাতে পারবেই। যেকোনো ব্যাটসম্যানকে বিপদে ফেলার ক্ষমতা আছে তার। বিশেষ করে, ম্যাচের শেষ দিকে যখন বাউন্সে তারতম্য হতে থাকে।’
ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে তিন দিনে হারার পর অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় টেস্টে আধিপত্য বিস্তার করে ড্র—ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবির রীতিমতো উজ্জীবিত। তবে সিরিজে তো এখনো অস্ট্রেলিয়া ১-০-তে এগিয়ে। পার্থ টেস্টের আগে দুই অধিনায়কের কথাবার্তা শুনে উল্টোটাই মনে হতে বাধ্য। কারণটা তো বুঝতে পারছেন—মাঝখানে যে দাঁড়িয়ে কেমার রোচ।
No comments