বার্সেলোনায় খুশির হাওয়া
ন্যু ক্যাম্পে ফুরফুরে মেজাজ সবার। চ্যাম্পিয়নস লিগের ড্রটা সত্যিই এক ঝলক বসন্ত বাতাস বয়ে এনেছে বার্সেলোনায়। সেই বাতাসে কান পেতে আরেকটি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপার আগমনী বার্তাই যেন শুনছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
দ্বিতীয় রাউন্ডে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ ভিএফভি স্টুটগার্টকে পেয়েছে কাতালানরা। অথচ এই রাউন্ডেই দুই ইতালিয়ান পরাশক্তি মুখোমুখি হচ্ছে বড় দুই ইংলিশ ক্লাবের। বড় দুই শিরোপা প্রতিদ্বন্দ্বী তো ঝরে পড়বে নকআউট পর্বেই। এসব কিছু দেখে তো খুশিতে ভরে গেছে বার্সেলোনার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর টিক্সি বেগিরিস্তাইনের মন।
বেগিরিস্তাইনের যেখানে আনন্দ, সেখানেই লুকিয়ে আছে ইতালীয়দের দুঃখ। এই ড্র দেখে খুব হতাশ তারা। ইতালিয়ান সংবাদ সংস্থা এএনএসের মন্তব্য, ‘ইতালিয়ানদের জন্য তেতো এক ড্র’। আর গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত বলেছে, ‘এটা এমন একটি ড্র, যেটা আপনাকে থরথর করে কাঁপাবে’।
প্রতিপক্ষ ইংলিশ ক্লাব বলেই ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমের এত ভয়। গত দুটি মৌসুমে তিনটি ইতালিয়ান ক্লাব নকআউট পর্বে উঠেছে এবং প্রত্যেকেই ইংলিশ প্রতিপক্ষের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে। ২০০৭ সালের ফাইনালে লিভারপুলকে হারিয়ে এসি মিলানের শিরোপা জয়ের পর আর কোনো ইতালিয়ান ক্লাবই ইংলিশ ক্লাবকে নকআউট পর্বে হারাতে পারেনি।
এবার ইন্টার মিলান মুখোমুখি হচ্ছে চেলসির। গত দুই মৌসুমেই এই দলটি দ্বিতীয় রাউন্ডে বিদায় নিয়েছে। ২০০৭-০৮ মৌসুমে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল লিভারপুল, আর গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এবার ম্যানইউকে সামনে পাচ্ছে এসি মিলান। ২০০৭-০৮ মৌসুমে এসি মিলান খেলেছে আর্সেনালের বিপক্ষে। ‘গানার’দের কাছে হেরে বিদায়ও নিতে হয়েছিল ‘রোজোনেরি’দের। গত দুই বছরে এএস রোমা আর জুভেন্টাসও নকআউট পর্বে খেলেছে এবং দুই মিলানের মতো ইংলিশ প্রতিপক্ষের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে আসতে হয়েছে।
এই সব তেতো স্মৃতির পাশে কিছু আনন্দের স্মৃতিও আছে ইতালির ক্লাবগুলোর। যেগুলোর বেশির ভাগই অবশ্য এসি মিলানের। গত দুই মৌসুম ভুলে প্রেরণা খুঁজতে রোজোনেরি শিবির ডুব দিচ্ছে সেই দূর অতীতেই।
২০০৫ সালে নকআউট পর্বে এবং ২০০৭ সালে সেমিফাইনালে ম্যানইউকে হারিয়েছে মিলান। ২০০৭-এর সেমিফাইনালটা তো ফুটবল রূপকথারই অংশ হয়ে গেছে। ওল্ড ট্রাফোর্ড থেকে ২-৩ গোলে হেরে ফিরেছিল মিলান। সানসিরোতে দ্বিতীয় লেগ ৩-০ গোলে জিতে ফাইনালে ওঠে কার্লো আনচেলত্তির দল। পরিচালক আমবার্তো গানদিনি সেই স্মৃতির কথাই বললেন, ‘আমরা ২০০৭-এর সেমিফাইনালের কথা মনে করছি। যেটি আমাদের এথেন্সের সেমিফাইনালে নিয়ে গিয়েছিল।’
ইংলিশ-ইতালি লড়াইয়ের পাশে চ্যাম্পিয়নস লিগ ড্র একটি আবেগও আলোচনায় এনেছে। এটি তিনটি ফেরা নিয়ে—এসি মিলানের হয়ে ডেভিড বেকহাম ফিরবেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে, হোসে মরিনহো তাঁর নতুন ক্লাব ইন্টার মিলানকে নিয়ে ফিরছেন স্টামফোর্ড ব্রিজে আর এ মৌসুমেই রিয়ালে নাম লেখানো ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমার দেখা হবে তাঁর পুরোনো ক্লাব অলিম্পিক লিওঁ-সতীর্থদের সঙ্গে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ ভিএফভি স্টুটগার্টকে পেয়েছে কাতালানরা। অথচ এই রাউন্ডেই দুই ইতালিয়ান পরাশক্তি মুখোমুখি হচ্ছে বড় দুই ইংলিশ ক্লাবের। বড় দুই শিরোপা প্রতিদ্বন্দ্বী তো ঝরে পড়বে নকআউট পর্বেই। এসব কিছু দেখে তো খুশিতে ভরে গেছে বার্সেলোনার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর টিক্সি বেগিরিস্তাইনের মন।
বেগিরিস্তাইনের যেখানে আনন্দ, সেখানেই লুকিয়ে আছে ইতালীয়দের দুঃখ। এই ড্র দেখে খুব হতাশ তারা। ইতালিয়ান সংবাদ সংস্থা এএনএসের মন্তব্য, ‘ইতালিয়ানদের জন্য তেতো এক ড্র’। আর গাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ত বলেছে, ‘এটা এমন একটি ড্র, যেটা আপনাকে থরথর করে কাঁপাবে’।
প্রতিপক্ষ ইংলিশ ক্লাব বলেই ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমের এত ভয়। গত দুটি মৌসুমে তিনটি ইতালিয়ান ক্লাব নকআউট পর্বে উঠেছে এবং প্রত্যেকেই ইংলিশ প্রতিপক্ষের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে। ২০০৭ সালের ফাইনালে লিভারপুলকে হারিয়ে এসি মিলানের শিরোপা জয়ের পর আর কোনো ইতালিয়ান ক্লাবই ইংলিশ ক্লাবকে নকআউট পর্বে হারাতে পারেনি।
এবার ইন্টার মিলান মুখোমুখি হচ্ছে চেলসির। গত দুই মৌসুমেই এই দলটি দ্বিতীয় রাউন্ডে বিদায় নিয়েছে। ২০০৭-০৮ মৌসুমে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল লিভারপুল, আর গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এবার ম্যানইউকে সামনে পাচ্ছে এসি মিলান। ২০০৭-০৮ মৌসুমে এসি মিলান খেলেছে আর্সেনালের বিপক্ষে। ‘গানার’দের কাছে হেরে বিদায়ও নিতে হয়েছিল ‘রোজোনেরি’দের। গত দুই বছরে এএস রোমা আর জুভেন্টাসও নকআউট পর্বে খেলেছে এবং দুই মিলানের মতো ইংলিশ প্রতিপক্ষের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে আসতে হয়েছে।
এই সব তেতো স্মৃতির পাশে কিছু আনন্দের স্মৃতিও আছে ইতালির ক্লাবগুলোর। যেগুলোর বেশির ভাগই অবশ্য এসি মিলানের। গত দুই মৌসুম ভুলে প্রেরণা খুঁজতে রোজোনেরি শিবির ডুব দিচ্ছে সেই দূর অতীতেই।
২০০৫ সালে নকআউট পর্বে এবং ২০০৭ সালে সেমিফাইনালে ম্যানইউকে হারিয়েছে মিলান। ২০০৭-এর সেমিফাইনালটা তো ফুটবল রূপকথারই অংশ হয়ে গেছে। ওল্ড ট্রাফোর্ড থেকে ২-৩ গোলে হেরে ফিরেছিল মিলান। সানসিরোতে দ্বিতীয় লেগ ৩-০ গোলে জিতে ফাইনালে ওঠে কার্লো আনচেলত্তির দল। পরিচালক আমবার্তো গানদিনি সেই স্মৃতির কথাই বললেন, ‘আমরা ২০০৭-এর সেমিফাইনালের কথা মনে করছি। যেটি আমাদের এথেন্সের সেমিফাইনালে নিয়ে গিয়েছিল।’
ইংলিশ-ইতালি লড়াইয়ের পাশে চ্যাম্পিয়নস লিগ ড্র একটি আবেগও আলোচনায় এনেছে। এটি তিনটি ফেরা নিয়ে—এসি মিলানের হয়ে ডেভিড বেকহাম ফিরবেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে, হোসে মরিনহো তাঁর নতুন ক্লাব ইন্টার মিলানকে নিয়ে ফিরছেন স্টামফোর্ড ব্রিজে আর এ মৌসুমেই রিয়ালে নাম লেখানো ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমার দেখা হবে তাঁর পুরোনো ক্লাব অলিম্পিক লিওঁ-সতীর্থদের সঙ্গে।
No comments