দিলশান আর বাজে ফিল্ডিংয়ে হার ভারতের
পরাজয়ের পর অধিনায়কের শাস্তি, ভারতের জন্য একসঙ্গে দুটি দুঃসংবাদ দিল নাগপুরের দ্বিতীয় ওয়ানডে। ৩০১ রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কার ৩ উইকেটে জেতা ম্যাচ সিরিজে নিয়ে এসেছে সমতা। আর এই ম্যাচ বাঁচাতে খেলার মধ্যেই একের পর এক ‘টিম মিটিং’য়ে সময় নষ্ট করে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে বহিষ্কার হতে হয়েছে দুই ম্যাচের জন্য। কটক আর কলকাতায় পরের দুটি ওয়ানডে খেলতে পারবেন না তিনি। ধোনি ফিরবেন দিল্লির শেষ ওয়ানডেতে। ধোনির বদলে ভারতের অধিনায়ক বীরেন্দর শেবাগ।
‘স্লো ওভার-রেটের’ দায়ে অমন শাস্তি ধোনি পেতেই পারেন। বারবার নিজেদের মধ্যে কথাবার্তায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪৫ মিনিট পর শেষ হয়েছে ভারতের বোলিং। তাতেও ঠেকানো যায়নি শ্রীলঙ্কার জয়। ধোনি নিজে সেঞ্চুরি করে দলকে ৩০১ রানে তুলে দিলেও তিলকরত্নে দিলশানের আরেক সেঞ্চুরি সেটিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ইনিংসের পাঁচ বল বাকি থাকতে। রাজকোটে যেটা হয়নি, নাগপুরে শ্রীলঙ্কাকে সেটাই এনে দিয়ে ভারত অধিনায়কের অনেক প্রশংসা পেলেন দিলশান। তবে ধোনির কাছে দিলশানের সেঞ্চুরির চেয়েও ব্যর্থতার বড় কারণ ভারতের বাজে ফিল্ডিং, দ্রুত উইকেট হারানোর প্রবণতা।
হারের ময়নাতদন্তে ধোনি বলেছেন, ‘ভালো শুরু করতে পারিনি আমরা। কয়েকটি জুটি আমাদের দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু উইকেটও হারিয়েছি নিয়মিত।’ এর পরও ভারতের রান ৩০১ এবং সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি দুষছেন দলের বাজে ফিল্ডিংকে, ‘ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে আমাদের এই দলটা সেরা, দলে ভালো ভালো বোলারও আছে। কিন্তু বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল নই আমরা। আরও ২০ রান করতে পারলে ফিল্ডিংয়ের এই ব্যর্থতা ঢাকা যেত।’ এ ম্যাচে ভারতের বাজে ফিল্ডিংয়ের নমুনা দেখা গেছে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ৯ বলে যখন শ্রীলঙ্কার জিততে লাগে আর ৮ রান, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের একটা ড্রাইভ মিডঅনে দাঁড়ানো জহির খানের পায়ের ফাঁক গলে বাউন্ডারি হয়ে গেল। ৮ বলে চার রান তো পরে কোনো ব্যাপারই ছিল না।
দলের ফিল্ডিং খারাপ হলে ফিল্ডিং কোচের ওপর দোষ চাপানো পুরোনো রেওয়াজ। বাংলাদেশে তো সম্প্রতি চাকরিই গেল ফিল্ডিং কোচের। এবার সমালোচনার মুখে ভারতীয় দলের উপদেষ্টা মাইক ইয়াংও। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ফিল্ডিং কোচ আপাতত দেখছেন ভারতের ফিল্ডিং। তবে ধোনি আছেন ইয়াংয়ের পাশেই, ‘যে মিস ফিল্ডিং করছে, তার কথাটাও মাথায় রাখতে হবে আপনাকে। ব্যাপারটা এমন নয় যে, আপনি-আমি মিলে ফিল্ডিং করছি, হঠাত্ একজন কোচ এল আর আমরা সবাই জন্টি রোডস হয়ে গেলাম। এটা অনেকটা বোলিংয়ের মতো। একজন স্পিনার চাইলেই ফাস্ট বোলিং করতে পারবে না। একইভাবে ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারটাও প্রকৃতি দত্ত।’
ধোনির মুখে এদিন দলের দুজনের প্রশংসাই শোনা গেল বেশি—সুরেশ রায়না ও বিরাট কোহলি। শ্রীলঙ্কার স্পিন ও ফাস্ট বোলিংয়ের সামনে তাঁদের ব্যাটিং মুগ্ধ করেছে অধিনায়ককে। তবে এদিক দিয়ে ধোনি সবচেয়ে মুগ্ধ সম্ভবত দিলশানেই, ‘খুবই আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান সে, ধারাবাহিকও। নিজের দিনে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে দিলশান। কাট, পুল, বোলারের মাথার ওপর দিয়ে মারা—সব শটই আছে তার হাতে।’
শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচ জিতিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ দিলশান, ওপেনিংয়ে উঠে আসাই তাঁর এই সাফল্যের রহস্য, ‘ওপেনিংয়ে আসাটাই সাহায্য করেছে আমাকে। চিন্তাটাই বদলে ফেলেছি, ৩০-৪০ রানের স্কোরগুলোকে বড় করতে শুরু করেছি।’ পরিসংখ্যানও বলে সেটাই। ওয়ানডেতে যে পাঁচটা সেঞ্চুরি আছে দিলশানের, তার চারটিই পেয়েছেন ওপেনার হয়ে এবং এ বছর।
‘স্লো ওভার-রেটের’ দায়ে অমন শাস্তি ধোনি পেতেই পারেন। বারবার নিজেদের মধ্যে কথাবার্তায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪৫ মিনিট পর শেষ হয়েছে ভারতের বোলিং। তাতেও ঠেকানো যায়নি শ্রীলঙ্কার জয়। ধোনি নিজে সেঞ্চুরি করে দলকে ৩০১ রানে তুলে দিলেও তিলকরত্নে দিলশানের আরেক সেঞ্চুরি সেটিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে ইনিংসের পাঁচ বল বাকি থাকতে। রাজকোটে যেটা হয়নি, নাগপুরে শ্রীলঙ্কাকে সেটাই এনে দিয়ে ভারত অধিনায়কের অনেক প্রশংসা পেলেন দিলশান। তবে ধোনির কাছে দিলশানের সেঞ্চুরির চেয়েও ব্যর্থতার বড় কারণ ভারতের বাজে ফিল্ডিং, দ্রুত উইকেট হারানোর প্রবণতা।
হারের ময়নাতদন্তে ধোনি বলেছেন, ‘ভালো শুরু করতে পারিনি আমরা। কয়েকটি জুটি আমাদের দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু উইকেটও হারিয়েছি নিয়মিত।’ এর পরও ভারতের রান ৩০১ এবং সেটা জয়ের জন্য যথেষ্ট প্রমাণিত না হওয়ায় তিনি দুষছেন দলের বাজে ফিল্ডিংকে, ‘ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে আমাদের এই দলটা সেরা, দলে ভালো ভালো বোলারও আছে। কিন্তু বিশ্বের সেরা ফিল্ডিং দল নই আমরা। আরও ২০ রান করতে পারলে ফিল্ডিংয়ের এই ব্যর্থতা ঢাকা যেত।’ এ ম্যাচে ভারতের বাজে ফিল্ডিংয়ের নমুনা দেখা গেছে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ৯ বলে যখন শ্রীলঙ্কার জিততে লাগে আর ৮ রান, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের একটা ড্রাইভ মিডঅনে দাঁড়ানো জহির খানের পায়ের ফাঁক গলে বাউন্ডারি হয়ে গেল। ৮ বলে চার রান তো পরে কোনো ব্যাপারই ছিল না।
দলের ফিল্ডিং খারাপ হলে ফিল্ডিং কোচের ওপর দোষ চাপানো পুরোনো রেওয়াজ। বাংলাদেশে তো সম্প্রতি চাকরিই গেল ফিল্ডিং কোচের। এবার সমালোচনার মুখে ভারতীয় দলের উপদেষ্টা মাইক ইয়াংও। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ফিল্ডিং কোচ আপাতত দেখছেন ভারতের ফিল্ডিং। তবে ধোনি আছেন ইয়াংয়ের পাশেই, ‘যে মিস ফিল্ডিং করছে, তার কথাটাও মাথায় রাখতে হবে আপনাকে। ব্যাপারটা এমন নয় যে, আপনি-আমি মিলে ফিল্ডিং করছি, হঠাত্ একজন কোচ এল আর আমরা সবাই জন্টি রোডস হয়ে গেলাম। এটা অনেকটা বোলিংয়ের মতো। একজন স্পিনার চাইলেই ফাস্ট বোলিং করতে পারবে না। একইভাবে ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারটাও প্রকৃতি দত্ত।’
ধোনির মুখে এদিন দলের দুজনের প্রশংসাই শোনা গেল বেশি—সুরেশ রায়না ও বিরাট কোহলি। শ্রীলঙ্কার স্পিন ও ফাস্ট বোলিংয়ের সামনে তাঁদের ব্যাটিং মুগ্ধ করেছে অধিনায়ককে। তবে এদিক দিয়ে ধোনি সবচেয়ে মুগ্ধ সম্ভবত দিলশানেই, ‘খুবই আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান সে, ধারাবাহিকও। নিজের দিনে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে দিলশান। কাট, পুল, বোলারের মাথার ওপর দিয়ে মারা—সব শটই আছে তার হাতে।’
শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচ জিতিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ দিলশান, ওপেনিংয়ে উঠে আসাই তাঁর এই সাফল্যের রহস্য, ‘ওপেনিংয়ে আসাটাই সাহায্য করেছে আমাকে। চিন্তাটাই বদলে ফেলেছি, ৩০-৪০ রানের স্কোরগুলোকে বড় করতে শুরু করেছি।’ পরিসংখ্যানও বলে সেটাই। ওয়ানডেতে যে পাঁচটা সেঞ্চুরি আছে দিলশানের, তার চারটিই পেয়েছেন ওপেনার হয়ে এবং এ বছর।
No comments