জরুরি বৈঠক করলেন প্রেসিডেন্ট জারদারি
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক একটি রায় নিয়ে টালমাটাল অবস্থায় পড়েছে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল। এ অবস্থায় এখন ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সরকার পতনের মুখে পড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে গতকাল শনিবার দলের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক ডাকেন জারদারি। তবে বৈঠকের বিস্তারিত জানা যায়নি।
সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের জারি করা ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অধ্যাদেশকে (এনআরও) সুপ্রিম কোর্ট ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টের ওই ঘোষণার পর প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে আগের সেই দুর্নীতির মামলাগুলো পুনর্জীবিত হওয়ার পথ খুলে যায়। একই ধরনের মামলা রয়েছে পিপিপির আরও অনেক নেতা ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
জরুরি বৈঠক শুরুর আগে প্রেসিডেন্ট জারদারির মুখপাত্র ফরহাতুল্লাহ বাবর বলেন, বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। পিপিপির মুখপাত্র ফওজিয়া ওয়াহাব বলেন, দলের সদস্যদের মতামত বিবেচনা করবে দল। তাঁদের সুপারিশ ও কৌশল সরকারও গ্রহণ করতে পারে। সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন জারদারি। কিন্তু তাঁর ক্ষমতায় থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তবে বিচার থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের মতো মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের কোনো রক্ষাকবচ নেই।
এরই মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ মুখতারকে কেন বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি, সেটা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। স্বরাষ্ট্রসচিব এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অতিরিক্ত পরিচালক ও দুজন পরিদর্শককে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এনআরও ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া আদেশের পর ৫২ জনের মামলা পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ২০০৭ সালে ওই অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর মামলাগুলো স্থগিত করা হয়। জাতীয় অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) সিন্ধু প্রদেশের ডেপুটি প্রসিকিউটর জেনারেল সালমান বাট বলেন, ‘আদালত রেহমান মালিককে ডেকে পাঠিয়েছেন। আমরা আরও ৫২ জনের মামলা পুনরায় চালু করতে যাচ্ছি।’
কর্মকর্তারা জানান, ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তৈরি করা তালিকায় (এক্সিট কন্ট্রোল লিস্ট) রাজনীতিক, আমলা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের নাম রয়েছে। এনএবির গণমাধ্যম কর্মকর্তা নাভেদ সাত্তার বলেন, ‘বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আবারও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। আবারও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পত্তি জব্দ করা হবে।’
রাজনৈতিক ভাষ্যকার তালাত মাসুদ বলেছেন, আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারকে দ্রুত অভিযুক্ত মন্ত্রীদের বাদ দিতে হবে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে একটি মামলা পুনরায় চালুর যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।
আইনজীবী জাফরুল্লাহ লাহোর সুপ্রিম কোর্টে পিটিশনটি দাখিল করেন। পিটিশনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা পুনরায় চালুর নির্দেশ দেওয়া সর্বোচ্চ আদালতের এখতিয়ারের বাইরে।
সাবেক সামরিক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের জারি করা ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অধ্যাদেশকে (এনআরও) সুপ্রিম কোর্ট ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়। বিশেষ করে সুপ্রিম কোর্টের ওই ঘোষণার পর প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে আগের সেই দুর্নীতির মামলাগুলো পুনর্জীবিত হওয়ার পথ খুলে যায়। একই ধরনের মামলা রয়েছে পিপিপির আরও অনেক নেতা ও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
জরুরি বৈঠক শুরুর আগে প্রেসিডেন্ট জারদারির মুখপাত্র ফরহাতুল্লাহ বাবর বলেন, বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। পিপিপির মুখপাত্র ফওজিয়া ওয়াহাব বলেন, দলের সদস্যদের মতামত বিবেচনা করবে দল। তাঁদের সুপারিশ ও কৌশল সরকারও গ্রহণ করতে পারে। সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন জারদারি। কিন্তু তাঁর ক্ষমতায় থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তবে বিচার থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের মতো মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের কোনো রক্ষাকবচ নেই।
এরই মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ মুখতারকে কেন বিদেশ যেতে দেওয়া হয়নি, সেটা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। স্বরাষ্ট্রসচিব এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অতিরিক্ত পরিচালক ও দুজন পরিদর্শককে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এনআরও ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া আদেশের পর ৫২ জনের মামলা পুনরায় চালু করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন ব্যুরো। ২০০৭ সালে ওই অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর মামলাগুলো স্থগিত করা হয়। জাতীয় অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) সিন্ধু প্রদেশের ডেপুটি প্রসিকিউটর জেনারেল সালমান বাট বলেন, ‘আদালত রেহমান মালিককে ডেকে পাঠিয়েছেন। আমরা আরও ৫২ জনের মামলা পুনরায় চালু করতে যাচ্ছি।’
কর্মকর্তারা জানান, ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তৈরি করা তালিকায় (এক্সিট কন্ট্রোল লিস্ট) রাজনীতিক, আমলা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও কূটনীতিকদের নাম রয়েছে। এনএবির গণমাধ্যম কর্মকর্তা নাভেদ সাত্তার বলেন, ‘বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আবারও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। আবারও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সম্পত্তি জব্দ করা হবে।’
রাজনৈতিক ভাষ্যকার তালাত মাসুদ বলেছেন, আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারকে দ্রুত অভিযুক্ত মন্ত্রীদের বাদ দিতে হবে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে একটি মামলা পুনরায় চালুর যে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে গতকাল একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।
আইনজীবী জাফরুল্লাহ লাহোর সুপ্রিম কোর্টে পিটিশনটি দাখিল করেন। পিটিশনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা পুনরায় চালুর নির্দেশ দেওয়া সর্বোচ্চ আদালতের এখতিয়ারের বাইরে।
No comments