মোজাম্মেলের স্ত্রীর কান্না
সংবাদ
সম্মেলনে শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মোজাম্মেল হক চৌধুরীর
স্ত্রী বিজু আক্তার। আয়োজকদের পক্ষ থেকে তাকে কথা বলার অনুরোধ করা হলে তিনি
কথা বলতে পারছিলেন না। কান্নায় জড়িয়ে আসছিল তার কণ্ঠ। শুধু বললেন, কথা
বলার মতো মানসিক অবস্থা আমার নেই, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার স্বামীর
নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
কথিত চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার মোজাম্মেল হক কারাগারে রয়েছেন। তিনি যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব। তার মুক্তি দাবিতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সংস্থাটি। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে যাত্রীবন্ধু উল্লেখ করে বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। সড়কের নৈরাজ্যের তথ্য তুলে ধরায় তাকে সরকার সহ্য করতে পারছে না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, নিরীহ একটি সংগঠনের নেতাকে যদি রিমান্ডে নেয়ার মতো ঘটনা ঘটে, তবে হতবাক হতে হয়। তিনি বলেন, সমস্ত ক্ষেত্রে শোনানো হচ্ছে, সরকার গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখছে, তাদের উন্নয়নের কোনো তুলনা নেই।
এমন উন্নয়ন হচ্ছে যে, রাস্তায় প্রতিদিন ১০ জনের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। যাত্রীকল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সামসুদ্দীন চৌধুরী দাবি করেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষকে যে গুটিকতক অপশক্তি জিম্মি করে, তারা নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল।
কিন্তু তাকে যাত্রী অধিকার আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে না পেরে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দেয়া হয়। সেটাও প্রমাণ করতে না পেরে গতকাল সোমবার ফেব্রুয়ারি মাসের এক বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, মোজাম্মেল হক চৌধুরী যেসব তথ্য উপস্থাপন করতেন, তাতে সড়কের নৈরাজ্য উন্মোচিত হতো। এই বিষয়টি সরকার সহ্য করতে পারছে না।
আরেক মামলায় গ্রেপ্তারের আবেদন: কথিত চাঁদাবাজির মামলায় কারাগারে থাকা যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কাফরুল থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় (নং ১৩) গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী জায়েদুর রহমান।
তিনি জানান, কথিত চাঁদাবাজির মামলার পর মোজাম্মেলকে কাফরুল থানার বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ মোজাম্মেলকে আজ (গতকাল) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজিরও করে। আদালত ১৩ই সেপ্টেম্বর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সেদিন মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত। জায়েদুর রহমান আরো জানান, গ্রেপ্তার দেখানোর ব্যাপারে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আদালতে বলেছেন, তিনি যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব। যাত্রীদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে কাজ করে আসছেন। তিনি যাতে সংগঠনের হয়ে কাজ না করতে পারেন, সে জন্য আগে মিরপুর থানার চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
এর আগে শনিবার একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আরো ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে মোজাম্মেলের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বুধবার মিরপুর থানায় করা একটি চাঁদাবাজির মামলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে। বৃহস্পতিবার তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই মামলার বাদী দাবি করেছেন তিনি মোজাম্মেল হক খানকে চিনেনই না। উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করে থাকে যাত্রীকল্যাণ সমিতি। সর্বশেষ ঈদুল আজহার আগে-পরে ব্যাপক প্রাণহানির তথ্য দিয়ে সড়ক পরিস্থিতির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
কথিত চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার মোজাম্মেল হক কারাগারে রয়েছেন। তিনি যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব। তার মুক্তি দাবিতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সংস্থাটি। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে যাত্রীবন্ধু উল্লেখ করে বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। সড়কের নৈরাজ্যের তথ্য তুলে ধরায় তাকে সরকার সহ্য করতে পারছে না।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, নিরীহ একটি সংগঠনের নেতাকে যদি রিমান্ডে নেয়ার মতো ঘটনা ঘটে, তবে হতবাক হতে হয়। তিনি বলেন, সমস্ত ক্ষেত্রে শোনানো হচ্ছে, সরকার গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখছে, তাদের উন্নয়নের কোনো তুলনা নেই।
এমন উন্নয়ন হচ্ছে যে, রাস্তায় প্রতিদিন ১০ জনের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। যাত্রীকল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সামসুদ্দীন চৌধুরী দাবি করেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষকে যে গুটিকতক অপশক্তি জিম্মি করে, তারা নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল।
কিন্তু তাকে যাত্রী অধিকার আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে না পেরে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দেয়া হয়। সেটাও প্রমাণ করতে না পেরে গতকাল সোমবার ফেব্রুয়ারি মাসের এক বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, মোজাম্মেল হক চৌধুরী যেসব তথ্য উপস্থাপন করতেন, তাতে সড়কের নৈরাজ্য উন্মোচিত হতো। এই বিষয়টি সরকার সহ্য করতে পারছে না।
আরেক মামলায় গ্রেপ্তারের আবেদন: কথিত চাঁদাবাজির মামলায় কারাগারে থাকা যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কাফরুল থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় (নং ১৩) গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয় বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী জায়েদুর রহমান।
তিনি জানান, কথিত চাঁদাবাজির মামলার পর মোজাম্মেলকে কাফরুল থানার বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ মোজাম্মেলকে আজ (গতকাল) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজিরও করে। আদালত ১৩ই সেপ্টেম্বর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সেদিন মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ওপর শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত। জায়েদুর রহমান আরো জানান, গ্রেপ্তার দেখানোর ব্যাপারে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আদালতে বলেছেন, তিনি যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব। যাত্রীদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে কাজ করে আসছেন। তিনি যাতে সংগঠনের হয়ে কাজ না করতে পারেন, সে জন্য আগে মিরপুর থানার চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
এর আগে শনিবার একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আরো ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে মোজাম্মেলের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বুধবার মিরপুর থানায় করা একটি চাঁদাবাজির মামলায় নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে। বৃহস্পতিবার তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই মামলার বাদী দাবি করেছেন তিনি মোজাম্মেল হক খানকে চিনেনই না। উল্লেখ্য, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করে থাকে যাত্রীকল্যাণ সমিতি। সর্বশেষ ঈদুল আজহার আগে-পরে ব্যাপক প্রাণহানির তথ্য দিয়ে সড়ক পরিস্থিতির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
No comments