শেকলে বেঁধে শিশুশ্রম
ছেলেটির
নাম রায়হান, বয়স ৭ বছর। কিন্তু কাঁধের সঙ্গে গলা ও পায়ে বেড়ি দেয়া শেকল
তার। যার ওজন বহনের ক্ষমতাও নেই রায়হানের। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। গত
একবছর ধরেই তাকে এভাবে তালা দেয়া শেকল বহন করে শ্রম দিতে হচ্ছে একটি মোটর
গ্যারেজে। প্রান্তিকর অটো ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস নামে এই মোটর গ্যারেজটি
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার জোট পুকুরিয়া বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে পুলিশ
ফাঁড়ির সামনে অবস্থিত।
আর এই ঘটনা পুলিশের নজরে একবারও আসেনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোরশেদ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমাদের পাশে অথচ আমরা জানি না; আপনারা জানলেন কেমনে। এ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে তিনি বলেন, আপনার কাছে কি প্রমাণ আছে; শেকলে বাঁধা শিশুটির। ছবিসহ যাবতীয় তথ্য থাকার কথা বললে তিনি তা দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু সংবাদ প্রকাশের পর পত্রিকায় দেখার অনুরোধ জানানো হয় তাকে। পরে তিনি এ ব্যাপারে দ্রুত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেন।
সাতকানিয়ার বেলাল উদ্দিন বলেন, আমি সাতকানিয়া উপজেলার চরতি যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মোটরসাইকেলের চেইন পিনিয়াম এর বিয়ারিং এর সমস্যা হওয়ায় ওই মোটরসাইকেল গ্যারেজে যাই। দেখি একটি শিশু পায়ে ও গলা মোটা শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় কাজ করছে। যা আমার হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। বেলাল উদ্দিনের সহায়তায় মুঠোফোনে কথা হয় মোটর গ্যারজের মালিক রাজীব দাসের বাবা বাবুল দাসের সঙ্গে। রাজীব দাস এ সময় গ্যারেজে ছিলেন না। শিশুটিকে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে কেন জানতে চাইলে বাবুল দাস বলেন, ছাড়া পেলে পালিয়ে যায়। তাই তাকে শেকলে বেঁধে কাজ করাানো হচ্ছে। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত একবছর ধরে শিশুটিকে গলা থেকে পা পর্যন্ত তালা দেয়া শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। গত দেড় বছর আগে তার বাবা-মা তাঁকে গ্যারেজের কাজ শেখার জন্য এখানে দিয়েছেন। কিন্তু সে পালিয়ে যায়। কয়েকবার ধরে আনার পর তার পা ও গলায় শেকল বাঁধা হয়েছে। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার বাবা-মা বলেছেন তাকে বেঁধে রেখে কাজ করাতে। তার বাবার ফোন নম্বর চাইলে নেই বলে জানান তিনি। তবে তাদের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নে যেতে বলেন তিনি। কিন্তু কোন গ্রাম বা তাদের নাম কি জানতে চাইলে তা না বলায় সেখানে যাওয়া বা কথা বলা সম্ভব হয়নি। শিশু শ্রম নিষিদ্ধ তবুও শিশুকে দিয়ে কাজ করাচ্ছেন কেন জানতে চাইলে বাবুল দাস বলেন, সে তো শ্রম দিচ্ছে না। কাজ শিখছে। তার বাবা-মা কাজ শিখতে দিয়েছে। এতে আমাদের জড়াচ্ছেন কেন। এ ব্যাপারে শিশু রায়হানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অনীহা প্রকাশ করে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তবে বেলাল উদ্দিন শিশু রায়হানের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, কাজ শেখার জন্য মা-বাবা তাকে দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু মালিক তাকে মারধর করে। খেতে দেয় না। তাই সে দু’বার পালিয়ে গিয়েছিল। পরে তাকে ধরে এনে পা ও গলায় শেকল দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। চট্টগ্রাম মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, শ্রম আইন-২০০৬-এ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু শ্রমিক নিয়োগ সমপূর্ণ নিষিদ্ধ। এ বিষয়টি কম-বেশি সবাই জানেন। সেক্ষেত্রে শিশুদের ঝুঁিকপূর্ণ কাজে নিযুক্ত যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, মোটর গ্যারেজে শিশু রায়হানের কাজ নিঃসন্দেহে ঝঁকিপূর্ণ। অধিকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় দ্রুত শিশুটিকে মুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। এদিকে বেলাল উদ্দিনসহ স্থানীয় লোকজনের অনেকেই শিশুটির মুক্তি দাবি করেছেন। তাদের অনেকে ফেসবুকেও শিশুটির মুক্তি দাবি করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
আর এই ঘটনা পুলিশের নজরে একবারও আসেনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোরশেদ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমাদের পাশে অথচ আমরা জানি না; আপনারা জানলেন কেমনে। এ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে তিনি বলেন, আপনার কাছে কি প্রমাণ আছে; শেকলে বাঁধা শিশুটির। ছবিসহ যাবতীয় তথ্য থাকার কথা বললে তিনি তা দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু সংবাদ প্রকাশের পর পত্রিকায় দেখার অনুরোধ জানানো হয় তাকে। পরে তিনি এ ব্যাপারে দ্রুত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেন।
সাতকানিয়ার বেলাল উদ্দিন বলেন, আমি সাতকানিয়া উপজেলার চরতি যাচ্ছিলাম। হঠাৎ মোটরসাইকেলের চেইন পিনিয়াম এর বিয়ারিং এর সমস্যা হওয়ায় ওই মোটরসাইকেল গ্যারেজে যাই। দেখি একটি শিশু পায়ে ও গলা মোটা শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় কাজ করছে। যা আমার হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। বেলাল উদ্দিনের সহায়তায় মুঠোফোনে কথা হয় মোটর গ্যারজের মালিক রাজীব দাসের বাবা বাবুল দাসের সঙ্গে। রাজীব দাস এ সময় গ্যারেজে ছিলেন না। শিশুটিকে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে কেন জানতে চাইলে বাবুল দাস বলেন, ছাড়া পেলে পালিয়ে যায়। তাই তাকে শেকলে বেঁধে কাজ করাানো হচ্ছে। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত একবছর ধরে শিশুটিকে গলা থেকে পা পর্যন্ত তালা দেয়া শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। গত দেড় বছর আগে তার বাবা-মা তাঁকে গ্যারেজের কাজ শেখার জন্য এখানে দিয়েছেন। কিন্তু সে পালিয়ে যায়। কয়েকবার ধরে আনার পর তার পা ও গলায় শেকল বাঁধা হয়েছে। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার বাবা-মা বলেছেন তাকে বেঁধে রেখে কাজ করাতে। তার বাবার ফোন নম্বর চাইলে নেই বলে জানান তিনি। তবে তাদের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নে যেতে বলেন তিনি। কিন্তু কোন গ্রাম বা তাদের নাম কি জানতে চাইলে তা না বলায় সেখানে যাওয়া বা কথা বলা সম্ভব হয়নি। শিশু শ্রম নিষিদ্ধ তবুও শিশুকে দিয়ে কাজ করাচ্ছেন কেন জানতে চাইলে বাবুল দাস বলেন, সে তো শ্রম দিচ্ছে না। কাজ শিখছে। তার বাবা-মা কাজ শিখতে দিয়েছে। এতে আমাদের জড়াচ্ছেন কেন। এ ব্যাপারে শিশু রায়হানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অনীহা প্রকাশ করে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তবে বেলাল উদ্দিন শিশু রায়হানের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, কাজ শেখার জন্য মা-বাবা তাকে দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু মালিক তাকে মারধর করে। খেতে দেয় না। তাই সে দু’বার পালিয়ে গিয়েছিল। পরে তাকে ধরে এনে পা ও গলায় শেকল দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। চট্টগ্রাম মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, শ্রম আইন-২০০৬-এ ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু শ্রমিক নিয়োগ সমপূর্ণ নিষিদ্ধ। এ বিষয়টি কম-বেশি সবাই জানেন। সেক্ষেত্রে শিশুদের ঝুঁিকপূর্ণ কাজে নিযুক্ত যারা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, মোটর গ্যারেজে শিশু রায়হানের কাজ নিঃসন্দেহে ঝঁকিপূর্ণ। অধিকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় দ্রুত শিশুটিকে মুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। এদিকে বেলাল উদ্দিনসহ স্থানীয় লোকজনের অনেকেই শিশুটির মুক্তি দাবি করেছেন। তাদের অনেকে ফেসবুকেও শিশুটির মুক্তি দাবি করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
No comments