'আসাদের সম্ভাব্য গ্যাস-হামলা' সংক্রান্ত নতুন মার্কিন দাবি ও হুঁশিয়ারির রহস্য
সিরিয়ার আসাদ সরকার সে দেশটির ভেতরেই একটি রাসায়নিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে মার্কিন সরকার দাবি করেছে।
মার্কিন সরকারের এক মুখপাত্র গতকাল (সোমবার) এই অভিযোগ তুলে ধরেন এবং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের হামলা চালানো হলে দামেস্ক সরকার ও সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে ‘খুবই চড়া মূল্য দিতে হবে’।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব সিয়েন স্পাইসার গতকাল বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানতে পেরেছে যে সিরিয়ার আসাদ সরকার এ ধরনের হামলা চালাতে পারে এবং তারা এ সংক্রান্ত ‘সম্ভাব্য নানা প্রস্তুতি’ সনাক্ত করেছে। এ ধরনের কথিত ‘সম্ভাব্য হামলায়’ সিরিয়ার নিষ্পাপ শিশুসহ বেসামরিক জনগণ গণহত্যার শিকার হতে পারে বলে তিনি দাবি করেন।
অবশ্য মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন স্পাইসারের বিবৃতিতে তারা অপ্রস্তুত বা বিস্মিত হয়েছেন, কারণ এ জাতীয় বিবৃতি দেয়ার আগে সাধারণত তাদের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, এই বিবৃতি প্রকাশের পরই তারা কেবল এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন সরকার সিরিয়ার সরকারি সেনাদের ওপর হামলা চালানোর অজুহাত তৈরি করতে ও উত্তেজনা বাড়াতে এ ধরনের অভিযোগ করছে। মার্কিন সরকার অতীতেও কোনো ধরনের প্রমাণ না দেখিয়ে ও কোনো রকম তদন্ত না চালিয়েই সিরিয়ায় কথিত রাসায়নিক হামলায় আসাদ সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রচার করেছে এবং ওই অভিযোগে সিরিয়ার সরকারি সেনা অবস্থানে হামলা চালিয়েছে।
সিরিয়ার সরকারি সেনারা যখনই নানা ফ্রন্টে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যাপক সাফল্য পায় ও অগ্রাভিযান অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয় তখনই মার্কিন সরকার এবং ইসরাইল নানা অজুহাতে সিরিয়ার সরকারি সেনা অবস্থানে হামলা চালায়।
সিরিয়ার আসাদ সরকার ও তার মিত্র শক্তিগুলো মার্কিন সরকারের এ জাতীয় পুরনো কৌশল ও মিথ্যাচারের নিন্দা জানিয়ে এসেছে এবং কথিত রাসায়নিক হামলার ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে এসেছে। কিন্তু তদন্ত চালানোর দাবি মেনে নেয়নি মার্কিন সরকার ও তার মিত্ররা।
গত এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে ইদলিব প্রদেশের খান শাইখুন শহরে রসায়নিক হামলার এক ঘটনায় ৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনাকে অজুহাত করে মার্কিন বাহিনী সিরিয়ার হোমসে একটি সরকারি বিমান ঘাঁটিতে ৫৯টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। মার্কিন সরকার ও তার মিত্ররা দাবি করে যে এই ঘটনায় সিরিয় সরকার জড়িত ছিল এবং হোমসের ওই বিমান ঘাঁটি থেকে উড়ে আসা বিমানগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল কথিত ওই রাসায়নিক হামলায়।
কিন্তু সিরিয়া ও তার মিত্র রাশিয়া বলেছে, খান শাইখুনে সিরিয়ার সরকার বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অবস্থানে দেশটির বিমান বাহিনীর হামলা ছিল একটি প্রচলিত হামলা এবং ওই হামলার ফলে বিদ্রোহীদের রাসায়নিক অস্ত্রের একটি গুদাম থেকেই বিষাক্ত গ্যাস বের হওয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
খ্যাতিমান মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সিইমুর হার্শও সম্প্রতি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার ওই বিমান ঘাঁটিতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর আগে আমেরিকার গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলোকে উপেক্ষা করেছিলেন। ওইসব প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে যে দাবি করা হয় তার কোনো প্রমাণ নেই। বরং সরকারি সিরিয় সেনারা রাশিয়ার দেয়া প্রচলিত বিস্ফোরকযুক্ত বোমাই বর্ষণ করেছিল খান শাইখুনে বিদ্রোহীদের একটি সম্মেলন কেন্দ্রে।
মার্কিন সরকারের এক মুখপাত্র গতকাল (সোমবার) এই অভিযোগ তুলে ধরেন এবং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এ ধরনের হামলা চালানো হলে দামেস্ক সরকার ও সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে ‘খুবই চড়া মূল্য দিতে হবে’।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব সিয়েন স্পাইসার গতকাল বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানতে পেরেছে যে সিরিয়ার আসাদ সরকার এ ধরনের হামলা চালাতে পারে এবং তারা এ সংক্রান্ত ‘সম্ভাব্য নানা প্রস্তুতি’ সনাক্ত করেছে। এ ধরনের কথিত ‘সম্ভাব্য হামলায়’ সিরিয়ার নিষ্পাপ শিশুসহ বেসামরিক জনগণ গণহত্যার শিকার হতে পারে বলে তিনি দাবি করেন।
অবশ্য মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন স্পাইসারের বিবৃতিতে তারা অপ্রস্তুত বা বিস্মিত হয়েছেন, কারণ এ জাতীয় বিবৃতি দেয়ার আগে সাধারণত তাদের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, এই বিবৃতি প্রকাশের পরই তারা কেবল এ বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিন সরকার সিরিয়ার সরকারি সেনাদের ওপর হামলা চালানোর অজুহাত তৈরি করতে ও উত্তেজনা বাড়াতে এ ধরনের অভিযোগ করছে। মার্কিন সরকার অতীতেও কোনো ধরনের প্রমাণ না দেখিয়ে ও কোনো রকম তদন্ত না চালিয়েই সিরিয়ায় কথিত রাসায়নিক হামলায় আসাদ সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রচার করেছে এবং ওই অভিযোগে সিরিয়ার সরকারি সেনা অবস্থানে হামলা চালিয়েছে।
সিরিয়ার সরকারি সেনারা যখনই নানা ফ্রন্টে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যাপক সাফল্য পায় ও অগ্রাভিযান অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয় তখনই মার্কিন সরকার এবং ইসরাইল নানা অজুহাতে সিরিয়ার সরকারি সেনা অবস্থানে হামলা চালায়।
সিরিয়ার আসাদ সরকার ও তার মিত্র শক্তিগুলো মার্কিন সরকারের এ জাতীয় পুরনো কৌশল ও মিথ্যাচারের নিন্দা জানিয়ে এসেছে এবং কথিত রাসায়নিক হামলার ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্ত অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে এসেছে। কিন্তু তদন্ত চালানোর দাবি মেনে নেয়নি মার্কিন সরকার ও তার মিত্ররা।
গত এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে ইদলিব প্রদেশের খান শাইখুন শহরে রসায়নিক হামলার এক ঘটনায় ৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনাকে অজুহাত করে মার্কিন বাহিনী সিরিয়ার হোমসে একটি সরকারি বিমান ঘাঁটিতে ৫৯টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। মার্কিন সরকার ও তার মিত্ররা দাবি করে যে এই ঘটনায় সিরিয় সরকার জড়িত ছিল এবং হোমসের ওই বিমান ঘাঁটি থেকে উড়ে আসা বিমানগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল কথিত ওই রাসায়নিক হামলায়।
কিন্তু সিরিয়া ও তার মিত্র রাশিয়া বলেছে, খান শাইখুনে সিরিয়ার সরকার বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অবস্থানে দেশটির বিমান বাহিনীর হামলা ছিল একটি প্রচলিত হামলা এবং ওই হামলার ফলে বিদ্রোহীদের রাসায়নিক অস্ত্রের একটি গুদাম থেকেই বিষাক্ত গ্যাস বের হওয়ায় বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
খ্যাতিমান মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সিইমুর হার্শও সম্প্রতি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার ওই বিমান ঘাঁটিতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর আগে আমেরিকার গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলোকে উপেক্ষা করেছিলেন। ওইসব প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার সরকারি বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছিল বলে যে দাবি করা হয় তার কোনো প্রমাণ নেই। বরং সরকারি সিরিয় সেনারা রাশিয়ার দেয়া প্রচলিত বিস্ফোরকযুক্ত বোমাই বর্ষণ করেছিল খান শাইখুনে বিদ্রোহীদের একটি সম্মেলন কেন্দ্রে।
No comments