নারদের ভিডিও নিয়ে তোলপাড় ভারতের লোকসভা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী-সাংসদ-নেতাদের কথিত অর্থ গ্রহণের গোপন ভিডিও নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার তোলপাড় হলো লোকসভা। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি, বিরোধী কংগ্রেস ও সিপিএমের সাংসদেরা এককাট্টা হয়ে এ ঘটনার তদন্ত দাবি করেন। অন্যদিকে তৃণমূলের সাংসদেরা একে ‘দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ বলে উড়িয়ে দেন। আলোচিত সংবাদ ওয়েবসাইট নারদনিউজ ডট কম গত সোমবার গোপন ক্যামেরায় ধরা তৃণমূলের ১১ নেতার টাকা নেওয়ার দৃশ্য-সংবলিত ভিডিও প্রকাশ করে। লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপির একমাত্র সাংসদ এস এস আহলুওয়ালিয়া বলেন, নারদনিউজ ডট কমের ভিডিওর বিষয়ে জোর তদন্ত দরকার। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একই সুরে কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সারদা থেকে নারদ, তৃণমূল শুধু লুটে মশগুল। এ ঘটনায় পার্লামেন্টের সম্মান ধূলিসাৎ হয়েছে।’ লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গ সিপিএমের সাংসদ মোহাম্মদ সেলিম উচ্চকণ্ঠে ‘চোর’ ‘চোর’ বলে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘লোকসভার কিছু সদস্য ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে। আমার লজ্জা হয় এ সমস্ত মানুষের সঙ্গে একসঙ্গে বসতে। এদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা উচিত। লোকসভা এর আগে এমন ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে।’
মোহাম্মদ সেলিম লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনকে ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। বিজেপি কংগ্রেস-সিপিএমের সাংসদদের চিৎকারের মুখে লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আগামী এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে হেয় করতেই এ আয়োজন।’ যে ১১ জনকে ওই ভিডিওতে অর্থ গ্রহণ করতে দেখা যায়, এর মধ্যে সৌগত রায়ও আছেন। নারদনিউজের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়, ইমপেক্স কনসালটেন্সি নামের একটি ভুয়া কোম্পানি তৈরি করে ওই নেতাদের কাছে যাওয়া হয়। ওই কোম্পানির প্রতিনিধি সেজে তাদের লোক অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীদের কাছে গিয়ে নানা রকম সহযোগিতা চায়। বিনিময়ে তারা অর্থ তুলে দেয় নেতাদের হাতে। ভিডিওতে দেখা যায়, টাকা নেওয়ার সময় মন্ত্রী ও নেতারা ইমপেক্সকে নানাভাবে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। প্রধান পরিকল্পনাকারী ম্যাথিউ স্যামুয়েল বলেছেন, তারা ওই নেতাদের মোট ৭০ লাখ টাকা দিয়েছেন। ভারতের নির্বাচন কমিশন এই কথিত ভিডিওর বিষয়ে তদন্ত করবে বলে গতকাল জানিয়েছে।
মোহাম্মদ সেলিম লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনকে ভিডিও দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। বিজেপি কংগ্রেস-সিপিএমের সাংসদদের চিৎকারের মুখে লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আগামী এপ্রিল-মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে হেয় করতেই এ আয়োজন।’ যে ১১ জনকে ওই ভিডিওতে অর্থ গ্রহণ করতে দেখা যায়, এর মধ্যে সৌগত রায়ও আছেন। নারদনিউজের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়, ইমপেক্স কনসালটেন্সি নামের একটি ভুয়া কোম্পানি তৈরি করে ওই নেতাদের কাছে যাওয়া হয়। ওই কোম্পানির প্রতিনিধি সেজে তাদের লোক অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীদের কাছে গিয়ে নানা রকম সহযোগিতা চায়। বিনিময়ে তারা অর্থ তুলে দেয় নেতাদের হাতে। ভিডিওতে দেখা যায়, টাকা নেওয়ার সময় মন্ত্রী ও নেতারা ইমপেক্সকে নানাভাবে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। প্রধান পরিকল্পনাকারী ম্যাথিউ স্যামুয়েল বলেছেন, তারা ওই নেতাদের মোট ৭০ লাখ টাকা দিয়েছেন। ভারতের নির্বাচন কমিশন এই কথিত ভিডিওর বিষয়ে তদন্ত করবে বলে গতকাল জানিয়েছে।
No comments