সিরিয়ায় হামলা চালাবে যুক্তরাষ্ট্র
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের ‘নির্মূল’ করতে ইরাকের মতো সিরিয়ায়ও বিমান হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা কোনো গোষ্ঠীই ‘নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাবে না’। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ইরাকে আরও ৪৭৫ জন সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন ওবামা। খবর নিউইয়র্ক টাইমস, এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসির। এদিকে রাশিয়া বলেছে, ইরাক-সিরিয়ার জঙ্গিদের ওপর একতরফা মার্কিন হামলা হলে তা হবে ‘আইনের স্থূল লঙ্ঘন’। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, সিরিয়ায় আইএসবিরোধী মার্কিন বিমান হামলায় তারা অংশ নেবে না। তবে এর কিছুক্ষণ পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের মুখপাত্র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোনো সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেননি।’ জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাঁদের এ অভিযানে অংশ নিতে বলাও হয়নি। আর তাঁরা এতে অংশ নেবেনও না। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তবে একই সঙ্গে অবশ্যই দেশগুলোর সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।
উল্লেখ্য, সিরিয়ার বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা প্রসঙ্গে এত দিন রাশিয়ার সঙ্গে অভিন্ন অবস্থানে রয়েছে চীন। জাতির উদ্দেশে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে (বাংলাদেশ সময় গতকাল সকাল) টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগের ঘোষণামতো আইএসের বিরুদ্ধে মার্কিন উদ্যোগের কৌশলগত রূপরেখা তুলে ধরেন। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া ১৫ মিনিটের ওই ভাষণে ওবামা জানান, আইএসের জঙ্গিদের নির্মূল করতে ‘বিস্তৃত পরিসরের জোটের’ নেতৃত্বে থেকে মূল ভূমিকা পালন করবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা যেকোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের খুঁজে বের করব। ...এর মানে হলো, আইএস দমনে ইরাকের মতো সিরিয়ায়ও হামলা চালাতে পিছপা হবে না যুক্তরাষ্ট্র।’ ওবামা জানান, আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন চেয়েছেন তিনি। এ অনুমোদন পেলে তাকে স্বাগত জানাবেন। সিরিয়ার বিদ্রোহীদের বিষয়ে ভোট: সিরিয়ার উদারপন্থী বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে শিগগিরই ভোটাভুটি হবে। আইএস দমনের অংশ হিসেবে বিদ্রোহীদের এ সহায়তা দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার সঙ্গী ১০ আরব দেশ: আইএসবিরোধী অভিযানের জন্য জোট গঠনের উদ্দেশ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি গতকাল সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। তিনি জেদ্দায় আরব দেশগুলোর অন্তত ১০ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওই জোট গঠন নিয়ে আলোচনা করেন। এ ১০ দেশ আইএসবিরোধী মার্কিন নেতৃত্বাধীন লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার সম্মতি দিয়েছে। এ দেশগুলো হলো সৌদি আরব, ইরাক, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, ওমান ও কাতার।
No comments