‘ওঁদের মতো লোক আমাদের নেতা’
অস্ত্রধারীরা সবাই ছাত্রলীগের নয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রসঙ্গে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যতজনের হাতে অস্ত্র দেখা গেছে, তারা সবাই ছাত্রলীগের নয়। ছাত্রলীগের যারা, তাদের আমরা ইতিমধ্যে বহিষ্কার করেছি। তদন্ত করে দেখা হবে, এর সঙ্গে কারা জড়িত।’ এ বক্তব্যের সমালোচনা করে পাঠক এ ডব্লিউ হক লিখেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আগে ছাত্রলীগের কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করুন ও কঠোর শাস্তি দিন। একই সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিচার করুন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আপনাদের ছেলেদের আত্মরক্ষার জন্য বোমা-পিস্তল-চাপাতি দরকার হয় কেন, যখন পুলিশ বাহিনী পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল বা থাকে? আইন দিয়ে প্রকৃত হামলাকারী ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি দিন। আপনি দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। আপনার কাছ থেকে নিরপেক্ষ, পক্ষপাতশূন্য ভূমিকা আশা করি। আবদুল হক: তারা যে-ই হোক বিচারের আওতায় আনতেই হবে। দলীয় পরিচয় জানার আমাদের দরকার নেই। মো. আসিফ ইকবাল: আমাদের ছেলেদের কি জীবন বাঁচানোর অধিকার নেই? তবু সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই। সন্ত্রাসীদের বরদাশত করা হবে না। তবে আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আত্মরক্ষার অধিকার ১৬ কোটি জনগণেরই আছে, তাহলে আমাদের সবাইকে একটি করে অস্ত্র দেওয়া হোক।
বিএনপি কি তাহলে হেরে যেত?
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের জরিপে দেখা যাচ্ছে, সব দলের অংশগ্রহণে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি অন্তত সাড়ে ৫ শতাংশ ভোট কম পেত। এ নিয়ে পাঠক এ রহমান লিখেছেন: সরকারের উচিত সব দুষ্কৃতকারী, পুলিশ মারা, ককটেল ছোড়া, মানুষ পোড়ানো খুনিদের এক এক করে ধরে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা; তা সে যে দলেরই হোক না কেন। জনজীবনে নিরাপত্তা দেওয়া, কঠোর হাতে দুষ্কৃতকারী দমন করা, আইনশৃঙ্খলা ঠিক করা, সুশাসন ফিরিয়ে আনা সরকারের জন্য একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ, কিন্তু সদিচ্ছা থাকলে করা অসম্ভব নয়। মো. তাসফিক ইসলাম: বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জরিপের ফল দেখেছি। এসব জরিপ কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প হতে পারে না এবং কখনোই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনকে কাভার দিতে পারে না। এসব জরিপ বাদ দিয়ে সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কীভাবে করা যায়, সে পথে সবাইকে হাঁটতে হবে। সোহেল: যত যা-ই বলেন, ফ্রি-ফেয়ার ও গ্রহণযোগ্য ইলেকশন হলে...এবার বাংলাদেশের মানুষ জিতবে এবং আওয়ামী লীগ হারবে। রঞ্জু খান: অসাধারণ মূল্যায়ন, আশা করি বিএনপির বোধোদয় হবে। খন্দকার দিদারুল ইসলাম: ঠিক, ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন হবে না এবং তাও হবে আওয়ামী লীগের অধীনে। যেমন হয়েছে ৫ জানুয়ারিতে। বিএনপি বসে বসে দিবাস্বপ্ন দেখতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা এটাই। মোরশেদ আলম: এ মুহূর্তে জনগণ আর কোনো নির্বাচন এবং আন্দোলনের নামে নাশকতা চায় না। এখন যেমন আছি, ভালোই আছি, আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।
ক্যাশ’ চাইলেন চিফ হুইপ
সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘আগামীকাল (গত শনিবার) দলীয় কার্যালয়ে বসব। যদি কারও উপঢৌকন দেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তবে আর এই ক্রেস্ট না। ক্যাশ (নগদ টাকা) চাই, ক্যাশ।’ চিফ হুইপের এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে পাঠক এ রহমান বলেছেন: এসব লোক চিফ হুইপ হয় কেমন করে? আর এ রকম কথাবার্তা, কাজকর্ম করে এখনো তিনি ওই পদে থাকেন কেমন করে? মো. আতাউর রহমান: এর পরও যদি পদ ঠিক থাকে তাহলে বুঝতে হবে...সর্বদলীয় গণতন্ত্র মানে ক্ষমতা ও সম্পদ। প্রধানমন্ত্রী ও সুশীল সমাজ কী বলেন, তা শুনতে চাই। আশরাফুল: দেশটার নাম বাংলাদেশ, সত্যিই এক আজব দেশের মানুষ আমরা। আর ওঁদের মতো লোক আমাদের নেতা। আমরা জনগণই খারাপ, এ সুযোগ ওঁদের দিই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি কী ধরনের নেতাদের বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন? অতি দ্রুত এঁদের প্রাথমিক সদস্য পদে নামিয়ে দিন, প্লিজ! মো. হানিফ: আমি একটুও অবাক হয়নি। কারণ, শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ আর এই আওয়ামী লীগ যোজন-যোজন দূরে।
মৃত গ্যাসক্ষেত্র সাঙ্গু-ময়নাতদন্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরূল ইমাম সমুদ্রবক্ষের একমাত্র গ্যাসক্ষেত্র সাঙ্গু নিঃশেষ ও পরিত্যক্ত হওয়ার কারণ এবং গ্যাস অনুসন্ধান ও আহরণে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে ভবিষ্যতে আমাদের করণীয় ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পাঠক সালাউদ্দিন শামসুদ্দিনের মন্তব্য: ড. বদরূল ইমাম, আপনি যা লিখেছেন তা সত্যি। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও একটি সমস্যা আছে, তা হলো—যখন কোনো সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়, তখন টার্ম এবং কন্ডিশনগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে দেখি না বাংলাদেশকে। দিন শেষে এর কোনো সুফল তো পকেটে ভরতে পারেই না, উপরন্তু নিজ পকেট থেকে এর ক্ষতিপূরণ দেয়। নিয়াজ আহমেদ: বিষয়টি জনসমক্ষে আনার জন্য ধন্যবাদ। প্রাকৃতিক সম্পদ খুবই টেকনিক্যাল বিষয় হওয়ায় আমরা অনেকেই এ বিষয়ে অন্ধকারে থাকি। আবদুস সালাম খান সুজন: ব্রিটিশ তেল কোম্পানি কেয়ার্ন এনার্জি, তাদের লাভটা উঠিয়ে নেওয়ার পরই সাঙ্গুর সাঙ্গ হলো! এটা স্বাভাবিক বা অপমৃত্যু নয়! এটা সুপরিকল্পিত হত্যা!
কৌশল ঠিক করতে পারছে না বিএনপি
নির্বাচন প্রতিহত করতে ব্যর্থ হওয়ার পর দলকে গোছানো, কর্মীদের মনোবল চাঙা করা এবং পুনরায় আন্দোলনের জন্য মাঠে নামতে কৌশল ঠিক করতে পারছে না বিএনপি। উপরন্তু দলটির মাঠপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের মতবিরোধ বেড়ে চলেছে। এ ব্যাপারে পাঠক সোহেল রহমানের মন্তব্য: আওয়ামী লীগ ২১ বছর দেশ শাসন বা সরকার গঠন থেকে দূরে বিরোধী দলে ছিল। আওয়ামী লীগ কিন্তু জনগণের মাঝ থেকে হারিয়ে যায়নি। তারা প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদের ভুলগুলো সংশোধন করে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনে সফল হয়। বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের মতো সেই প্রতিকূল সময় পার করছে। একমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত ও জনগণের আবেগ ধারণ করেই বিএনপিকে এই প্রতিকূলতা পার হতে হবে। আর নীতি-আদর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন কোনো রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারে না। সিকদার দস্তগীর: শুধু কৌশল কেন, বিএনপি কিছুই করতে পারবে না। ওরা কেবল জনগণের আশায় বসে ছিল। ওরা ভেবেছিল জনগণ বুকের রক্ত দিয়ে আর একটি এক-এগারো বানিয়ে দেবে। ওরা সেই বানানো মোয়াটি খাবে। আশঙ্কা হচ্ছে, এই অদ্ভুত এবং ভয়ংকররূপে আসা সরকার যদি আরও বেসামাল হয়ে পড়ে, তাহলে জনগণের ভাগ্যে যে আরও কত কী লেখা আছে, কে জানে? মীর মো. মোফাজ্জল হোসেইন: যেখানে জামায়াতের স্বপ্ন বাস্তবায়নেই বিএনপির রথযাত্রা, সেখানে বিএনপি কীভাবে কৌশল ঠিক করবে? শেখ মুস্তাফিজ: আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়া কেন এত জরুরি হয়ে পড়েছে? দেশ তো চলছেই। আপনারা ক্ষমতায় এলেও দেশ এর চেয়ে ভালো চলবে না। একাদশ নির্বাচনে কী করবেন, সেটা নিয়ে ভাবেন। আর সেই নির্বাচন যত দেরিতে হয় আপনাদের জন্য মঙ্গল। কারণ, আপনারা ততক্ষণ দল গোছাতে পারবেন। আন্দোলনের
আগে দল গোছান। সরকারের ভুল সিদ্ধান্তগুলোর সমালোচনা চালিয়ে যান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রসঙ্গে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যতজনের হাতে অস্ত্র দেখা গেছে, তারা সবাই ছাত্রলীগের নয়। ছাত্রলীগের যারা, তাদের আমরা ইতিমধ্যে বহিষ্কার করেছি। তদন্ত করে দেখা হবে, এর সঙ্গে কারা জড়িত।’ এ বক্তব্যের সমালোচনা করে পাঠক এ ডব্লিউ হক লিখেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আগে ছাত্রলীগের কুখ্যাত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করুন ও কঠোর শাস্তি দিন। একই সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিচার করুন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আপনাদের ছেলেদের আত্মরক্ষার জন্য বোমা-পিস্তল-চাপাতি দরকার হয় কেন, যখন পুলিশ বাহিনী পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল বা থাকে? আইন দিয়ে প্রকৃত হামলাকারী ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি দিন। আপনি দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। আপনার কাছ থেকে নিরপেক্ষ, পক্ষপাতশূন্য ভূমিকা আশা করি। আবদুল হক: তারা যে-ই হোক বিচারের আওতায় আনতেই হবে। দলীয় পরিচয় জানার আমাদের দরকার নেই। মো. আসিফ ইকবাল: আমাদের ছেলেদের কি জীবন বাঁচানোর অধিকার নেই? তবু সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই। সন্ত্রাসীদের বরদাশত করা হবে না। তবে আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আত্মরক্ষার অধিকার ১৬ কোটি জনগণেরই আছে, তাহলে আমাদের সবাইকে একটি করে অস্ত্র দেওয়া হোক।
বিএনপি কি তাহলে হেরে যেত?
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের জরিপে দেখা যাচ্ছে, সব দলের অংশগ্রহণে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপি অন্তত সাড়ে ৫ শতাংশ ভোট কম পেত। এ নিয়ে পাঠক এ রহমান লিখেছেন: সরকারের উচিত সব দুষ্কৃতকারী, পুলিশ মারা, ককটেল ছোড়া, মানুষ পোড়ানো খুনিদের এক এক করে ধরে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা; তা সে যে দলেরই হোক না কেন। জনজীবনে নিরাপত্তা দেওয়া, কঠোর হাতে দুষ্কৃতকারী দমন করা, আইনশৃঙ্খলা ঠিক করা, সুশাসন ফিরিয়ে আনা সরকারের জন্য একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ, কিন্তু সদিচ্ছা থাকলে করা অসম্ভব নয়। মো. তাসফিক ইসলাম: বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জরিপের ফল দেখেছি। এসব জরিপ কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প হতে পারে না এবং কখনোই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনকে কাভার দিতে পারে না। এসব জরিপ বাদ দিয়ে সবাইকে নিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কীভাবে করা যায়, সে পথে সবাইকে হাঁটতে হবে। সোহেল: যত যা-ই বলেন, ফ্রি-ফেয়ার ও গ্রহণযোগ্য ইলেকশন হলে...এবার বাংলাদেশের মানুষ জিতবে এবং আওয়ামী লীগ হারবে। রঞ্জু খান: অসাধারণ মূল্যায়ন, আশা করি বিএনপির বোধোদয় হবে। খন্দকার দিদারুল ইসলাম: ঠিক, ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন হবে না এবং তাও হবে আওয়ামী লীগের অধীনে। যেমন হয়েছে ৫ জানুয়ারিতে। বিএনপি বসে বসে দিবাস্বপ্ন দেখতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা এটাই। মোরশেদ আলম: এ মুহূর্তে জনগণ আর কোনো নির্বাচন এবং আন্দোলনের নামে নাশকতা চায় না। এখন যেমন আছি, ভালোই আছি, আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।
ক্যাশ’ চাইলেন চিফ হুইপ
সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘আগামীকাল (গত শনিবার) দলীয় কার্যালয়ে বসব। যদি কারও উপঢৌকন দেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তবে আর এই ক্রেস্ট না। ক্যাশ (নগদ টাকা) চাই, ক্যাশ।’ চিফ হুইপের এ বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে পাঠক এ রহমান বলেছেন: এসব লোক চিফ হুইপ হয় কেমন করে? আর এ রকম কথাবার্তা, কাজকর্ম করে এখনো তিনি ওই পদে থাকেন কেমন করে? মো. আতাউর রহমান: এর পরও যদি পদ ঠিক থাকে তাহলে বুঝতে হবে...সর্বদলীয় গণতন্ত্র মানে ক্ষমতা ও সম্পদ। প্রধানমন্ত্রী ও সুশীল সমাজ কী বলেন, তা শুনতে চাই। আশরাফুল: দেশটার নাম বাংলাদেশ, সত্যিই এক আজব দেশের মানুষ আমরা। আর ওঁদের মতো লোক আমাদের নেতা। আমরা জনগণই খারাপ, এ সুযোগ ওঁদের দিই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি কী ধরনের নেতাদের বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন? অতি দ্রুত এঁদের প্রাথমিক সদস্য পদে নামিয়ে দিন, প্লিজ! মো. হানিফ: আমি একটুও অবাক হয়নি। কারণ, শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ আর এই আওয়ামী লীগ যোজন-যোজন দূরে।
মৃত গ্যাসক্ষেত্র সাঙ্গু-ময়নাতদন্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরূল ইমাম সমুদ্রবক্ষের একমাত্র গ্যাসক্ষেত্র সাঙ্গু নিঃশেষ ও পরিত্যক্ত হওয়ার কারণ এবং গ্যাস অনুসন্ধান ও আহরণে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে ভবিষ্যতে আমাদের করণীয় ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পাঠক সালাউদ্দিন শামসুদ্দিনের মন্তব্য: ড. বদরূল ইমাম, আপনি যা লিখেছেন তা সত্যি। কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও একটি সমস্যা আছে, তা হলো—যখন কোনো সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়, তখন টার্ম এবং কন্ডিশনগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে দেখি না বাংলাদেশকে। দিন শেষে এর কোনো সুফল তো পকেটে ভরতে পারেই না, উপরন্তু নিজ পকেট থেকে এর ক্ষতিপূরণ দেয়। নিয়াজ আহমেদ: বিষয়টি জনসমক্ষে আনার জন্য ধন্যবাদ। প্রাকৃতিক সম্পদ খুবই টেকনিক্যাল বিষয় হওয়ায় আমরা অনেকেই এ বিষয়ে অন্ধকারে থাকি। আবদুস সালাম খান সুজন: ব্রিটিশ তেল কোম্পানি কেয়ার্ন এনার্জি, তাদের লাভটা উঠিয়ে নেওয়ার পরই সাঙ্গুর সাঙ্গ হলো! এটা স্বাভাবিক বা অপমৃত্যু নয়! এটা সুপরিকল্পিত হত্যা!
কৌশল ঠিক করতে পারছে না বিএনপি
নির্বাচন প্রতিহত করতে ব্যর্থ হওয়ার পর দলকে গোছানো, কর্মীদের মনোবল চাঙা করা এবং পুনরায় আন্দোলনের জন্য মাঠে নামতে কৌশল ঠিক করতে পারছে না বিএনপি। উপরন্তু দলটির মাঠপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের মতবিরোধ বেড়ে চলেছে। এ ব্যাপারে পাঠক সোহেল রহমানের মন্তব্য: আওয়ামী লীগ ২১ বছর দেশ শাসন বা সরকার গঠন থেকে দূরে বিরোধী দলে ছিল। আওয়ামী লীগ কিন্তু জনগণের মাঝ থেকে হারিয়ে যায়নি। তারা প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদের ভুলগুলো সংশোধন করে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনে সফল হয়। বিএনপি এখন আওয়ামী লীগের মতো সেই প্রতিকূল সময় পার করছে। একমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত ও জনগণের আবেগ ধারণ করেই বিএনপিকে এই প্রতিকূলতা পার হতে হবে। আর নীতি-আদর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন কোনো রাজনৈতিক দল টিকে থাকতে পারে না। সিকদার দস্তগীর: শুধু কৌশল কেন, বিএনপি কিছুই করতে পারবে না। ওরা কেবল জনগণের আশায় বসে ছিল। ওরা ভেবেছিল জনগণ বুকের রক্ত দিয়ে আর একটি এক-এগারো বানিয়ে দেবে। ওরা সেই বানানো মোয়াটি খাবে। আশঙ্কা হচ্ছে, এই অদ্ভুত এবং ভয়ংকররূপে আসা সরকার যদি আরও বেসামাল হয়ে পড়ে, তাহলে জনগণের ভাগ্যে যে আরও কত কী লেখা আছে, কে জানে? মীর মো. মোফাজ্জল হোসেইন: যেখানে জামায়াতের স্বপ্ন বাস্তবায়নেই বিএনপির রথযাত্রা, সেখানে বিএনপি কীভাবে কৌশল ঠিক করবে? শেখ মুস্তাফিজ: আপনাদের ক্ষমতায় যাওয়া কেন এত জরুরি হয়ে পড়েছে? দেশ তো চলছেই। আপনারা ক্ষমতায় এলেও দেশ এর চেয়ে ভালো চলবে না। একাদশ নির্বাচনে কী করবেন, সেটা নিয়ে ভাবেন। আর সেই নির্বাচন যত দেরিতে হয় আপনাদের জন্য মঙ্গল। কারণ, আপনারা ততক্ষণ দল গোছাতে পারবেন। আন্দোলনের
আগে দল গোছান। সরকারের ভুল সিদ্ধান্তগুলোর সমালোচনা চালিয়ে যান।
No comments