ফিরে দেখা by রহিম শেখ
মঙ্গলবার মধ্যরাতে এক বছরের এক শিশুকে
নিয়ে মা এসেছিলেন প্রতিবাদ জানাতে। তার প্রতিবাদের ভাষা ছিল, ‘ফাঁসি চাই,
ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই।
’ দেখলাম একদল তরুণ কাগজ
বিছিয়ে বসে আছে। হাতে ব্যানার। সেখানে লেখা আছে ‘এক দফা, এক দাবি,
রাজাকারের ফাঁসি দিবি।’ রাত প্রায় ৩টার দিকে একজন রিকশাচালক বেসরকারী একটি
টেলিভিশনকে ক্ষোভের সঙ্গে বলছিলেন, ‘আমারে কওনা কয়ডা খুন করলে ফাঁসি হবে,
আমি সেই কয়ডা খুন করতে চাই।’ রাত যখন শেষের দিকে তখনও কবি, লেখক, সাংবাদিক,
শিল্পী, বুদ্ধিজীবী, ব্লগারসহ শত শত জনতাকে দেখলাম ফাঁসির দাবিতে সেøাগান
দিচ্ছেন।
ব্যানার দেখালে ক্ষতি হবে
শরীফুল ইসলাম ॥ ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা। নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম। মঞ্চের অনতিদূরে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা অনেক ব্যানার উঁচিয়ে রেখে তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছিলেন। আর তা করতে গিয়ে কার ব্যানার বেশি উপরে থাকবে এ নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। মঞ্চ থেকে বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কেউই ব্যানার নামাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে আবদুস সালাম হুঙ্কার দিয়ে বলতে থাকেন, ‘ব্যানার দেখালে লাভ হবে না, বরং ক্ষতি হবে।’ সঙ্গে সঙ্গে সব ব্যানার নামিয়ে ফেলে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নেতাকর্মীরা।
‘বজ্র আঁটুনি, ফসকা গেরো’
আরাফাত মুন্না ॥ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী যুদ্ধকালীন মামা গ্রুপ গেরিলা বাহিনীর প্রধান সৈয়দ শহীদুল হক মামা মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর বলেন, দক্ষ জনবলের অভাবেই আজ এ রায় হয়েছে। কাদের মোল্লার মৃত্যুদ- না হয়ে যাবজ্জীবন হয়েছে। একাত্তরের খুনীরা আমাদের লাল-সবুজের পতাকায় খামচাচ্ছে, আমরা জানি না আমাদের পতাকাকে ধরে রাখতে পারব কি-না? তিনি বলেন, আজ ফাঁসির রায়ের দাবিতে অলিগলিতে, রাজপথে মিছিল হওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা হয়নি। কোথায় গেল আমাদের নেতারা। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক হয়ে জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করতে হবে। এ রায়কে বাংলা প্রবাদবাক্য ‘বজ্র আঁটুনি, ফসকা গেরো’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন তিনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রথম থেকে খুব কঠিনভাবে মামলা পরিচালিত হচ্ছিল। তবে শেষে রায়ে আশানুরূপ কোন ফল পাওয়া গেল না। এটাকে ‘বজ্র আঁটুনি, ফসকা গেরো’ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।
ব্যানার দেখালে ক্ষতি হবে
শরীফুল ইসলাম ॥ ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা। নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম। মঞ্চের অনতিদূরে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা অনেক ব্যানার উঁচিয়ে রেখে তাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছিলেন। আর তা করতে গিয়ে কার ব্যানার বেশি উপরে থাকবে এ নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। মঞ্চ থেকে বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কেউই ব্যানার নামাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে আবদুস সালাম হুঙ্কার দিয়ে বলতে থাকেন, ‘ব্যানার দেখালে লাভ হবে না, বরং ক্ষতি হবে।’ সঙ্গে সঙ্গে সব ব্যানার নামিয়ে ফেলে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা নেতাকর্মীরা।
‘বজ্র আঁটুনি, ফসকা গেরো’
আরাফাত মুন্না ॥ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী যুদ্ধকালীন মামা গ্রুপ গেরিলা বাহিনীর প্রধান সৈয়দ শহীদুল হক মামা মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর বলেন, দক্ষ জনবলের অভাবেই আজ এ রায় হয়েছে। কাদের মোল্লার মৃত্যুদ- না হয়ে যাবজ্জীবন হয়েছে। একাত্তরের খুনীরা আমাদের লাল-সবুজের পতাকায় খামচাচ্ছে, আমরা জানি না আমাদের পতাকাকে ধরে রাখতে পারব কি-না? তিনি বলেন, আজ ফাঁসির রায়ের দাবিতে অলিগলিতে, রাজপথে মিছিল হওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা হয়নি। কোথায় গেল আমাদের নেতারা। তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে হলে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক হয়ে জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করতে হবে। এ রায়কে বাংলা প্রবাদবাক্য ‘বজ্র আঁটুনি, ফসকা গেরো’ হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন তিনি। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রথম থেকে খুব কঠিনভাবে মামলা পরিচালিত হচ্ছিল। তবে শেষে রায়ে আশানুরূপ কোন ফল পাওয়া গেল না। এটাকে ‘বজ্র আঁটুনি, ফসকা গেরো’ ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।
No comments