দেশের উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করুন ॥ প্রধানমন্ত্রী- এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দের সাক্ষাত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসাকে কেবল
টাকা তৈরির কারখানা না বানিয়ে নিয়মিত কর দেয়া ও দেশের কল্যাণে চিন্তা করার
জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা অবশ্যই ব্যবসা করবেন। তবে দেশ সম্পর্কেও
আপনাদের ভাবতে হবে। আপনাদের উপার্জন দেশের বাইরে নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
আমরা প্রচুর পরিমাণ দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ চাই। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ
চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) পরিচালনা পরিষদের
নবনির্বাচিত সদস্যবৃন্দ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে
সাক্ষাতকালে শেখ হাসিনা একথা বলেন। খবর বাসসর।
নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, সদ্য বিদায়ী সভাপতি একে আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, নতুন সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, আসিফ ইব্রাহিম, আবদুর রাজ্জাক, সেলিম ওসমান, আবদুল হক, প্রবীর কুমার সাহা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন সেক্টর থেকে আসা পরিচালকবৃন্দ এসব খাতের উন্নয়নে শিল্পের বিদ্যমান অবস্থা তুলে ধরে বেশ কিছু সুপারিশ পেশ করেন।
তারা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও শিল্প বাণিজ্যের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ও তাঁর সরকারের নেয়া ব্যবস্থার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে স্বাধীনভাবে দাঁড়াতে সহায়তা করতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে সব বাধা অপসারণে তাঁর সরকার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) দেশে বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন ও গ্যাস সঞ্চালনের জন্য ইতোমধ্যে ৫টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
শিল্প বিদ্যুত ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের দাবি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত ৪ বছরে ৫৪টি বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনেরও চুক্তি হয়েছে।
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ তাঁর দলের নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করতে সফল প্রচেষ্টার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
তাঁরা রাজধানীতে এফবিসিসিআই’র নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। নেতৃবৃন্দ যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে ফরমালিন আমদানির একক কর্তৃত্ব বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে দেয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারকে ব্যবসাবান্ধব উল্লে¬খ করে বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসায় উৎসাহী নয়, বরং উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে।
তিনি ব্যবসার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের আমলে সৃষ্ট সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে পূর্ববর্তী বিএনপি সরকারের উদ্যোগের তুলনা করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের শ্রমঘন শিল্প স্থাপনে অগ্রাধিকার দিয়েছে। কারণ, এ ছাড়া দেশের কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়। দেশে বর্তমান বেসরকারী খাত যে সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। এর সবই দিয়েছে তাঁর সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশে এই প্রথমবারের মতো বিদ্যুত কেন্দ্র বেসরকারী খাতে দিয়েছে। মোবাইল ফোন, বীমা কোম্পানি এবং এমনকি টেলিভিশন চ্যানেলও বেসরকারী খাতে দেয়া হয়েছে।
সংবিধানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে বলা হয়েছে যে, সরকারী, বেসরকারী ও সমবায় খাত হচ্ছে অর্থনীতির মূল ভিত্তি।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও আমরা এই নীতি অনুসরণ করছি। সম্প্রতি ডলারের মূল্যমান হ্রাস পেয়েছে এবং সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে আমরা সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছি।’
নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, সদ্য বিদায়ী সভাপতি একে আজাদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, নতুন সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, আসিফ ইব্রাহিম, আবদুর রাজ্জাক, সেলিম ওসমান, আবদুল হক, প্রবীর কুমার সাহা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন সেক্টর থেকে আসা পরিচালকবৃন্দ এসব খাতের উন্নয়নে শিল্পের বিদ্যমান অবস্থা তুলে ধরে বেশ কিছু সুপারিশ পেশ করেন।
তারা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও শিল্প বাণিজ্যের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ও তাঁর সরকারের নেয়া ব্যবস্থার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে স্বাধীনভাবে দাঁড়াতে সহায়তা করতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে সব বাধা অপসারণে তাঁর সরকার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) দেশে বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন ও গ্যাস সঞ্চালনের জন্য ইতোমধ্যে ৫টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
শিল্প বিদ্যুত ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের দাবি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত ৪ বছরে ৫৪টি বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনেরও চুক্তি হয়েছে।
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ তাঁর দলের নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণে ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করতে সফল প্রচেষ্টার জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
তাঁরা রাজধানীতে এফবিসিসিআই’র নতুন ভবন নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। নেতৃবৃন্দ যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে ফরমালিন আমদানির একক কর্তৃত্ব বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে দেয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারকে ব্যবসাবান্ধব উল্লে¬খ করে বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসায় উৎসাহী নয়, বরং উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে।
তিনি ব্যবসার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের আমলে সৃষ্ট সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে পূর্ববর্তী বিএনপি সরকারের উদ্যোগের তুলনা করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ধরনের শ্রমঘন শিল্প স্থাপনে অগ্রাধিকার দিয়েছে। কারণ, এ ছাড়া দেশের কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়। দেশে বর্তমান বেসরকারী খাত যে সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। এর সবই দিয়েছে তাঁর সরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দেশে এই প্রথমবারের মতো বিদ্যুত কেন্দ্র বেসরকারী খাতে দিয়েছে। মোবাইল ফোন, বীমা কোম্পানি এবং এমনকি টেলিভিশন চ্যানেলও বেসরকারী খাতে দেয়া হয়েছে।
সংবিধানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে বলা হয়েছে যে, সরকারী, বেসরকারী ও সমবায় খাত হচ্ছে অর্থনীতির মূল ভিত্তি।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও আমরা এই নীতি অনুসরণ করছি। সম্প্রতি ডলারের মূল্যমান হ্রাস পেয়েছে এবং সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে আমরা সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছি।’
No comments