ছিটমহলে শুরু হচ্ছে আলোবিহীন রাত যাপন কর্মসূচি
পঞ্চগড় জেলার অভ্যন্তরে ভারতীয় ১২টি ছিটমহলের বাসিন্দারা বাংলাদেশি নাগরিকত্ব না পাওয়া পর্যন্ত আলোবিহীন রাত যাপনের কর্মসূচি নিয়েছে। কাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে তাদের এ ব্যতিক্রমী কর্মসূচি শুরু হবে। এদিকে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার অভ্যন্তরে ৬২টি ছিটমহলের বাসিন্দাও একই কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে। কাল শনিবার সন্ধ্যার পর ছিটমহলগুলোতে তারা কোনো বাতি জ্বালাবে না। তারাও আলোবিহীন রাত যাপন কর্মসূচি পালন করবে।
ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির অন্যতম নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম মুঠোফোনে আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কোনো দেশ নেই, পরিচয় নেই, আমাদের বসবাস অন্ধকার জগতে। তাই আমাদের নাগরিকত্ব দিয়ে আলোর জগতে না ফেরানো পর্যন্ত আমরা সন্ধ্যার পর ঘরে আলো জ্বালাব না।’
মো. সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, তাঁরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের অনুরোধে শর্ত সাপেক্ষে ছিটমহলের নাগরিকেরা তাদের অনশন কর্মসূচি স্থগিত করে। সাত দিনের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে আবার আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে তিনি জানান।
ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির অন্যতম নেতা মো. সিরাজুল ইসলাম মুঠোফোনে আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কোনো দেশ নেই, পরিচয় নেই, আমাদের বসবাস অন্ধকার জগতে। তাই আমাদের নাগরিকত্ব দিয়ে আলোর জগতে না ফেরানো পর্যন্ত আমরা সন্ধ্যার পর ঘরে আলো জ্বালাব না।’
মো. সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, তাঁরা আরও কঠোর কর্মসূচি দেবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের অনুরোধে শর্ত সাপেক্ষে ছিটমহলের নাগরিকেরা তাদের অনশন কর্মসূচি স্থগিত করে। সাত দিনের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে আবার আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে আজ ছিটমহল সমন্বয় কমিটি বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতীয় বিভিন্ন ছিটমহলে সফর করেন। এ সময় তিনি ১৯৭৪ সালের মুজিব ইন্দিরা চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন, মিছিল, সমাবেশের ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরাও ছিটমহলগুলোতে বাতি জ্বালাবে না। তিনি কুড়িগ্রাম শহীদ মিনারে ছিটমহলবাসীর শান্তিপূর্ণ গণ-অনশনে পুলিশ বাধা দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দাশিয়ারছড়া ছিটের সম্পাদক মোজ্জাফর হোসেন, সহসভাপতি ময়নুল হক প্রমুখ।
No comments