হেঁটে হেঁটে আমাজন জয়
হিংস্র জন্তু-জানোয়ার, অ্যানাকোন্ডা সাপ, কুমির, বিষাক্ত কুঁচে, বিচ্ছু, ভয়ংকর আদিবাসী—এসবের কিছুই আটকাতে পারেনি তাঁকে। প্রতি পদে মৃত্যুর ঝুঁকি আছে জেনেও আড়াই বছর ধরে তিনি হেঁটে চলেছেন মহাবিপদসংকুল আমাজন নদীর পাড় ধরে। অ্যাডওয়ার্ড স্ট্যাফোর্ড নামের ওই ব্যক্তি একজন সাবেক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা। পেরু থেকে ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল হাঁটা শুরু করেছিলেন। ৮৫৯ দিন টানা হেঁটে গত সোমবার তিনি উত্তর ব্রাজিলে এসে পৌঁছান। আর মাত্র কয়েক মাইল। এটুকু পথ পাড়ি দিলেই তিনি হবেন বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি, যিনি একা ছয় হাজার ৪০০ কিলোমিটার আমাজনের তীর হেঁটে এসেছেন।
৩৪ বছর বয়সী স্ট্যাফোর্ড গত সোমবার বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘এর আগে কেউ এ ধরনের অভিযানে নামেনি। সে কারণে আমি এটা করছি।’ তবে এ অভিযানের মধ্য দিয়ে আমাজনের জঙ্গল ধ্বংস প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি হবে বলে তিনি আশা করেন।
স্ট্যাফোর্ড বলেছেন, তিনি এবং তাঁর এক বন্ধু ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল পেরুর দক্ষিণ উপকূল এলাকা থেকে হাঁটা শুরু করেন। কিন্তু তিন মাসের মাথায় তাঁর সঙ্গী রণে ভঙ্গ দেন। দমে না গিয়ে স্ট্যাফোর্ড একাই হাঁটতে থাকেন। মাঝে মাঝেই তাঁকে ভয়ংকর সব জলাভূমি সাঁতরে পাড়ি দিতে হয়েছে। এসব এলাকার জলায় অজস্র প্রজাতির সাপ ও বিষাক্ত প্রাণী রয়েছে। পেরুর জঙ্গল পথে হাঁটতে হাঁটতে স্ন্যাচেজ রিভেরা নামের এক বনকর্মীর সঙ্গে স্ট্যাফোর্ডের পরিচয় হয়। এরপরই রিভেরা তাঁর সফরসঙ্গী হন।
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁরা পেরুর এক আদিবাসী গোত্রের হাতে আটক হন। ‘সাদা চামড়ার বিদেশি’ বলে তারা তাঁদের হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে শর্ত সাপেক্ষে ছাড়া পান।
স্ট্যাফোর্ড বলেছেন, এই অরণ্যসংকুল দীর্ঘ পথে যেখানেই রাত নেমেছে, সেখানেই তিনি তাঁবু ফেলে ঘুমিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত তাঁকে প্রায় ৫০ হাজার মশার কামড় খেতে হয়েছে। মাঝে মাঝেই খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে বিপদে পড়তে হয়েছে।
স্ট্যাফোর্ড আরও বলেছেন, আড়াই বছর ধরে হাঁটা ছাড়া তিনি কোনো কাজই করেননি। এই পদযাত্রায় তাঁর খরচ হয়েছে এক লাখ ডলার। অবশ্য বিভিন্ন কোম্পানি স্পন্সর হিসেবে এ খরচ বহন করেছে। তিনি বলেছেন, যাত্রাপথে তিনি আমাজন জঙ্গলের বহু জায়গায় বন উজাড় করার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
স্ট্যাফোর্ড বলেন, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি আরেকটি অভিযান শুরু করবেন। তবে সেই অভিযানের ধরন কী হবে তা তিনি এখনই প্রকাশ করতে রাজি হননি।
৩৪ বছর বয়সী স্ট্যাফোর্ড গত সোমবার বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, ‘এর আগে কেউ এ ধরনের অভিযানে নামেনি। সে কারণে আমি এটা করছি।’ তবে এ অভিযানের মধ্য দিয়ে আমাজনের জঙ্গল ধ্বংস প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি হবে বলে তিনি আশা করেন।
স্ট্যাফোর্ড বলেছেন, তিনি এবং তাঁর এক বন্ধু ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল পেরুর দক্ষিণ উপকূল এলাকা থেকে হাঁটা শুরু করেন। কিন্তু তিন মাসের মাথায় তাঁর সঙ্গী রণে ভঙ্গ দেন। দমে না গিয়ে স্ট্যাফোর্ড একাই হাঁটতে থাকেন। মাঝে মাঝেই তাঁকে ভয়ংকর সব জলাভূমি সাঁতরে পাড়ি দিতে হয়েছে। এসব এলাকার জলায় অজস্র প্রজাতির সাপ ও বিষাক্ত প্রাণী রয়েছে। পেরুর জঙ্গল পথে হাঁটতে হাঁটতে স্ন্যাচেজ রিভেরা নামের এক বনকর্মীর সঙ্গে স্ট্যাফোর্ডের পরিচয় হয়। এরপরই রিভেরা তাঁর সফরসঙ্গী হন।
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁরা পেরুর এক আদিবাসী গোত্রের হাতে আটক হন। ‘সাদা চামড়ার বিদেশি’ বলে তারা তাঁদের হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে শর্ত সাপেক্ষে ছাড়া পান।
স্ট্যাফোর্ড বলেছেন, এই অরণ্যসংকুল দীর্ঘ পথে যেখানেই রাত নেমেছে, সেখানেই তিনি তাঁবু ফেলে ঘুমিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত তাঁকে প্রায় ৫০ হাজার মশার কামড় খেতে হয়েছে। মাঝে মাঝেই খাবার ফুরিয়ে যাওয়ায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে বিপদে পড়তে হয়েছে।
স্ট্যাফোর্ড আরও বলেছেন, আড়াই বছর ধরে হাঁটা ছাড়া তিনি কোনো কাজই করেননি। এই পদযাত্রায় তাঁর খরচ হয়েছে এক লাখ ডলার। অবশ্য বিভিন্ন কোম্পানি স্পন্সর হিসেবে এ খরচ বহন করেছে। তিনি বলেছেন, যাত্রাপথে তিনি আমাজন জঙ্গলের বহু জায়গায় বন উজাড় করার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
স্ট্যাফোর্ড বলেন, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি আরেকটি অভিযান শুরু করবেন। তবে সেই অভিযানের ধরন কী হবে তা তিনি এখনই প্রকাশ করতে রাজি হননি।
No comments