পীতসাগরে দ. কোরিয়ার নজিরবিহীন মহড়া শুরু
দক্ষিণ কোরিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পীতসাগরে উত্তর কোরিয়ার জলসীমা-সংলগ্ন এলাকায় নজিরবিহীন সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সিউল বলেছে, তাদের সামরিক ইতিহাসে এত বড় মহড়া এর আগে কখনো হয়নি। সেনা, নৌ, বিমান ও ডুবুরি বাহিনীর প্রায় সাড়ে চার হাজার সেনা এতে অংশ নিয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে সেখানে গোলা ছোড়া হচ্ছে। গত মার্চে পীতসাগরে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সাবমেরিন প্রতিপক্ষের টর্পেডোর আঘাতে ডুবে ৪৬ জন মেরিন সেনা মারা যায়। এ জন্য দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করলেও উত্তর কোরিয়া দায় অস্বীকার করে। ওই ঘটনার জের ধরে দক্ষিণ কোরিয়া এখন শক্তি প্রদর্শন করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, পাঁচ দিন ধরে তারা পীতসাগরে মহড়া দেবে। এ সময় উত্তর কোরিয়া কোনো ধরনের উসকানি দিলে তারা তা বরদাশত করবে না। এর আগে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দক্ষিণ কোরিয়া উসকানিমূলক কোনো ধরনের তত্পরতা চালালে পিয়ংইয়ং তার পাল্টা জবাব দেবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের (জেসিএস) একজন মুখপাত্র গতকাল এএফপিকে বলেন, তাদের সামরিক ইতিহাসের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় অ্যান্টি-সাবমেরিন মহড়া। একটি সাবমেরিন ও একটি ডেসট্রয়ারসহ (সাবমেরিন-বিধ্বংসী জাহাজ) মোট ২৯টি যুদ্ধজাহাজ এবং ৫০টি যুদ্ধবিমান নিয়ে মোট সাড়ে চার হাজার সেনা এ মহড়ায় যোগ দিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে জাপান সাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর আট দিন পর পীতসাগরে সিউল এ বিশাল মহড়া দেওয়া শুরু করে।
জেসিএসের ওই মুখপাত্র বলেন, তারা যে মহড়া চালাচ্ছে, সেটি প্রতিরোধমূলক মহড়া। শত্রুপক্ষ থেকে নৌ অথবা আকাশপথে হামলা এলে কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, তারা সে বিষয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমাভুক্ত একটি দ্বীপে মেরিন সেনারা অবস্থান নিয়েছে। সেখান থেকে তারা গুলি ছুড়ছে। তবে তারা উত্তর দিকে নয় দক্ষিণ-পূর্বদিকে বন্দুক তাক করে গুলি করছে।
জেসিএস মুখপাত্র বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া মাঝে মাঝে উসকানিমূলক তত্পরতা চালালেও আমরা সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছি না।’
অন্য একজন জেসিএস মুখপাত্র বলেছেন, নৌ মহড়ায় সাবমেরিন বিধ্বংসের প্রশিক্ষণ হিসেবে টর্পেডো ছোড়া হচ্ছে। মহড়ায় ৪৪০০ টন ওজনের একটি ডেস্ট্রয়ার কল্পিত শত্রুপক্ষের সাবমেরিনের অবস্থান শনাক্ত করে। এর পরই একটি হেলিকপ্টার থেকে টর্পেডো ছোড়া হয়।
এ মহড়া সম্পর্কে গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি এক অর্থে সরাসরি সামরিক অভিযান। পিয়ংইয়ং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া যদি সীমা লঙ্ঘন করে মহড়া চালাতে থাকে, তাহলে উত্তর কোরিয়া তার সমুচিত জবাব দেবে। গতকাল বৃহস্পতিবারও উত্তর কোরিয়া উসকানির বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, পাঁচ দিন ধরে তারা পীতসাগরে মহড়া দেবে। এ সময় উত্তর কোরিয়া কোনো ধরনের উসকানি দিলে তারা তা বরদাশত করবে না। এর আগে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দক্ষিণ কোরিয়া উসকানিমূলক কোনো ধরনের তত্পরতা চালালে পিয়ংইয়ং তার পাল্টা জবাব দেবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের (জেসিএস) একজন মুখপাত্র গতকাল এএফপিকে বলেন, তাদের সামরিক ইতিহাসের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় অ্যান্টি-সাবমেরিন মহড়া। একটি সাবমেরিন ও একটি ডেসট্রয়ারসহ (সাবমেরিন-বিধ্বংসী জাহাজ) মোট ২৯টি যুদ্ধজাহাজ এবং ৫০টি যুদ্ধবিমান নিয়ে মোট সাড়ে চার হাজার সেনা এ মহড়ায় যোগ দিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে জাপান সাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর আট দিন পর পীতসাগরে সিউল এ বিশাল মহড়া দেওয়া শুরু করে।
জেসিএসের ওই মুখপাত্র বলেন, তারা যে মহড়া চালাচ্ছে, সেটি প্রতিরোধমূলক মহড়া। শত্রুপক্ষ থেকে নৌ অথবা আকাশপথে হামলা এলে কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে, তারা সে বিষয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমাভুক্ত একটি দ্বীপে মেরিন সেনারা অবস্থান নিয়েছে। সেখান থেকে তারা গুলি ছুড়ছে। তবে তারা উত্তর দিকে নয় দক্ষিণ-পূর্বদিকে বন্দুক তাক করে গুলি করছে।
জেসিএস মুখপাত্র বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া মাঝে মাঝে উসকানিমূলক তত্পরতা চালালেও আমরা সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছি না।’
অন্য একজন জেসিএস মুখপাত্র বলেছেন, নৌ মহড়ায় সাবমেরিন বিধ্বংসের প্রশিক্ষণ হিসেবে টর্পেডো ছোড়া হচ্ছে। মহড়ায় ৪৪০০ টন ওজনের একটি ডেস্ট্রয়ার কল্পিত শত্রুপক্ষের সাবমেরিনের অবস্থান শনাক্ত করে। এর পরই একটি হেলিকপ্টার থেকে টর্পেডো ছোড়া হয়।
এ মহড়া সম্পর্কে গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি এক অর্থে সরাসরি সামরিক অভিযান। পিয়ংইয়ং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া যদি সীমা লঙ্ঘন করে মহড়া চালাতে থাকে, তাহলে উত্তর কোরিয়া তার সমুচিত জবাব দেবে। গতকাল বৃহস্পতিবারও উত্তর কোরিয়া উসকানির বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করে।
No comments