ভারতের বোলিং-অবজ্ঞার মাশুল
টেস্টের প্রথম দিনে ভারতকে চাপে ফেলে দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের উন্নতির প্রমাণটা রাখল বাংলাদেশ। টস জয়ের পর সাকিব আল হাসানের ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তকে প্রথমে রক্ষণাত্মক মনে হয়েছিল। ম্যাচ দেরিতে শুরু হওয়া এবং আলোকস্বল্পতা ভারতীয় সিমারদের জন্য খুবই সহায়ক হবে—এটা ভেবেই হয়তো ব্যাটসম্যানদের আগলাতে চেয়েছিলেন তিনি। কারণ যাই হোক, তাঁর নেতৃত্ব, ফিল্ড সাজানো এবং বোলার পরিবর্তন ছিল নজরকাড়া। তিনি কখনোই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের স্বচ্ছন্দ হতে দেননি। বোলাররা দেখালেন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ভারতের যখন বিনা উইকেটে ৬৩ রান, তখন কে ভাবতে পেরেছিল এমনটা ঘটতে চলেছে?
লাঞ্চের আগের ঘণ্টার খেলায় ভারতীয় ওপেনারদের কাছে সমস্যা ছিল পিচের মন্থরতা। বাউন্স ছিল টেনিস বলের মতো এবং বল সিমের ওপর পড়ে ব্যাটসম্যানের সামনে এসে থেমে যাচ্ছিল। লাঞ্চের পর বোলারদের অবজ্ঞা করার ভুলটা করল। তারা ভুলে গেল বোলিং আক্রমণ যেমনই হোক, একটা ভুলই ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠানোর জন্য যথেষ্ট। লাঞ্চ-পরবর্তী সেশনে শেবাগ তিনটি বাউন্ডারি মেরে আরেকটি ফিফটিতে পৌঁছালেন, যেটি বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস। কিন্তু পরের ওভারেই তিনি আউট হয়ে ফিরলেন ব্যাকফুট ড্রাইভটি মাটিতে রাখতে না পারায়। গম্ভীরও ফিরলেন উচ্চাভিলাষী শট খেলতে গিয়ে, প্রত্যাশাতীত বাউন্সের বলে কাট করতে গেলেন তিনি। এর পরও আশাটা ছিল, নিজেদের মধ্যে ২৫ হাজার টেস্ট রান করা দুই ব্যাটসম্যান দ্রাবিড় ও টেন্ডুলকার বড় ইনিংস খেলে ভারতকে বিপর্যয় থেকে বের করে আনবেন। আর শাহাদাত যে সম্ভবত ত্রিদেশীয় সিরিজের দল থেকে বাদ পড়ার পর কিছু করে দেখানোর জন্য ফুঁসছিলেন, তিনিই দ্রাবিড়কে বোল্ড করলেন দুর্দান্ত এক বলে। ‘দ্য ওয়াল’-এর এরকম ভেঙে পড়ার উদাহরণ কিন্তু খুব বেশি নেই। বোলারের দুকূল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস তো হবেই।
সাকিবকে দুঃসময় আঘাত হানতে পারছে না। তিনি দারুণ টার্ন আদায় করে ব্যাটসম্যানদের ভেবেচিন্তে খেলতে বাধ্য করেছেন। মাপা লেন্থে বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের জ্বালাতন করে ছেড়েছে তিনি, সঙ্গে দারুণভাবে মিশিয়েছে আর্ম বল। ভারত নিয়মিতই উইকেট হারিয়েছে, টেন্ডুলকার না থাকলে ভারত অলআউটই হয়ে যেত। ‘মাস্টার’ অসাধারণ ব্যাট করেছেন, উইকেটের মুভমেন্ট সামলাতে শুরু থেকেই বল দেখেশুনে খেলেছেন দেরিতে। পাশাপাশি রান বাড়ানোর চিন্তাটাও তাঁর মধ্যে ছিল। ভারতীয় বোলারদের জন্য বোর্ডে কিছু তো অন্তত জমাতে হবে!
সন্দেহাতীতভাবে প্রথম দিনটা ছিল বাংলাদেশের। বোলারদের এই অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে তাঁদের ব্যাটসম্যানদেরই কিছু করে দেখানোর পালা এখন।
লাঞ্চের আগের ঘণ্টার খেলায় ভারতীয় ওপেনারদের কাছে সমস্যা ছিল পিচের মন্থরতা। বাউন্স ছিল টেনিস বলের মতো এবং বল সিমের ওপর পড়ে ব্যাটসম্যানের সামনে এসে থেমে যাচ্ছিল। লাঞ্চের পর বোলারদের অবজ্ঞা করার ভুলটা করল। তারা ভুলে গেল বোলিং আক্রমণ যেমনই হোক, একটা ভুলই ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠানোর জন্য যথেষ্ট। লাঞ্চ-পরবর্তী সেশনে শেবাগ তিনটি বাউন্ডারি মেরে আরেকটি ফিফটিতে পৌঁছালেন, যেটি বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস। কিন্তু পরের ওভারেই তিনি আউট হয়ে ফিরলেন ব্যাকফুট ড্রাইভটি মাটিতে রাখতে না পারায়। গম্ভীরও ফিরলেন উচ্চাভিলাষী শট খেলতে গিয়ে, প্রত্যাশাতীত বাউন্সের বলে কাট করতে গেলেন তিনি। এর পরও আশাটা ছিল, নিজেদের মধ্যে ২৫ হাজার টেস্ট রান করা দুই ব্যাটসম্যান দ্রাবিড় ও টেন্ডুলকার বড় ইনিংস খেলে ভারতকে বিপর্যয় থেকে বের করে আনবেন। আর শাহাদাত যে সম্ভবত ত্রিদেশীয় সিরিজের দল থেকে বাদ পড়ার পর কিছু করে দেখানোর জন্য ফুঁসছিলেন, তিনিই দ্রাবিড়কে বোল্ড করলেন দুর্দান্ত এক বলে। ‘দ্য ওয়াল’-এর এরকম ভেঙে পড়ার উদাহরণ কিন্তু খুব বেশি নেই। বোলারের দুকূল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস তো হবেই।
সাকিবকে দুঃসময় আঘাত হানতে পারছে না। তিনি দারুণ টার্ন আদায় করে ব্যাটসম্যানদের ভেবেচিন্তে খেলতে বাধ্য করেছেন। মাপা লেন্থে বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের জ্বালাতন করে ছেড়েছে তিনি, সঙ্গে দারুণভাবে মিশিয়েছে আর্ম বল। ভারত নিয়মিতই উইকেট হারিয়েছে, টেন্ডুলকার না থাকলে ভারত অলআউটই হয়ে যেত। ‘মাস্টার’ অসাধারণ ব্যাট করেছেন, উইকেটের মুভমেন্ট সামলাতে শুরু থেকেই বল দেখেশুনে খেলেছেন দেরিতে। পাশাপাশি রান বাড়ানোর চিন্তাটাও তাঁর মধ্যে ছিল। ভারতীয় বোলারদের জন্য বোর্ডে কিছু তো অন্তত জমাতে হবে!
সন্দেহাতীতভাবে প্রথম দিনটা ছিল বাংলাদেশের। বোলারদের এই অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে তাঁদের ব্যাটসম্যানদেরই কিছু করে দেখানোর পালা এখন।
No comments