কথা নয়, সরকারের কাজ দেখতে চায় সবাই -বাজার অস্থির হয়ে পড়ছে
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার আবার অস্থির হয়ে উঠেছে। এ যেন রমজান মাস আসার আগে বাজারে আগুন লাগার পূর্বলক্ষণ। কোন কারণে হঠাৎ কাঁচামরিচের দর একলাফে কেজিপ্রতি ২০০ টাকা উঠেছিল আর কেনই বা ৩২ টাকার রসুন লাফিয়ে ৭০ টাকায় দাঁড়িয়েছে, এর কোনো সদুত্তর নেই। বাড়ছে ডাল, ছোলা ও ভোজ্যতেলের দাম। সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। আর খুচরা বাজারে এ অস্থিরতা মানুষকে এরই মধ্যে শঙ্কিত করে তুলেছে। তারা ভাবতে শুরু করেছে যে সরকার বাজার স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে ততটা সচেষ্ট নয়। বিশেষ করে বাণিজ্যমন্ত্রী দফায় দফায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করার পরও বাজারের অস্থিরতা চলতে থাকায় এ রকম ভাবাটা অমূলক নয়।
রমজান মাস সামনে রেখে সরকারের পক্ষ থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বিভিন্ন পণ্য আমদানি ও বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তা বাজারের চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। আর সরকারি প্রক্রিয়াগত জটিলতায় পণ্য আমদানি ও বিতরণের কাজটি প্রলম্বিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে টিসিবির উদ্যোগ বাজারে কতটুকু ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। তা ছাড়া বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও বিতরণের প্রায় পুরোটাই ব্যক্তি খাতনির্ভর। সুতরাং ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাওয়া না গেলে বাজারের অস্থিরতা কমানো খুব কঠিন।
বাজারে জোগান-শৃঙ্খল ঠিক রাখার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো দূর করার জন্য বহুদিন ধরে বলা হচ্ছে। এটা দু-চার দিনের কাজ নয়; বরং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার মতো বিষয়গুলো সমাধান করতে হলে কঠোর আইনি প্রয়োগ প্রয়োজন। আর এটা সরকারকেই করতে হবে। একইভাবে অভ্যন্তরীণ উত্পাদন বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে দীর্ঘমেয়াদি কৃষিনীতির প্রয়োজন। মাত্রাতিরিক্ত আমদানিনির্ভরতা সংকটকালে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অথচ সরকার নিজের অপ্রতুল প্রস্তুতির দিকে নজর না দিয়ে অনেক বেশি কথা বলছে। জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে এই বলে যে রমজান মাসে দাম সহনীয় থাকবে, যথেষ্ট সরবরাহ আছে প্রভৃতি। তবে এ আশ্বাস তখনই অর্থবহ হবে, যখন তা বাস্তবে দেখা যাবে। একইভাবে অযৌক্তিক দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ারও কোনো মানে নেই। মানুষজন আর কথা শুনতে চায় না; কাজ দেখতে চায়।
রমজান মাস সামনে রেখে সরকারের পক্ষ থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বিভিন্ন পণ্য আমদানি ও বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তা বাজারের চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। আর সরকারি প্রক্রিয়াগত জটিলতায় পণ্য আমদানি ও বিতরণের কাজটি প্রলম্বিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে টিসিবির উদ্যোগ বাজারে কতটুকু ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়। তা ছাড়া বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও বিতরণের প্রায় পুরোটাই ব্যক্তি খাতনির্ভর। সুতরাং ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাওয়া না গেলে বাজারের অস্থিরতা কমানো খুব কঠিন।
বাজারে জোগান-শৃঙ্খল ঠিক রাখার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো দূর করার জন্য বহুদিন ধরে বলা হচ্ছে। এটা দু-চার দিনের কাজ নয়; বরং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার মতো বিষয়গুলো সমাধান করতে হলে কঠোর আইনি প্রয়োগ প্রয়োজন। আর এটা সরকারকেই করতে হবে। একইভাবে অভ্যন্তরীণ উত্পাদন বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে দীর্ঘমেয়াদি কৃষিনীতির প্রয়োজন। মাত্রাতিরিক্ত আমদানিনির্ভরতা সংকটকালে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অথচ সরকার নিজের অপ্রতুল প্রস্তুতির দিকে নজর না দিয়ে অনেক বেশি কথা বলছে। জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা হচ্ছে এই বলে যে রমজান মাসে দাম সহনীয় থাকবে, যথেষ্ট সরবরাহ আছে প্রভৃতি। তবে এ আশ্বাস তখনই অর্থবহ হবে, যখন তা বাস্তবে দেখা যাবে। একইভাবে অযৌক্তিক দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ারও কোনো মানে নেই। মানুষজন আর কথা শুনতে চায় না; কাজ দেখতে চায়।
No comments