দিল্লির রাস্তায় হাঁটুপানি
আকস্মিক বন্যায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ যানজটের। শুক্রবার তোলা ছবি। -এপি |
ভারতের চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে দেশটির নয়াদিল্লির রাস্তায় যানজটে আটকা পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সারা রাত ধরে এসব লোক রাস্তার মধ্যে কাটিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ ভয়াবহ এ পরিস্থিতি সামাল দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন। স্থানীয় টিভি চ্যানেলের খবরে দেখা গেছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে সংযুক্ত গুরগাঁও শহরের রাস্তার সংযোগস্থল জুড়ে মাইলের পর মাইল রাস্তা যানজটে পরিপূর্ণ। খবর এএফপির। বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাসিন্দা ও অফিসযাত্রী লোকেরা হাঁটু সমান পানিতে চলাচল করেছেন। শুক্রবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় হারানা রাজ্যের রাস্তাগুলোতে মানুষ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় সরকার। এছাড়া এ এলাকার স্কুল-কলেজগুলোও দু’দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গুরগাঁও ভারতের ‘মিলেনিয়াম শহর’ হিসেবে স্বীকৃত। এখানেই রয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, বিশ্ব সেরা গলফ কোট, দেশ সেরা হাসপাতাল ও জমকালো শপিং মল। গুরগাঁও পুলিশ বলেছে,
রাস্তায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে দিল্লির নাগরিকরা গুরগাঁও শহরে এসেছে। ফলে অতিরিক্ত মানুষের চাপে এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে তাদের ফিরে যেতে আদেশ দেয়া হয়েছে। অনুভূতি শর্মা নামের এক বাসিন্দা তার সন্তানকে কয়েক কিলোমিটার দূরের একটি শিশু রক্ষণাবেক্ষণাগার থেকে নিয়ে আসতে পারেনি। সন্ধ্যা ৭টায় বাসা থেকে রওনা হয়ে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত যানজটে আটকা ছিলেন। শর্মা বলেন, আমার এক প্রতিবেশী রাত ৮টায় তাকে নিয়ে রওনা হন, তখনও আমি যানজটে আটকা ছিলাম। রাজেশ মেহতা নামের একজন টুইটারে লেখেন, গুরুগ্রাম! কি দুঃস্বপ্নের রাত কাটিয়েছি। ৫ ঘণ্টায় পার হয়েছি মাত্র ১ কিলোমিটার পথ। রাস্তার পাশে গাড়ি পার্ক করে গাড়িতে ঘুমিয়ে রাত কাটিয়ে দিয়েছি। স্থানীয় হিন্দুদের কাছে গুরগাঁও শহরটি ‘গুরুগ্রাম’ নামে পরিচিত। এপ্রিল মাসে স্থানীয় সরকার এটির নাম পরিবর্তন করে গুরুগ্রাম রাখেন। দেশটিতে চার মাসব্যাপী মৌসুমী বৃষ্টি শুরু হয় জুন মাস থেকে। এটা দেশের ৩৩ কোটি কৃষকের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তবে ভারতের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বেশির ভাগ অংশে অতি বৃষ্টির কারণে বন্যার সৃষ্টি হয়।
No comments