যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে হামলার হুমকি
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ‘বাস্তব ব্যবস্থা’ গ্রহণের হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ওয়াশিংটন ও সিউল একটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা-ব্যবস্থা মোতায়েন করা নিয়ে শুক্রবার মতৈক্যের ঘোষণা দেওয়ার পর কট্টর কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি এ হুমকি দিল। গত দেড় বছরে উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী-ব্যবস্থা ‘টার্মিনাল হাই অ্যালটিটুড এরিয়া ডিফেন্স (থাড)’ মোতায়েনে মতৈক্যের ওই ঘোষণা দেয়। থাড প্রতিরক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শত্রুর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র দূর থেকেই ধ্বংস করা যাবে। কখন ও কোথায় এ ব্যবস্থা মোতায়েন করা হবে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তবে স্থান বাছাইয়ের কাজটি এখন শেষ পর্যায়ে বলে জানানো হয়েছে। সামরিক বাহিনীর বিবৃতির বরাত দিয়ে উত্তর কোরিয়ায় সরকারি গণমাধ্যমে বলা হয়, ‘নির্মম প্রতিশোধ-মূলক হামলার ব্যাপারে আমাদের সেনারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ খবরে আরও বলা হয়,
দক্ষিণ কোরিয়ার ভেতর ওই প্রতিরক্ষাব্যবস্থার অবস্থান ও স্থান সম্পর্কে যখনই জানা যাবে, ওই মুহূর্ত থেকে ওই ব্যবস্থার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উত্তর কোরিয়া মাঝেমধ্যেই প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও এর মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ রকম হামলার হুমকি দিয়ে থাকে। এ দুই দেশের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়ে গেলে পিয়ংইয়ংয়ের এমন বাগাড়ম্বরপূর্ণ মন্তব্য করাটা স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। গত সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং-উনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে এ পদক্ষেপকে ‘স্পষ্ট যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে মন্তব্য করে পিয়ংইয়ং। থাড প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েনের পরিকল্পনার কথা ঘোষণার এক দিন পরই শনিবার উত্তর কোরিয়া তার একটি ডুবোজাহাজ থেকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। ইতিমধ্যে চীন ও রাশিয়া এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
No comments