প্রিজন সেলে আজিজুরের মৃত্যু ঘিরে রহস্য!
ব্যাংকিং খাতের আলোচিত ঘটনা হল-মার্ক কেলেঙ্কারি মামলার অন্যতম আসামি সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম একেএম আজিজুর রহমানের কারা হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, আজিজুর রহমান কার্ডিয়াক ও বহুমূত্রের সমস্যা নিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই তিনি হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। অপরদিকে আজিজুরের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, যে লোক বিকালেও ভাল ছিলেন, মেয়ের হাতে খাবার খেয়েছেন হঠাৎ সন্ধ্যায় তার মৃত্যু রহস্যজনক। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একেএম আজিজুর রহমান। এর আগে ১৩ই আগস্ট তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অসুস্থতাজনিত কারণে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। নিহত আজিজুর রহমান হলমার্ক কেলেঙ্কারি মামলার অন্যতম আসামি। তিনি ডিজিএম হিসেবে সোনালী ব্যাংক- রূপসী বাংলা হোটেল শাখার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। হলমার্ক কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর গত ২০১২ সালের ৪ঠা অক্টোবর আজিজুরসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে ১৮ জনকে ১১টি মামলায় আসামি করা হয়েছে, একেএম আজিজুর রহমান যাদের একজন। ওই বছরেরই ১৪ই অক্টোবর রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কারা সূত্র জানায়, গত রোববার আদালতে আজিজুর রহমানের শুনানির তারিখ ছিল। এ কারণে সকালে তাকে হাসপাতাল থেকে আদালতে নেয়া হয়। আদালতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে আবার বিএসএমএমইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যার পর হঠাৎ তার হার্ট অ্যাটাক হলে মৃত্যু হয়। গতকাল ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেহানুল হকের উপস্থিতিতে নিহত আজিজুর রহমানের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। সুরতহালে লাশের শরীরে কোন জখম বা অস্বাভাবিক চিহ্ন নেই উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) হাবিল হোসেন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনেরা তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে আজিজুর রহমানের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে যেমন তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি সহজেই মেনে নিতে পারছেন না। অপরদিকে হলমার্ক কেলেঙ্কারির অন্যতম আসামি আজিজুরের মৃত্যু হওয়ায় অনেক রাঘব বোয়ালই এই মামলা থেকে নিজেদের আড়াল করার সুযোগ পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। নিহতের বড় ছেলে শাহরিয়ার সাঈফ খান বলেন, ‘আমার বাবা একজন ব্যাংক ম্যানেজার। তার কতটুকুই বা ক্ষমতা রয়েছে? এটা সবাই জানে। রাঘব বোয়ালদের আড়াল করতেই আমার বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে। সাঈফ বলেন, ঘটনার পর থেকে আমাদের অনেক সম্পত্তি রয়েছে বলে নানা কথা হয়েছে। কিন্তু এই দুই বছরেও তো আমাদের কোন সম্পত্তি খুঁজে পেল না। হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে কারা জড়িত এটা সবাই জানে, কিন্তু তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলে না। আমার বাবার মতো সাধারণ মানুষদের জেল খাটতে খাটতে মৃত্যুবরণ করতে হয়।’ বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি অন্যভাবে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকালে আমি বাবার সঙ্গে হাসপাতালে ছিলাম। তিনি তখন একটু অসুস্থ বোধ করছিলেন। ডাক্তাররা তাকে অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে রেখেছিলেন। পরে একটু সুস্থ বোধ করলে তাকে আদালতে নেয়া হয়।’ সাঈফ বলেন, ‘আদালত থেকে ফেরার পর বাবার সঙ্গে আমার আপু আদৃতা ও ছোট ভাই আতিক ছিল। বিকালে বাবা সুস্থ ছিল। আসরের নামাজ পড়ে তসবিহ পড়তে পড়তে ঘুমিয়েছিলেন। তখন বোন ও ভাই বাসায় চলে আসে। পরে আমরা জানতে পারি ঘুমের মধ্যেই ওনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তার মৃত্যু স্বাভাবিক না অন্যভাবে হয়েছে এটা ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর জানতে পারব।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন আজিজুর রহমান। জবানবন্দিতে তিনি ব্যাংকের সে সময়কার অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের এক উপদেষ্টার সংশ্লিষ্টতার কথা বলেছিলেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক- রূপসী বাংলা শাখার সব খোঁজখবর জানত জিএম অফিস ও প্রধান কার্যালয়। এমনকি সরকারের সাবেক এক উপদেষ্টা ঘনঘন ব্যাংকের শাখায় যাতায়াত করতেন। ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মেহেরুননেসা মেরির মাধ্যমে ওই উপদেষ্টার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একই সুবাদে হলমার্কের তানভীর ও অন্যান্যদের সঙ্গে পরিচয় হয়। নিহত আজিজুরের বোন জামাই জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ওই উপদেষ্টাই সব। তিনি চাপ প্রয়োগ করে এসব করিয়েছেন। এখন অন্যরা ফেঁসে গেলেও তিনি বহাল-তবিয়তে রয়েছেন। তিনি বলেন, আদালতে আজিজুর রহমানের অসুস্থ হয়ে পড়ার যে কথা কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে তা ভুল। তিনি আদালতে অসুস্থ হননি। বিকাল ৪টার দিকে তার একমাত্র মেয়ে আদৃতা হাসপাতালে গিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করে। এসময় বাবা মেয়ের সামনে খাবার খেয়েছেন। নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। আসরের নামাজও পড়েছেন। মোটামুটি সুস্থ-সবল একজন মানুষ হঠাৎ সন্ধ্যায় এমনি এমনি মারা যেতে পারে না। তিনি বলেন, আমরা ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। স্বজনরা জানান, আজিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির শুকতাগ্রামে নিয়ে রাতেই দাফন করা হয়। তার বাবার নাম মরহুম আবুল কালাম খান। রাজধানী ঢাকার রামপুরার বনশ্রীর সি ব্লকে নিজের ফ্ল্যাটে তিনি থাকতেন।
এদিকে আজিজুর রহমানের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে যেমন তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি সহজেই মেনে নিতে পারছেন না। অপরদিকে হলমার্ক কেলেঙ্কারির অন্যতম আসামি আজিজুরের মৃত্যু হওয়ায় অনেক রাঘব বোয়ালই এই মামলা থেকে নিজেদের আড়াল করার সুযোগ পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। নিহতের বড় ছেলে শাহরিয়ার সাঈফ খান বলেন, ‘আমার বাবা একজন ব্যাংক ম্যানেজার। তার কতটুকুই বা ক্ষমতা রয়েছে? এটা সবাই জানে। রাঘব বোয়ালদের আড়াল করতেই আমার বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে। সাঈফ বলেন, ঘটনার পর থেকে আমাদের অনেক সম্পত্তি রয়েছে বলে নানা কথা হয়েছে। কিন্তু এই দুই বছরেও তো আমাদের কোন সম্পত্তি খুঁজে পেল না। হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে কারা জড়িত এটা সবাই জানে, কিন্তু তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলে না। আমার বাবার মতো সাধারণ মানুষদের জেল খাটতে খাটতে মৃত্যুবরণ করতে হয়।’ বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক নাকি অন্যভাবে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সকালে আমি বাবার সঙ্গে হাসপাতালে ছিলাম। তিনি তখন একটু অসুস্থ বোধ করছিলেন। ডাক্তাররা তাকে অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে রেখেছিলেন। পরে একটু সুস্থ বোধ করলে তাকে আদালতে নেয়া হয়।’ সাঈফ বলেন, ‘আদালত থেকে ফেরার পর বাবার সঙ্গে আমার আপু আদৃতা ও ছোট ভাই আতিক ছিল। বিকালে বাবা সুস্থ ছিল। আসরের নামাজ পড়ে তসবিহ পড়তে পড়তে ঘুমিয়েছিলেন। তখন বোন ও ভাই বাসায় চলে আসে। পরে আমরা জানতে পারি ঘুমের মধ্যেই ওনার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তার মৃত্যু স্বাভাবিক না অন্যভাবে হয়েছে এটা ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর জানতে পারব।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন আজিজুর রহমান। জবানবন্দিতে তিনি ব্যাংকের সে সময়কার অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের এক উপদেষ্টার সংশ্লিষ্টতার কথা বলেছিলেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংক- রূপসী বাংলা শাখার সব খোঁজখবর জানত জিএম অফিস ও প্রধান কার্যালয়। এমনকি সরকারের সাবেক এক উপদেষ্টা ঘনঘন ব্যাংকের শাখায় যাতায়াত করতেন। ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মেহেরুননেসা মেরির মাধ্যমে ওই উপদেষ্টার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একই সুবাদে হলমার্কের তানভীর ও অন্যান্যদের সঙ্গে পরিচয় হয়। নিহত আজিজুরের বোন জামাই জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ওই উপদেষ্টাই সব। তিনি চাপ প্রয়োগ করে এসব করিয়েছেন। এখন অন্যরা ফেঁসে গেলেও তিনি বহাল-তবিয়তে রয়েছেন। তিনি বলেন, আদালতে আজিজুর রহমানের অসুস্থ হয়ে পড়ার যে কথা কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে তা ভুল। তিনি আদালতে অসুস্থ হননি। বিকাল ৪টার দিকে তার একমাত্র মেয়ে আদৃতা হাসপাতালে গিয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করে। এসময় বাবা মেয়ের সামনে খাবার খেয়েছেন। নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। আসরের নামাজও পড়েছেন। মোটামুটি সুস্থ-সবল একজন মানুষ হঠাৎ সন্ধ্যায় এমনি এমনি মারা যেতে পারে না। তিনি বলেন, আমরা ময়নাতদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। স্বজনরা জানান, আজিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির শুকতাগ্রামে নিয়ে রাতেই দাফন করা হয়। তার বাবার নাম মরহুম আবুল কালাম খান। রাজধানী ঢাকার রামপুরার বনশ্রীর সি ব্লকে নিজের ফ্ল্যাটে তিনি থাকতেন।
No comments