হাইয়ান মোকাবেলার সমালোচনায় একুইনো
টাইফুন হাইয়ান মোকাবেলায় পূর্ণ প্রস্তুতি না নেয়ায় কয়েকটি এলাকার কর্তৃপক্ষের কড়া সমালোচনা করেছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট বেনিগনো একুইনো। উপকূলীয় শহর গুইউয়ান সফরের সময় একুইনো দক্ষতার সঙ্গে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য স্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেন। তিনি সেইসঙ্গে এও বলেন, অন্য শহরের অবস্থা এর মতো ভালো নয়। যদিও ঝড়ের প্রস্তুতি নিয়ে একুইনো সরকারকেও সমালোচিত হতে হয়েছে। হাইয়ানের আঘাতে দেশটিতে অন্ততপক্ষে ৩ হাজার ৯৭৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আনুষ্ঠানিক তালিকা অনুযায়ী আরও ১ হাজার ১৮৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। টাইফুনপরবর্তী উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক বিশ্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যুক্তরাজ্যের রণতরী প্রচুর ত্রাণসামগ্রী নিয়ে উদ্ধার কাজে সহায়তা করছে। মার্কিন রণতরীও ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় কাজ করছে। বিশ্বের অন্যতম প্রলয়ংকারী এই ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার। সেইসঙ্গে উঠে এসেছিল বিশাল বিশাল ঢেউ।
ঝড়ে পাঁচ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ৮ নভেম্বর সামার প্রদেশের শহর গুইউয়ানে টাইফুনটি প্রথম আঘাত হানে। একুইনো বলেন, ‘কিন্তু পূর্ণ প্রস্তুতি থাকায় এখানে একশ’ জনের কম মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও অন্যান্য এলাকার কর্মকর্তারা এত ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়নি। একুইনো জনগণকে ধৈর্যধারণ করার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, ‘ঝড়ে সবকিছু হারানো ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের প্রতিদিনের খাবারের ব্যবস্থা করাই এখন আমাদের প্রধান সমস্যা। কিন্তু আমাদের যথেষ্ট সম্পদ রয়েছে এবং আমরা দ্রুত এগুচ্ছি।’ একুইনো লেইতে প্রদেশের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ত্যাকলোবানেও যান এবং সেখানকার জনগণকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সাহায্য তার সরকার দেবে বলে আশ্বাস দেন। ফিলিপিন্সে ত্রাণ কার্যক্রম ধীরগতিতে চলছে এমন সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম দ্বিগুণ করার ব্যবস্থা করব কারণ আমরা অভিযোগটি শুনেছি।’ যুক্তরাষ্ট্রের হেলিকপ্টার থেকে দুর্গত এলাকায় খাদ্য, পানি এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী ফেলা হচ্ছে। এরপরও পাহাড়ি অঞ্চলে এখনও অনেক মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন পার করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ টাইফুন হাইয়ানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
No comments