উত্তরাধিকারের রাজনীতি কতটা সফল হবে? by ফকির ইলিয়াস
একটি
সরকারের বিদায়ক্ষণ যত ঘনিয়ে আসে, ততই ওই সরকারের পোষ্য আইন-শৃংখলা বাহিনী
গা ছেড়ে দেয়। হ্যাঁ, আমি বাংলাদেশের কথাই বলছি। খবর বেরিয়েছে, চলতি মাসেই
খুন হয়েছেন ২৪ জন। এর মধ্যে ২৯ জুলাই রাতে পৃথক ঘটনায় খুন হয়েছেন এক যুবলীগ
ও এক বিএনপি নেতা এবং এক বাড়ির কেয়ারটেকার। উদ্ধার হয়েছে অজ্ঞাতনামা ১০
জনের মরদেহ। চাঁদাবাজদের হুমকির কারণে চলতি মাসে ঢাকার ৪৮ থানায় জিডি হয়েছে
দুই শতাধিক। ছিনতাই যেন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
কেন এই পরিণতি? এর কোনো জবাব সরকারের শীর্ষজনদের কাছে নেই। বরং তারা ব্যস্ত কথার ফুলঝুরি ওড়াতে। অন্যদিকে খবর আসছে, রাজনৈতিক ও টেন্ডার নিয়ে বিরোধের জের ধরেই যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান ওরফে মিল্কীকে খুন করা হয়েছে। তাকে খুন করার অভিযোগে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি ঢাকা যুবলীগ দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচএম জাহিদ সিদ্দিকী তারেক। আমরা যারা ওই সিসিক্যামেরাটি টিভিতে দেখেছি, তারা ভয় পেয়েছি ভীষণভাবে। এ কোন দেশ? সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরা লোকটি কীভাবে গুলি করছে অবলীলায় এই পবিত্র রমজান মাসে! তাকেও মেরে ফেলা ফেলা হয়েছে ক্রসফায়ারে। বাংলাদেশের বর্তমান মন্ত্রীরা বড় বড় কথা বলেই চলেছেন। দেশের চলমান রাজনীতি নিয়ে এফবিসিসিআই উদ্বেগ প্রকাশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় রাজনীতি ব্যবসায়ীদের কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রশ্ন আসে, দেশটি আসলে তাহলে কার? দেশের ব্যবসায়ীরা তো এই দেশেরই একটি শক্তি। তারা সম্পূরক ধারা। দেশের অর্থনীতি সচল ও চাঙ্গা না থাকলে রাজনীতি অর্থহীন হয়ে পড়তে বাধ্য হয়। এটা নামকরা রাজনীতিকরাও জানেন, বোঝেন। তারপরও তারা এমন বেকুবের মতো কথা বলছেন কেন?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগেরবার জয়ী হয়েছে, এবারও জয়ী হবে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবেন। সম্প্রতি চাঁদপুর সার্কিট হাউসে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। ভিন্ন চিত্রও আমরা দেখছি। রাজনীতিতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে ঢাকাস্থ জাতীয়তাবাদী ঐক্য ফোরাম আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তারেক রহমান এখন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। বাংলাদেশে উত্তরাধিকারের রাজনীতি যে মাথাচাড়া দিয়ে উঁকি দিচ্ছে, তা দেখছে দেশের সাধারণ মানুষ। কিন্তু এই উত্তরাধিকার দেশের উত্তর-প্রজন্মর জন্য কতটা শান্তির হাতছানি দেখাচ্ছে?
আমরা জানি, বাংলাদেশের রাজনীতি একটি জরাজীর্ণ বলয়ে সীমাবদ্ধ। অনেকেই ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের কথা মুখে বললেও বাস্তবে তারা তা ভয় পান। কারণ একটি জাতি যদি সুশিক্ষিত হয়ে দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে আর তাদের তাঁবেদার করে রাখা যায় না। তাদের অধিকার কেড়ে নেয়া যায় না। এ কথাটি মনে রেখেই কতিপয় রাজনীতিক এদেশের মানুষকে খাঁচাবন্দি করতে বারবার উদ্যত হচ্ছেন। সময় এসেছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতাকে উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করার।
বলা হচ্ছে, রাজধানী ঢাকার জনসংখ্যা দেড় কোটিরও বেশি। এই চাপ আর কত সইবে রাজধানী ঢাকা? মিরপুর থেকে নয়াপল্টন যেতে যানজটে আটকে থাকতে হয় তিন ঘণ্টা! এটা কোনো মানুষের বসবাসযোগ্য শহর হল! তারপরও বহাল তবিয়তে আছেন ঢাকাবাসী। সাড়ে সাত কোটি মানুষ নিয়ে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। এই জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি বলা হচ্ছে। সেই প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে দেশে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু এখন ক্রমেই জনদাবিতে পরিণত হচ্ছে। হ্যাঁ, আমি সাবেক সেনাশাসক এরশাদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি- বাংলাদেশকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করে এই জনচাপ কমানো হোক। মানুষের উন্নয়নকে দোরগোড়ায় পৌঁছ দেয়া হোক।
আমরা ইতিমধ্যে জেনে গেছি, বিএনপি নতুন ইশতেহারের রাজনীতি নিয়ে মাঠে নামবে ঈদের পরই। এই ইশতেহার দু’ভাগে বিভক্ত। এক. সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক প্রথায় বাধ্য করা। আর অন্যটি ‘নতুন ধারা’র রাজনীতির কথা বলে মানুষকে কাছে টানা। এই নতুন ধারার কথা বলেই কিন্তু বাংলাদেশে ‘হাওয়া ভবন’ তৈরি হয়েছিল। এই ভবনের নেপথ্যে কারা ছিল তা দেশবাসী ভুলে যাননি। অন্যদিকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন-২০২১’-এর বাণী শুনিয়েই বর্তমান সরকার ব্র“ট মেজরিটি পেয়েছিল।
এই ডিজিটাল স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করেছে পদ্মা সেতু কেলেংকারি, হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজার, রেলের কালোবিড়াল, সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ড, ইলিয়াস আলী গুম- এমন আরও কত ঘটনা! কেন পারলেন না বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এসব সামাল দিতে? কেন পারলেন না যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে?
এটা নিশ্চিত, কতিপয় মৌলবাদীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপি বড়জোর ক্ষমতায় যেতে পারবে। আবারও রাজাকাররা রাষ্ট্রীয় গাড়িতে পতাকা ওড়াতে পারবে। কিন্তু প্রজন্মকে আলোর পথ দেখাতে পারবে না। মুখে যাই বলা হোক না কেন- নারী গার্মেন্ট শ্রমিকের কাজ বন্ধ করে কি চালানো যাবে বাংলাদেশ? না, যাবে না। তাহলে যারা ‘তেঁতুল তত্ত্ব’ বিতরণ করছে, তাদের ঘাড়ে বড় দলগুলো সওয়ার হওয়ার এই প্রতিযোগিতা কেন করছে?
বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশের প্প্রজন্মর বসে থাকার সুযোগ নেই। শিক্ষিত প্রজন্মকে লেজুড়বৃত্তি বাদ দিয়ে আলোর সন্ধানে এগিয়ে যেতে হবে। উপড়ে ফেলতে হবে সব অপশক্তির ভিত। এই দেশ গণমানুষের। যারা উত্তরাধিকারসূত্রে মসনদ পাওয়ার খায়েশ দেখাচ্ছেন- তাদের বলে দিতে হবে, আপনারা রাজনীতি করুন দেশের কল্যাণ চিন্তা করে। দখলদার কিংবা ভোগবাদীদের দুর্বৃত্তপনার জন্য ৩০ লাখ শহীদ তাদের প্রাণ উৎসর্গ করেননি। পাঁচ সিটি নির্বাচনে গণমানুষ তাদের ভোটাধিকারের ক্ষমতা দেখিয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তারা তা দেখাবে। তারা কার গলায় জয়মাল্য দেবে তা সময়ই বলবে।
ফকির ইলিয়াস : যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসী কবি, সাংবাদিক
কেন এই পরিণতি? এর কোনো জবাব সরকারের শীর্ষজনদের কাছে নেই। বরং তারা ব্যস্ত কথার ফুলঝুরি ওড়াতে। অন্যদিকে খবর আসছে, রাজনৈতিক ও টেন্ডার নিয়ে বিরোধের জের ধরেই যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান ওরফে মিল্কীকে খুন করা হয়েছে। তাকে খুন করার অভিযোগে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি ঢাকা যুবলীগ দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচএম জাহিদ সিদ্দিকী তারেক। আমরা যারা ওই সিসিক্যামেরাটি টিভিতে দেখেছি, তারা ভয় পেয়েছি ভীষণভাবে। এ কোন দেশ? সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরা লোকটি কীভাবে গুলি করছে অবলীলায় এই পবিত্র রমজান মাসে! তাকেও মেরে ফেলা ফেলা হয়েছে ক্রসফায়ারে। বাংলাদেশের বর্তমান মন্ত্রীরা বড় বড় কথা বলেই চলেছেন। দেশের চলমান রাজনীতি নিয়ে এফবিসিসিআই উদ্বেগ প্রকাশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় রাজনীতি ব্যবসায়ীদের কাজ নয় বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রশ্ন আসে, দেশটি আসলে তাহলে কার? দেশের ব্যবসায়ীরা তো এই দেশেরই একটি শক্তি। তারা সম্পূরক ধারা। দেশের অর্থনীতি সচল ও চাঙ্গা না থাকলে রাজনীতি অর্থহীন হয়ে পড়তে বাধ্য হয়। এটা নামকরা রাজনীতিকরাও জানেন, বোঝেন। তারপরও তারা এমন বেকুবের মতো কথা বলছেন কেন?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগেরবার জয়ী হয়েছে, এবারও জয়ী হবে এবং শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবেন। সম্প্রতি চাঁদপুর সার্কিট হাউসে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। ভিন্ন চিত্রও আমরা দেখছি। রাজনীতিতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে ঢাকাস্থ জাতীয়তাবাদী ঐক্য ফোরাম আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তারেক রহমান এখন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু। বাংলাদেশে উত্তরাধিকারের রাজনীতি যে মাথাচাড়া দিয়ে উঁকি দিচ্ছে, তা দেখছে দেশের সাধারণ মানুষ। কিন্তু এই উত্তরাধিকার দেশের উত্তর-প্রজন্মর জন্য কতটা শান্তির হাতছানি দেখাচ্ছে?
আমরা জানি, বাংলাদেশের রাজনীতি একটি জরাজীর্ণ বলয়ে সীমাবদ্ধ। অনেকেই ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের কথা মুখে বললেও বাস্তবে তারা তা ভয় পান। কারণ একটি জাতি যদি সুশিক্ষিত হয়ে দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে আর তাদের তাঁবেদার করে রাখা যায় না। তাদের অধিকার কেড়ে নেয়া যায় না। এ কথাটি মনে রেখেই কতিপয় রাজনীতিক এদেশের মানুষকে খাঁচাবন্দি করতে বারবার উদ্যত হচ্ছেন। সময় এসেছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতাকে উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করার।
বলা হচ্ছে, রাজধানী ঢাকার জনসংখ্যা দেড় কোটিরও বেশি। এই চাপ আর কত সইবে রাজধানী ঢাকা? মিরপুর থেকে নয়াপল্টন যেতে যানজটে আটকে থাকতে হয় তিন ঘণ্টা! এটা কোনো মানুষের বসবাসযোগ্য শহর হল! তারপরও বহাল তবিয়তে আছেন ঢাকাবাসী। সাড়ে সাত কোটি মানুষ নিয়ে স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। এই জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি বলা হচ্ছে। সেই প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে দেশে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু এখন ক্রমেই জনদাবিতে পরিণত হচ্ছে। হ্যাঁ, আমি সাবেক সেনাশাসক এরশাদের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে বাধ্য হচ্ছি- বাংলাদেশকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করে এই জনচাপ কমানো হোক। মানুষের উন্নয়নকে দোরগোড়ায় পৌঁছ দেয়া হোক।
আমরা ইতিমধ্যে জেনে গেছি, বিএনপি নতুন ইশতেহারের রাজনীতি নিয়ে মাঠে নামবে ঈদের পরই। এই ইশতেহার দু’ভাগে বিভক্ত। এক. সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক প্রথায় বাধ্য করা। আর অন্যটি ‘নতুন ধারা’র রাজনীতির কথা বলে মানুষকে কাছে টানা। এই নতুন ধারার কথা বলেই কিন্তু বাংলাদেশে ‘হাওয়া ভবন’ তৈরি হয়েছিল। এই ভবনের নেপথ্যে কারা ছিল তা দেশবাসী ভুলে যাননি। অন্যদিকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন-২০২১’-এর বাণী শুনিয়েই বর্তমান সরকার ব্র“ট মেজরিটি পেয়েছিল।
এই ডিজিটাল স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করেছে পদ্মা সেতু কেলেংকারি, হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজার, রেলের কালোবিড়াল, সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ড, ইলিয়াস আলী গুম- এমন আরও কত ঘটনা! কেন পারলেন না বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এসব সামাল দিতে? কেন পারলেন না যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে?
এটা নিশ্চিত, কতিপয় মৌলবাদীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপি বড়জোর ক্ষমতায় যেতে পারবে। আবারও রাজাকাররা রাষ্ট্রীয় গাড়িতে পতাকা ওড়াতে পারবে। কিন্তু প্রজন্মকে আলোর পথ দেখাতে পারবে না। মুখে যাই বলা হোক না কেন- নারী গার্মেন্ট শ্রমিকের কাজ বন্ধ করে কি চালানো যাবে বাংলাদেশ? না, যাবে না। তাহলে যারা ‘তেঁতুল তত্ত্ব’ বিতরণ করছে, তাদের ঘাড়ে বড় দলগুলো সওয়ার হওয়ার এই প্রতিযোগিতা কেন করছে?
বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশের প্প্রজন্মর বসে থাকার সুযোগ নেই। শিক্ষিত প্রজন্মকে লেজুড়বৃত্তি বাদ দিয়ে আলোর সন্ধানে এগিয়ে যেতে হবে। উপড়ে ফেলতে হবে সব অপশক্তির ভিত। এই দেশ গণমানুষের। যারা উত্তরাধিকারসূত্রে মসনদ পাওয়ার খায়েশ দেখাচ্ছেন- তাদের বলে দিতে হবে, আপনারা রাজনীতি করুন দেশের কল্যাণ চিন্তা করে। দখলদার কিংবা ভোগবাদীদের দুর্বৃত্তপনার জন্য ৩০ লাখ শহীদ তাদের প্রাণ উৎসর্গ করেননি। পাঁচ সিটি নির্বাচনে গণমানুষ তাদের ভোটাধিকারের ক্ষমতা দেখিয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তারা তা দেখাবে। তারা কার গলায় জয়মাল্য দেবে তা সময়ই বলবে।
ফকির ইলিয়াস : যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসী কবি, সাংবাদিক
No comments