বিজিএমইএর ব্যাখ্যা
‘সবকিছুই পোশাকমালিকদের জন্য’ শিরোনামে গত শনিবার প্রথম আলোতে প্রকাশিত
প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা দিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সমিতি (বিজিএমইএ)।
বিজিএমইএর মহাসচিব এহসান উল ফাত্তাহর পাঠানো ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে,
প্রতিবেদনে ব্যবহূত গ্রাফিকসে রপ্তানিমুখী পোশাক খাত মোট আয়ের ওপর দশমিক
৮০ শতাংশ হারে কর দেয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, রপ্তানি
করা পণ্যের রপ্তানিমূল্যের (এফওবি) ওপর দশমিক ৮০ শতাংশ হারে উৎসে কর দেওয়া
হয়। বিজিএমইএর দাবি, পোশাকশিল্পে নিট মুনাফা গড়ে রপ্তানিমূল্যের ২
শতাংশ। সেই বিবেচনায় এ খাতটি মোট মুনাফার ওপর ৪০ শতাংশ হারে আয়কর দেয়।
এ ছাড়া গ্রাফিকসে আরও দেখানো হয়েছে, অন্য শিল্প খাতে আয়করের পরিমাণ ৪২ শতাংশ। বিজিএমইএর দাবি, অন্য শিল্প খাতে আয়করের পরিমাণ সাড়ে ৩৭ শতাংশ, যা মোট আয় বা মুনাফার ওপর প্রযোজ্য।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়েলসেন কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সমীক্ষাকে উদ্ধৃত করে বিজিএমইএ বলেছে, পোশাকশিল্প খাতের রপ্তানিমূল্যের ওপর দশমিক ৬ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনে গত অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে মোট এক হাজার ২২০ কোটি টাকা। অন্যদিকে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরে তৈরি পোশাকপ্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআর কর বাবদ পেয়েছে মাত্র ৮৮৬ কোটি টাকা।
পোশাকশিল্পের নগদ সহায়তা প্রসঙ্গে বিজিএমইএ ব্যাখায় বলেছে, প্রকৃতপক্ষে নগদ সহায়তা পোশাকশিল্প পায় না। দেশীয় বস্ত্র ব্যবহার করে পোশাক রপ্তানি করলে শুধু এ সুবিধা ভোগ করা সম্ভব এবং তা শুধু বস্ত্রশিল্প পেয়ে থাকে। এটি বস্ত্রশিল্পকে উৎসাহিত করার জন্য প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়। বন্ড সুবিধাকে সম্পূর্ণ বাণিজ্যনিরপেক্ষ একটি ব্যবস্থা হিসেবে উল্লেখ করে যেকোনো দেশে রপ্তানি খাতকে করের বোঝা থেকে মুক্ত করতে এ ব্যবস্থা থাকে বলে মত দিয়েছে বিজিএমইএ।
৭ শতাংশ সুদে ব্যাংকঋণ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ বলছে, এটি প্যাকিং ক্রেডিট। আনুষঙ্গিক উপকরণ (এক্সেসরিজ) ক্রয় এবং কার্যকরী মূলধন সংস্থানের জন্য রপ্তানি ঋণপত্রের বিপরীতে এ সুবিধা দেওয়া হয়। তবে সব রপ্তানিকারক এ সুবিধা পান না। ব্যাংক থেকে ১৮-২০ শতাংশ সুদে অন্যদের মতো পোশাকশিল্প মালিকদেরও মেয়াদি ঋণ নিতে হয়।
বিজিএমইএ বলেছে, প্রকাশিত সংবাদে সব তথ্য এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে জনমনে এমন মত সৃষ্টি হয় যে, পোশাকশিল্প শুধু বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করছে এবং বাংলাদেশে কোনো ধরনের অবদান রাখছে না। সমিতি বলেছে, বিপুল কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প খাত অন্যান্য শিল্প এবং সেবা খাত সম্প্রসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখছে, যার তথ্য এ প্রতিবেদনে অনুপস্থিত।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: গ্রাফিকসের ভুলটি অসতর্কতার জন্য হয়েছে। যদিও প্রতিবেদনে তথ্যটি সঠিকভাবেই উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট পক্ষের মত রয়েছে। বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলামের বক্তব্যও ছাপা হয়েছে। তাঁর বক্তব্যেই এ খাতের অবদানের কথা বলা আছে। প্রতিবেদনের অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত যথাযথ সরকারি দপ্তর থেকে সংগ্রহ করে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া গ্রাফিকসে আরও দেখানো হয়েছে, অন্য শিল্প খাতে আয়করের পরিমাণ ৪২ শতাংশ। বিজিএমইএর দাবি, অন্য শিল্প খাতে আয়করের পরিমাণ সাড়ে ৩৭ শতাংশ, যা মোট আয় বা মুনাফার ওপর প্রযোজ্য।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়েলসেন কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সমীক্ষাকে উদ্ধৃত করে বিজিএমইএ বলেছে, পোশাকশিল্প খাতের রপ্তানিমূল্যের ওপর দশমিক ৬ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তনে গত অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে মোট এক হাজার ২২০ কোটি টাকা। অন্যদিকে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরে তৈরি পোশাকপ্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআর কর বাবদ পেয়েছে মাত্র ৮৮৬ কোটি টাকা।
পোশাকশিল্পের নগদ সহায়তা প্রসঙ্গে বিজিএমইএ ব্যাখায় বলেছে, প্রকৃতপক্ষে নগদ সহায়তা পোশাকশিল্প পায় না। দেশীয় বস্ত্র ব্যবহার করে পোশাক রপ্তানি করলে শুধু এ সুবিধা ভোগ করা সম্ভব এবং তা শুধু বস্ত্রশিল্প পেয়ে থাকে। এটি বস্ত্রশিল্পকে উৎসাহিত করার জন্য প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়। বন্ড সুবিধাকে সম্পূর্ণ বাণিজ্যনিরপেক্ষ একটি ব্যবস্থা হিসেবে উল্লেখ করে যেকোনো দেশে রপ্তানি খাতকে করের বোঝা থেকে মুক্ত করতে এ ব্যবস্থা থাকে বলে মত দিয়েছে বিজিএমইএ।
৭ শতাংশ সুদে ব্যাংকঋণ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ বলছে, এটি প্যাকিং ক্রেডিট। আনুষঙ্গিক উপকরণ (এক্সেসরিজ) ক্রয় এবং কার্যকরী মূলধন সংস্থানের জন্য রপ্তানি ঋণপত্রের বিপরীতে এ সুবিধা দেওয়া হয়। তবে সব রপ্তানিকারক এ সুবিধা পান না। ব্যাংক থেকে ১৮-২০ শতাংশ সুদে অন্যদের মতো পোশাকশিল্প মালিকদেরও মেয়াদি ঋণ নিতে হয়।
বিজিএমইএ বলেছে, প্রকাশিত সংবাদে সব তথ্য এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে জনমনে এমন মত সৃষ্টি হয় যে, পোশাকশিল্প শুধু বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করছে এবং বাংলাদেশে কোনো ধরনের অবদান রাখছে না। সমিতি বলেছে, বিপুল কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প খাত অন্যান্য শিল্প এবং সেবা খাত সম্প্রসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখছে, যার তথ্য এ প্রতিবেদনে অনুপস্থিত।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: গ্রাফিকসের ভুলটি অসতর্কতার জন্য হয়েছে। যদিও প্রতিবেদনে তথ্যটি সঠিকভাবেই উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট পক্ষের মত রয়েছে। বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলামের বক্তব্যও ছাপা হয়েছে। তাঁর বক্তব্যেই এ খাতের অবদানের কথা বলা আছে। প্রতিবেদনের অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত যথাযথ সরকারি দপ্তর থেকে সংগ্রহ করে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
No comments