যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা নিয়ে শঙ্কা by রাহীদ এজাজ
পোশাক খাতে কর্মপরিবেশের মানোন্নয়নে বাংলাদেশের ধীরগতির পদক্ষেপে
যুক্তরাষ্ট্র অস্বস্তি বোধ করছে। আবার টিকফা চুক্তি সইয়ে সরকারের অনাগ্রহ
শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থানকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে
প্রশ্নের মুখে রেখেছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের অবাধ
বাজার-সুবিধা (জিএসপি) অব্যাহত থাকাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্রগুলো গতকাল রোববার প্রথম আলোকে জানিয়েছে, ওবামা প্রশাসন কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশকে এমন আভাস দিচ্ছে। ওয়াশিংটনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের জিএসপি-সুবিধা বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে চিঠি দিয়েছে দি আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার অ্যান্ড কংগ্রেস অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশন (এএফএল-সিআইও)। এএফএল-সিআইও ২০০৭ সালে বাংলাদেশের জিএসপি-সুবিধা বাতিলের দাবিতে মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরেও (ইউএসটিআর) পিটিশন দাখিল করেছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের জিএসপি-সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য শর্ত পূরণের তাগিদ দিয়ে গত ডিসেম্বরে বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদেরকে চিঠি দেন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রন কার্ক। গত মার্চে বাংলাদেশ ওয়াশিংটনে জিএসপি-বিষয়ক শুনানিতে অংশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে। এরপর এমন আভাস আসছিল যে শর্ত সাপেক্ষে জিএসপি-সুবিধা অব্যাহত থাকতে পারে। কিন্তু সাভারে ভবনধসে হাজারের বেশি শ্রমিকের মৃত্যুর পর এই আবহ পুরো বদলে যায়।
এই সময়ে এসে আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টিকফা সইয়ের বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে। কার্যত জিএসপির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার রূপরেখা চুক্তির (টিকফা) সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকলেও এটি সই হলে জিএসপি অব্যাহত রাখাটা নিশ্চিত হবে বলে একটি মহল মনে করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। গত এপ্রিলে টিকফার ব্যাপারে একটি সারসংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী সই করেন। জিএসপির ব্যাপারে আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। তার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইতিবাচক বার্তা দিতে টিকফা সইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে সূত্র জানায়। কিন্তু ১৩ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হলেও শেষ পর্যন্ত তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফলে আপাতত চুক্তিটি সই হচ্ছে না বলে ধরে নেওয়া হয়।
তবে সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, জিএসপি-সুবিধা অব্যাহত রাখার সঙ্গে টিকফা সইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে এটা ঠিক, শ্রমিকের স্বার্থ সুরক্ষা ও শ্রমমানের যে বিষয়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে, সেগুলো টিকফার ধারায় সন্নিবেশিত আছে। সাত ধারার টিকফা চুক্তির প্রারম্ভিক এই শর্ত নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। সূত্রমতে, ওই শর্তের ওপর গুরুত্ব দিয়ে টিকফা চুক্তি সই না করা যুক্তরাষ্ট্রকে এ বার্তাই দেবে যে, শ্রমমানের উন্নতির বিষয়ে সরকারের যথেষ্ট আন্তরিকতা নেই। তা ছাড়া আইএলও সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে শ্রমমানের উন্নতির বিষয়ে সময়ক্ষেপণের সুযোগ নিলে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের গতকাল রোববার তাঁর দপ্তরে প্রথম আলোকে বলেন, টিকফা সইয়ের ব্যাপারে মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন লাগবে। চুক্তিটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন না হলে সই হবে না। কবে টিকফা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হবে কিংবা বর্তমান সরকারের মেয়াদে আদৌ হবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
কাদের-মজীনা বৈঠক: ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা গতকাল দুপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদেরের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী এই প্রতিবেদককে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের আসন্ন ঢাকা সফরের বিষয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে। প্রাসঙ্গিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি-সুবিধা অব্যাহত রাখা ও টিকফা চুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের জিএসপি বিষয়ে গত শনিবার ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিওর মাধ্যমে আলাপ (ভিডিও কনফারেন্স) করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। তিনি এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে তাঁর সরকারের কর্মকর্তাদের মনোভাব বুঝতে চেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের অবস্থানের বিষয়ে ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদেরও ধারণা দিয়েছেন। প্রায় এক ঘণ্টার আলাপচারিতায় মজীনা ওয়াশিংটনের কাছ থেকে ইতিবাচক মনোভাব পাননি বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে।
জিএসপি কেন জরুরি: জিএসপি বাতিলের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের যে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়, তা জিএসপি-সুবিধা পায় না। তাই এই সুবিধা বাতিল হলে ভাবমূর্তির জন্য সংকট তৈরি হবে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে জিএসপি-সুবিধা পায় বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি বাতিল করলে এবং তা দেখে ইইউ একই পথে হাঁটলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
গত ২৮ মার্চ ওয়াশিংটনে ইউএসটিআরের শুনানিতে উপস্থিত এক কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯৪ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) গঠনের পর এখন পর্যন্ত কোনো দেশের জিএসপি বাতিলের ঘটনা ঘটেনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরের সময় জিএসপি-সুবিধা অব্যাহত রাখতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে অনুরোধ জানান। কেরি এই অনুরোধ রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জিএসপির ব্যাপারে ইউএসটিআরের সিদ্ধান্ত এখনো জানতে পারিনি। তবে সার্বিকভাবে শ্রমমান ও কর্মপরিবেশের যে বিষয়গুলোতে তাদের উদ্বেগ ছিল, তা নিয়ে শুনানি-পরবর্তী ১৯টি প্রশ্নের উত্তরে সরকারের অবস্থান খুব স্পষ্ট করেই জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের ভবনধসের পর সরকার শ্রম আইন সংশোধনসহ আইএলওর সহযোগিতায় ত্রিপক্ষীয় অংশীদারির ঘোষণা দিয়েছে। এসব পদক্ষেপের আলোকে জিএসপির ব্যাপারে আমরা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আশা করছি।
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্রগুলো গতকাল রোববার প্রথম আলোকে জানিয়েছে, ওবামা প্রশাসন কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশকে এমন আভাস দিচ্ছে। ওয়াশিংটনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের জিএসপি-সুবিধা বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে চিঠি দিয়েছে দি আমেরিকান ফেডারেশন অব লেবার অ্যান্ড কংগ্রেস অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশন (এএফএল-সিআইও)। এএফএল-সিআইও ২০০৭ সালে বাংলাদেশের জিএসপি-সুবিধা বাতিলের দাবিতে মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরেও (ইউএসটিআর) পিটিশন দাখিল করেছিল। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের জিএসপি-সুবিধা অব্যাহত রাখার জন্য শর্ত পূরণের তাগিদ দিয়ে গত ডিসেম্বরে বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদেরকে চিঠি দেন মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রন কার্ক। গত মার্চে বাংলাদেশ ওয়াশিংটনে জিএসপি-বিষয়ক শুনানিতে অংশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে। এরপর এমন আভাস আসছিল যে শর্ত সাপেক্ষে জিএসপি-সুবিধা অব্যাহত থাকতে পারে। কিন্তু সাভারে ভবনধসে হাজারের বেশি শ্রমিকের মৃত্যুর পর এই আবহ পুরো বদলে যায়।
এই সময়ে এসে আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টিকফা সইয়ের বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে। কার্যত জিএসপির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার রূপরেখা চুক্তির (টিকফা) সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকলেও এটি সই হলে জিএসপি অব্যাহত রাখাটা নিশ্চিত হবে বলে একটি মহল মনে করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন। গত এপ্রিলে টিকফার ব্যাপারে একটি সারসংক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী সই করেন। জিএসপির ব্যাপারে আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা। তার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইতিবাচক বার্তা দিতে টিকফা সইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে সূত্র জানায়। কিন্তু ১৩ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হলেও শেষ পর্যন্ত তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফলে আপাতত চুক্তিটি সই হচ্ছে না বলে ধরে নেওয়া হয়।
তবে সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, জিএসপি-সুবিধা অব্যাহত রাখার সঙ্গে টিকফা সইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে এটা ঠিক, শ্রমিকের স্বার্থ সুরক্ষা ও শ্রমমানের যে বিষয়গুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে, সেগুলো টিকফার ধারায় সন্নিবেশিত আছে। সাত ধারার টিকফা চুক্তির প্রারম্ভিক এই শর্ত নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। সূত্রমতে, ওই শর্তের ওপর গুরুত্ব দিয়ে টিকফা চুক্তি সই না করা যুক্তরাষ্ট্রকে এ বার্তাই দেবে যে, শ্রমমানের উন্নতির বিষয়ে সরকারের যথেষ্ট আন্তরিকতা নেই। তা ছাড়া আইএলও সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে শ্রমমানের উন্নতির বিষয়ে সময়ক্ষেপণের সুযোগ নিলে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের গতকাল রোববার তাঁর দপ্তরে প্রথম আলোকে বলেন, টিকফা সইয়ের ব্যাপারে মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন লাগবে। চুক্তিটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন না হলে সই হবে না। কবে টিকফা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হবে কিংবা বর্তমান সরকারের মেয়াদে আদৌ হবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
কাদের-মজীনা বৈঠক: ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা গতকাল দুপুরে বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদেরের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকের পর বাণিজ্যমন্ত্রী এই প্রতিবেদককে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের আসন্ন ঢাকা সফরের বিষয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে। প্রাসঙ্গিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি-সুবিধা অব্যাহত রাখা ও টিকফা চুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের জিএসপি বিষয়ে গত শনিবার ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিওর মাধ্যমে আলাপ (ভিডিও কনফারেন্স) করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা। তিনি এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে তাঁর সরকারের কর্মকর্তাদের মনোভাব বুঝতে চেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের অবস্থানের বিষয়ে ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদেরও ধারণা দিয়েছেন। প্রায় এক ঘণ্টার আলাপচারিতায় মজীনা ওয়াশিংটনের কাছ থেকে ইতিবাচক মনোভাব পাননি বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে।
জিএসপি কেন জরুরি: জিএসপি বাতিলের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের যে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়, তা জিএসপি-সুবিধা পায় না। তাই এই সুবিধা বাতিল হলে ভাবমূর্তির জন্য সংকট তৈরি হবে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে জিএসপি-সুবিধা পায় বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি বাতিল করলে এবং তা দেখে ইইউ একই পথে হাঁটলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
গত ২৮ মার্চ ওয়াশিংটনে ইউএসটিআরের শুনানিতে উপস্থিত এক কর্মকর্তা বলেন, ১৯৯৪ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) গঠনের পর এখন পর্যন্ত কোনো দেশের জিএসপি বাতিলের ঘটনা ঘটেনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরের সময় জিএসপি-সুবিধা অব্যাহত রাখতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে অনুরোধ জানান। কেরি এই অনুরোধ রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জিএসপির ব্যাপারে ইউএসটিআরের সিদ্ধান্ত এখনো জানতে পারিনি। তবে সার্বিকভাবে শ্রমমান ও কর্মপরিবেশের যে বিষয়গুলোতে তাদের উদ্বেগ ছিল, তা নিয়ে শুনানি-পরবর্তী ১৯টি প্রশ্নের উত্তরে সরকারের অবস্থান খুব স্পষ্ট করেই জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের ভবনধসের পর সরকার শ্রম আইন সংশোধনসহ আইএলওর সহযোগিতায় ত্রিপক্ষীয় অংশীদারির ঘোষণা দিয়েছে। এসব পদক্ষেপের আলোকে জিএসপির ব্যাপারে আমরা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আশা করছি।
No comments