স্ববিরোধী হরতাল
আগামীকাল রোববার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট হঠকারী মনের পরিচয় দিল। সরকারের খামখেয়ালির বিপরীতে বিরোধী জোটের নেতৃবৃন্দও যদি গঠনমূলকভাবে চিন্তা করার সামর্থ্য হারান, তাহলে দেশের ক্ষতি ও জনসাধারণের দুর্ভোগ বাড়বে বৈ কমবে না।
আগামীকালের হরতালের প্রধান কারণ সভা-সমাবেশের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানানো। অবশ্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি, বিরোধী দলের আটক নেতাদের মুক্তির দাবির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। শেষের দাবি দুটো পুরোনো—এ দুই দাবিতে ইতিপূর্বে অনেক হরতাল হয়েছে। তাই ধরে নেওয়া যায়, কালকের হরতালের মুখ্য ইস্যু সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এ তো বড়ই অদ্ভুত কথা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মৌখিকভাবে ঢাকায় আগামী এক মাস সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছেন ১৯ মে। বিরোধী দল সে সময় হরতাল ডাকেনি। পাঁচ দিন পর ২৪ মে হঠাৎ তাদের কী মনে হলো যে পরদিন হরতাল ডেকে বসল? এ প্রশ্ন তোলার মানে এটা নয় যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই ঘোষণার দিনই বিরোধী দল হরতাল ডেকে দিলে যথার্থ হতো; বরং আমাদের প্রশ্ন, দুই রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে আলোচনা-সংলাপের যে আশাব্যঞ্জক আভাস-ইঙ্গিত দেখা দিয়েছে, সেটাকে ইতিবাচক দিকে এগিয়ে না নিয়ে হুট করে বিরোধী জোট হরতাল ডেকে বসল কী উদ্দেশ্যে? বুধবার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারের প্রতি সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে এক দিন পরেই হরতালের ডাক দেওয়ার মানে কী?
আগামী নির্বাচনের সময়কার সরকারপদ্ধতি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধজনিত সংকট উত্তরণের পথে এক পা এগিয়ে দুই পা পেছানোর এই কৌশল কেবল বিরোধী দল নয়, সরকারের তরফেও লক্ষ করা যাচ্ছে। তার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত সংলাপের পক্ষে আগ্রহ ব্যক্ত করার পাশাপাশি হঠাৎ করে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিরোধী জোটকে কোণঠাসা করার প্রচেষ্টা। সরকার সব রকমের গণতান্ত্রিক রীতিনীতি শিকেয় তুলে রেখে বিরোধী জোটকে পর্যুদস্ত করার যে কৌশল নিয়েছে, তা যে পুরো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থাকেই পর্যুদস্ত করতে পারে, এই বিপদ সরকার দেখতে পাচ্ছে না।
সরকারের অবিমৃশ্যকারিতা ও খামখেয়ালির মুখে বিরোধী জোটের দিশা হারালে চলে না। জনগণের পক্ষে সবচেয়ে ক্ষতিকর রাজনৈতিক কর্মসূচি হচ্ছে হরতাল। ভীষণ অজনপ্রিয় এই কর্মসূচি স্থায়ীভাবে পরিহার করে প্রতিবাদের অন্যান্য পন্থা বের করতে হবে। আগামীকালের হরতাল প্রত্যাহার করা হোক।
আগামীকালের হরতালের প্রধান কারণ সভা-সমাবেশের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানানো। অবশ্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি, বিরোধী দলের আটক নেতাদের মুক্তির দাবির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। শেষের দাবি দুটো পুরোনো—এ দুই দাবিতে ইতিপূর্বে অনেক হরতাল হয়েছে। তাই ধরে নেওয়া যায়, কালকের হরতালের মুখ্য ইস্যু সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এ তো বড়ই অদ্ভুত কথা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মৌখিকভাবে ঢাকায় আগামী এক মাস সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছেন ১৯ মে। বিরোধী দল সে সময় হরতাল ডাকেনি। পাঁচ দিন পর ২৪ মে হঠাৎ তাদের কী মনে হলো যে পরদিন হরতাল ডেকে বসল? এ প্রশ্ন তোলার মানে এটা নয় যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই ঘোষণার দিনই বিরোধী দল হরতাল ডেকে দিলে যথার্থ হতো; বরং আমাদের প্রশ্ন, দুই রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে আলোচনা-সংলাপের যে আশাব্যঞ্জক আভাস-ইঙ্গিত দেখা দিয়েছে, সেটাকে ইতিবাচক দিকে এগিয়ে না নিয়ে হুট করে বিরোধী জোট হরতাল ডেকে বসল কী উদ্দেশ্যে? বুধবার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারের প্রতি সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে এক দিন পরেই হরতালের ডাক দেওয়ার মানে কী?
আগামী নির্বাচনের সময়কার সরকারপদ্ধতি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধজনিত সংকট উত্তরণের পথে এক পা এগিয়ে দুই পা পেছানোর এই কৌশল কেবল বিরোধী দল নয়, সরকারের তরফেও লক্ষ করা যাচ্ছে। তার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত সংলাপের পক্ষে আগ্রহ ব্যক্ত করার পাশাপাশি হঠাৎ করে সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিরোধী জোটকে কোণঠাসা করার প্রচেষ্টা। সরকার সব রকমের গণতান্ত্রিক রীতিনীতি শিকেয় তুলে রেখে বিরোধী জোটকে পর্যুদস্ত করার যে কৌশল নিয়েছে, তা যে পুরো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থাকেই পর্যুদস্ত করতে পারে, এই বিপদ সরকার দেখতে পাচ্ছে না।
সরকারের অবিমৃশ্যকারিতা ও খামখেয়ালির মুখে বিরোধী জোটের দিশা হারালে চলে না। জনগণের পক্ষে সবচেয়ে ক্ষতিকর রাজনৈতিক কর্মসূচি হচ্ছে হরতাল। ভীষণ অজনপ্রিয় এই কর্মসূচি স্থায়ীভাবে পরিহার করে প্রতিবাদের অন্যান্য পন্থা বের করতে হবে। আগামীকালের হরতাল প্রত্যাহার করা হোক।
No comments