শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে রাজি বাশার সরকার: রাশিয়া
সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে রাজি হয়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকার। গতকাল শুক্রবার বাশারের মিত্র রাশিয়া এ কথা জানায়। আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে এ সম্মেলন হতে পারে। এদিকে বাশারবিরোধী প্রধান জোট সিরিয়ান ন্যাশনাল কোয়ালিশন (এসএনসি) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো বৈঠক করেছে। প্রস্তাবিত শান্তি সম্মেলন, এসএনসির প্রধানের পদে পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য গত বৃহস্পতিবার তিন দিনের এ বৈঠক শুরু হয়। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলেকজান্ডার লুকাশেভিচ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, সিরিয়া সরকার শান্তি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পক্ষে তাদের নীতিগত অবস্থানের কথা আমাদের জানিয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংকট সমাধানের একটি রাজনৈতিক পথ খুঁজবে, যা একটি জাতি তথা ওই অঞ্চলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার পথ বন্ধ করবে।’ শান্তি সম্মেলনের প্রস্তাব ওঠার পর থেকে বলা হচ্ছিল, জুন মাসে তা হতে পারে। ইউরোপের কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, আগামী ১০ জুন এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লুকাশেভিচ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই তারিখ চূড়ান্ত বলে ধরে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। বাশারবিরোধীদের মধ্যে এত বিভক্তি যে তারা এখনো শান্তি সম্মেলনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি।’ মোয়াজ আল খতিবের প্রস্তাব: বাশারবিরোধী ন্যাশনাল কোয়ালিশনের বিদায়ী নেতা মোয়াজ আল খতিব বাশারের পদত্যাগের প্রস্তাব দিয়ে সহিংসতা বন্ধের একটি পরিকল্পনা পেশ করেছেন। তাঁর প্রস্তাবে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাশার ২০ দিনের মধ্যে পদত্যাগ করলে তাঁকে পরিবারসহ নিরাপদে দেশ ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হবে। ২০ দিনের মধ্যে প্রস্তাবটি গ্রহণ করার পর তিনি প্রধানমন্ত্রী বা ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য এক মাস সময় পাবেন। অক্সফামের আহ্বান: যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক দাতব্য সংগঠন অক্সফাম গতকাল বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) সিরিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অবশ্যই বাড়াতে হবে। অক্সফামের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রধান অ্যানা ম্যাকডোনাল্ড বলেন, সিরিয়ায় অস্ত্র সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো না হলে দেশটি আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়বে।
No comments