বিমানে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা -গোয়েন্দাদের আবারও দুষলেন ওবামা
যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে বোমা হামলার চেষ্টাকারী নাইজেরীয় চরমপন্থী ওমরের ব্যাপারে গোয়েন্দা ব্যর্থতায় চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ওমরের ব্যাপারে আগাম তথ্য পেয়েও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক ডেনিস ব্লেয়ার ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলার নতুন কৌশল মোকাবিলায় গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ওবামা গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। হাওয়াইয়ে ১১ দিনের অবকাশ থেকে ফিরেই নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠক করেন তিনি। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করে ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টার জন্য গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের পদ্ধতিগত ব্যর্থতাই দায়ী। তিনি গোয়েন্দাব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করে চলমান পদ্ধতির সংস্কারের ওপর জোর দেন।
গত ২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি যাত্রীবাহী বিমানে সিরিঞ্জ বোমা দিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালানোর চেষ্টা করেন নাইজেরীয় চরমপন্থী যুবক ওমর ফারুক আবদুল মোতালেব। কিন্তু যাত্রীদের হস্তক্ষেপে এ হামলা চালাতে ব্যর্থ হন তিনি।
বৈঠক শেষে বারাক ওবামা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ওই হামলার চেষ্টার পর এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যগুলো পুরোপুরি বিশ্লেষণ ও সমন্বয় করা হয় না। এটা কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা কখনোই সহ্য করা হবে না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ওবামার ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন। ওবামা জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা সংস্কারের আহ্বান জানান। এ সময় প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘বিমানে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা ব্যর্থ না হলে এটি একটি বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপান্তরিত হতে পারত।’
নাইজেরীয় যুবকের হামলার চেষ্টা প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের কানের পাশ দিয়ে গুলি বেরিয়ে গেছে। কিছু সাহসী মানুষের জন্য আমরা এ যাত্রায় বেঁচে গেছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থার কোনোই ভূমিকা ছিল না।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আরব উপদ্বীপে সক্রিয় আল-কায়েদা সদস্যদের ব্যাপারে মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল। সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রে হামলার জন্য একজন চরমপন্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এমন তথ্যও তাঁদের কাছে ছিল। কিন্তু গোয়েন্দা বিভাগগুলো এ তথ্য সমন্বয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ওবামা গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী জেনেথ নেপোলিটেনো ও এফবিআইয়ের পরিচালক রবার্ট ম্যুলার।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক ডেনিস ব্লেয়ার বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ওবামার বার্তা পেয়েছি আমরা। সন্ত্রাসী হামলার নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
ডেনিস ব্লেয়ার বলেন, সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অগ্রগতি অর্জন করেছেন। এ ছাড়া সেসব তথ্য আদান-প্রদানে গোয়েন্দা বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হয়েছে। তবে সন্ত্রাসীদের নতুন কৌশল মোকাবিলায় এসব প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্যভান্ডারে সারা বিশ্বের সাড়ে পাঁচ লাখ সন্দেহভাজন লোকের তালিকা রয়েছে। বাড়তি তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে এ তালিকার লোকজনের ওপর অতিরিক্ত নজরদারি করার নির্দেশ রয়েছে। ওমরের নাম এ তালিকায় ছিল।
গত মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ওবামা গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। হাওয়াইয়ে ১১ দিনের অবকাশ থেকে ফিরেই নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠক করেন তিনি। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করে ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টার জন্য গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের পদ্ধতিগত ব্যর্থতাই দায়ী। তিনি গোয়েন্দাব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করে চলমান পদ্ধতির সংস্কারের ওপর জোর দেন।
গত ২৫ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি যাত্রীবাহী বিমানে সিরিঞ্জ বোমা দিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালানোর চেষ্টা করেন নাইজেরীয় চরমপন্থী যুবক ওমর ফারুক আবদুল মোতালেব। কিন্তু যাত্রীদের হস্তক্ষেপে এ হামলা চালাতে ব্যর্থ হন তিনি।
বৈঠক শেষে বারাক ওবামা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ওই হামলার চেষ্টার পর এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যগুলো পুরোপুরি বিশ্লেষণ ও সমন্বয় করা হয় না। এটা কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা কখনোই সহ্য করা হবে না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ওবামার ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন। ওবামা জরুরি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা সংস্কারের আহ্বান জানান। এ সময় প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘বিমানে সন্ত্রাসী হামলার চেষ্টা ব্যর্থ না হলে এটি একটি বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপান্তরিত হতে পারত।’
নাইজেরীয় যুবকের হামলার চেষ্টা প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের কানের পাশ দিয়ে গুলি বেরিয়ে গেছে। কিছু সাহসী মানুষের জন্য আমরা এ যাত্রায় বেঁচে গেছি। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তাব্যবস্থার কোনোই ভূমিকা ছিল না।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আরব উপদ্বীপে সক্রিয় আল-কায়েদা সদস্যদের ব্যাপারে মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল। সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রে হামলার জন্য একজন চরমপন্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এমন তথ্যও তাঁদের কাছে ছিল। কিন্তু গোয়েন্দা বিভাগগুলো এ তথ্য সমন্বয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ওবামা গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্য নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী জেনেথ নেপোলিটেনো ও এফবিআইয়ের পরিচালক রবার্ট ম্যুলার।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক ডেনিস ব্লেয়ার বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ওবামার বার্তা পেয়েছি আমরা। সন্ত্রাসী হামলার নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’
ডেনিস ব্লেয়ার বলেন, সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অগ্রগতি অর্জন করেছেন। এ ছাড়া সেসব তথ্য আদান-প্রদানে গোয়েন্দা বিভাগগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হয়েছে। তবে সন্ত্রাসীদের নতুন কৌশল মোকাবিলায় এসব প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্যভান্ডারে সারা বিশ্বের সাড়ে পাঁচ লাখ সন্দেহভাজন লোকের তালিকা রয়েছে। বাড়তি তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে এ তালিকার লোকজনের ওপর অতিরিক্ত নজরদারি করার নির্দেশ রয়েছে। ওমরের নাম এ তালিকায় ছিল।
No comments