কোচের পাশে রাউল
কিংস কাপ থেকে রিয়াল মাদ্রিদকে তো বিদায় করে দিয়েছেই, পুঁচকে অ্যালকরকন এবার না চাকরিটাই খেয়ে ফেলে ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির! তৃতীয় বিভাগের এই দলটির কাছে ০-৪ গোলে হারের লজ্জার পর কিংস কাপের পরবর্তী রাউন্ডে উঠতে ফিরতি লেগে রিয়ালকে জিততে হতো ৫ গোলের ব্যবধানে। তারকায় ঠাসা রিয়াল হুঙ্কারও দিয়ে রেখেছিল। কিন্তু কোথায় কী, রিয়াল বিস্তর ঘাম ঘরিয়ে জিতল মাত্র ১-০ গোলে। যে জয়ের আসলে কোনো মূল্য থাকল না। বার্নাব্যুর দর্শকদের হতাশ করে দিয়ে শেষ ১৬-তে নাম লেখাল অ্যালকরকনই।
সেদিনই গ্যালারিতে দুয়ো উঠেছে চিলিয়ান কোচ পেলেগ্রিনির নামে। সমর্থকেরা মুণ্ডুপাত করে ছেড়েছে। তাঁকে ছাঁটাইয়ের দাবিতে উঠেছে স্লোগান। গ্যালারিতে সাদা রুমাল উড়িয়ে জানানো হয়েছে প্রতিবাদ। কিন্তু রিয়াল অধিনায়ক রাউল গঞ্জালেস কোচের পক্ষেই দাঁড়াচ্ছেন, ‘এর আগেও ইতিহাসের অনেক সংকটময় পরিস্থিতি ঠিকই পার হয়ে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যখন দল ভালো খেলে না সেটির দায় শুধু কোচের ওপর চাপানো ঠিক না। এই দায় আমাদের সবার। কোচের, তাঁর কাজের ওপর আমাদের এখনো আস্থা আছে। এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের বের করে নিয়ে আসার ক্ষমতা তাঁর আছে।’
পাঁচ গোলের ব্যবধানে জিততেই হবে—এই চাপটাই রিয়ালকে রিয়ালের মতো খেলতে দেয়নি বলে জানিয়েছেন রাউল, ‘গতকাল (গত মঙ্গলবার) নিজেদের অসহায় মনে হয়েছে। মাঠে নামার সময় আমরা বেশ উদ্বুদ্ধই ছিলাম। প্রথম গোলটা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছিলাম। কিন্তু সেটি করতে না পারায় উদ্বেগ বাড়ছিল। আমাদের ব্যর্থতার পাশাপাশি অ্যালকরকন নিজেদের খেলাটা খেলে গেছে। এ নিয়ে আমরা হতাশ। বাজে একটা ভাবমূর্তি আমরা তৈরি করেছি। বাজে একটা ফলও পেয়েছি। আপনারা ভেবে নিতেই পারেন, কাল রাতে (মঙ্গলবার) যা হয়েছে সেটার জন্য আমার ভালো ঘুম হয়নি।’
রিয়াল কেন ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে না তারও ব্যাখ্যা দিলেন ৩২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। জানালেন, দলে এই মৌসুমে অনেক নতুন খেলোয়াড়। পুরো একটা দল হয়ে উঠতে তাই সময় লাগছে, ‘নতুন একটা পরিকল্পনার শুরুতে সব ঠিকঠাকমতো করাটা একটু কঠিন। আমাদের দলটা অব্যাহত পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। নতুন খেলোয়াড়দের মানিয়ে নিতে সময় লাগছে। হয়তো আরও কিছুদিন সময় লাগবে। কিন্তু কোচের ওপর আমাদের আস্থা আছে। আমরা হাল ছাড়ছি না। আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। কারণ আমরা জানি, আমাদের পক্ষে আরও ভালো করা সম্ভব।’
সেটি যে সম্ভব তা পেলেগ্রিনিও জানেন। তিনিও হাল ছাড়তে নারাজ, ‘‘প্রত্যেকে নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেগুন্দা ‘বি’তে খেলে এমন একটা দলের কাছে হেরে আমরা বিদায় নিলাম। এর জন্য আমরা অনুতপ্ত হতে পারি। কিন্তু যা হওয়ার সেটা হয়েই গেছে। খেলোয়াড়েরা আমার সঙ্গে আছে এতে আমার কোনো সন্দেহ নেই।
সেদিনই গ্যালারিতে দুয়ো উঠেছে চিলিয়ান কোচ পেলেগ্রিনির নামে। সমর্থকেরা মুণ্ডুপাত করে ছেড়েছে। তাঁকে ছাঁটাইয়ের দাবিতে উঠেছে স্লোগান। গ্যালারিতে সাদা রুমাল উড়িয়ে জানানো হয়েছে প্রতিবাদ। কিন্তু রিয়াল অধিনায়ক রাউল গঞ্জালেস কোচের পক্ষেই দাঁড়াচ্ছেন, ‘এর আগেও ইতিহাসের অনেক সংকটময় পরিস্থিতি ঠিকই পার হয়ে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যখন দল ভালো খেলে না সেটির দায় শুধু কোচের ওপর চাপানো ঠিক না। এই দায় আমাদের সবার। কোচের, তাঁর কাজের ওপর আমাদের এখনো আস্থা আছে। এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের বের করে নিয়ে আসার ক্ষমতা তাঁর আছে।’
পাঁচ গোলের ব্যবধানে জিততেই হবে—এই চাপটাই রিয়ালকে রিয়ালের মতো খেলতে দেয়নি বলে জানিয়েছেন রাউল, ‘গতকাল (গত মঙ্গলবার) নিজেদের অসহায় মনে হয়েছে। মাঠে নামার সময় আমরা বেশ উদ্বুদ্ধই ছিলাম। প্রথম গোলটা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছিলাম। কিন্তু সেটি করতে না পারায় উদ্বেগ বাড়ছিল। আমাদের ব্যর্থতার পাশাপাশি অ্যালকরকন নিজেদের খেলাটা খেলে গেছে। এ নিয়ে আমরা হতাশ। বাজে একটা ভাবমূর্তি আমরা তৈরি করেছি। বাজে একটা ফলও পেয়েছি। আপনারা ভেবে নিতেই পারেন, কাল রাতে (মঙ্গলবার) যা হয়েছে সেটার জন্য আমার ভালো ঘুম হয়নি।’
রিয়াল কেন ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে না তারও ব্যাখ্যা দিলেন ৩২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। জানালেন, দলে এই মৌসুমে অনেক নতুন খেলোয়াড়। পুরো একটা দল হয়ে উঠতে তাই সময় লাগছে, ‘নতুন একটা পরিকল্পনার শুরুতে সব ঠিকঠাকমতো করাটা একটু কঠিন। আমাদের দলটা অব্যাহত পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। নতুন খেলোয়াড়দের মানিয়ে নিতে সময় লাগছে। হয়তো আরও কিছুদিন সময় লাগবে। কিন্তু কোচের ওপর আমাদের আস্থা আছে। আমরা হাল ছাড়ছি না। আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। কারণ আমরা জানি, আমাদের পক্ষে আরও ভালো করা সম্ভব।’
সেটি যে সম্ভব তা পেলেগ্রিনিও জানেন। তিনিও হাল ছাড়তে নারাজ, ‘‘প্রত্যেকে নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেগুন্দা ‘বি’তে খেলে এমন একটা দলের কাছে হেরে আমরা বিদায় নিলাম। এর জন্য আমরা অনুতপ্ত হতে পারি। কিন্তু যা হওয়ার সেটা হয়েই গেছে। খেলোয়াড়েরা আমার সঙ্গে আছে এতে আমার কোনো সন্দেহ নেই।
No comments