কেন ফিরেছেন নওয়াজ? by অনিম আরাফাত
পাকিস্তানের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ কি শুধু জেলে যেতেই দেশে ফিরেছেন? তিনি
জানতেন পাকিস্তান ফেরামাত্রই তাকে এবং তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে গ্রেপ্তার
করা হবে। তিনি চাইলেই পাকিস্তানি অনেক নেতার মতো বিদেশে পালিয়ে থাকতে
পারতেন। তারপরেও তিনি পাকিস্তানে কেন ফিরে এলেন? এ নিয়ে ভারত উপমহাদেশ জুড়ে
ছড়িয়ে পড়েছে নানা আলোচনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা রাজনৈতিক নানা সমীকরণ
মেলানোর চেষ্টা করছেন। পাকিস্তানে আগামী ২৫শে জুলাই জাতীয় নির্বাচন। তার
আগে নওয়াজ শরীফের এভাবে ফিরে আসাকে অনেকেই দেখছেন রাজনৈতিক জুয়া খেলা
হিসেবে। কারণ, এ খেলায় তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার হয় টিকে থাকবে, না হয় শেষ
হয়ে যাবে। তাই, এমন জুয়ায় নেমেছেন নওয়াজ শরীফ।
দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানে বর্তমানে তার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)-এর নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এবং রাজনৈতিকভাবে চাপে রয়েছেন। সেখানে, নওয়াজ শরীফ দেশে থেকে তাদের শক্তি জোগানের চেষ্টা চালাবেন এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, নিজের দলকে সংঘবদ্ধ রাখতেই জেলের ভয় না পেয়ে দেশে ফিরেছেন নওয়াজ। তাছাড়া, তিনি ব্যতীত তার দল পিএমএলএন সফলভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে না। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের নির্বাচনী প্রচারণা জোরদার করবেন তিনি।
একইসঙ্গে, রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষের মুখ বন্ধ রাখতেও নওয়াজ এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভুল প্রমাণ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে দেশে ফিরে আদালতে লড়াই করা। তাছাড়া, জেল এড়াতে তিনি যদি লন্ডন বা বিদেশে অবস্থান করতেন তাহলে বিরোধী দলগুলো দুর্নীতির দায়ে তার সমালোচনা করার সুযোগ পেত। সেখানে, নওয়াজ শরীফ দেশে ফিরে সবাইকে জানিয়ে দিতে চেয়েছেন তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মোকাবিলা করতে ভয় পান না। পাকিস্তানে ফিরে আসার মাধ্যমে নওয়াজ শরীফ একইসঙ্গে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চান। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সবাইকে এক ধরনের শক্তির জোগান দেয়াই তার উদ্দেশ্য। সেনাবাহিনী যেখানে বার বার পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করছে সেখানে তিনি প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠতে চাইছেন। পাশাপাশি, জেলে আটক অবস্থায় তার প্রতি মানুষের সহানুভূতি বৃদ্ধি পাবে, নির্বাচনে যা ফল ঘুরিয়ে দিতেও সক্ষম। এর আগে ২০০৮ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো নিহত হওয়ার পরে তার দল ‘সিম্প্যাথি ভোট’ এর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে সক্ষম হয়েছিল।
নওয়াজ শরীফের ফিরে আসার আরেকটা কারণ হচ্ছে, তিনি মনে করছেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো শক্তিশালী নয়। নিরপেক্ষ বিচার হলে তিনি সহজেই মুক্তি পেয়ে যাবেন। আদালতে যদি তিনি নিজেকে মুক্ত করে আনতে পারেন তাহলে তা হবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য এক অসাধারণ সময়। তাই বিদেশে পালিয়ে না থেকে বাজি খেলতে চাইছেন নওয়াজ শরীফ।
এর আগে, লন্ডনে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পত্তি থাকার অভিযোগে নওয়াজ শরীফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে যথাক্রমে ১০ বছর ও ৭ বছর কারাদণ্ড দেয় পাকিস্তানের একটি আদালত। শুক্রবার রাতে লন্ডন থেকে পাকিস্তানে ফেরার পর লাহোর বিমানবন্দরে তাদেরকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বি-শ্রেণির সুবিধা নিয়ে অবস্থান করছেন।
দ্বিতীয়ত, পাকিস্তানে বর্তমানে তার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)-এর নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এবং রাজনৈতিকভাবে চাপে রয়েছেন। সেখানে, নওয়াজ শরীফ দেশে থেকে তাদের শক্তি জোগানের চেষ্টা চালাবেন এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, নিজের দলকে সংঘবদ্ধ রাখতেই জেলের ভয় না পেয়ে দেশে ফিরেছেন নওয়াজ। তাছাড়া, তিনি ব্যতীত তার দল পিএমএলএন সফলভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে না। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের নির্বাচনী প্রচারণা জোরদার করবেন তিনি।
একইসঙ্গে, রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষের মুখ বন্ধ রাখতেও নওয়াজ এ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ভুল প্রমাণ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে দেশে ফিরে আদালতে লড়াই করা। তাছাড়া, জেল এড়াতে তিনি যদি লন্ডন বা বিদেশে অবস্থান করতেন তাহলে বিরোধী দলগুলো দুর্নীতির দায়ে তার সমালোচনা করার সুযোগ পেত। সেখানে, নওয়াজ শরীফ দেশে ফিরে সবাইকে জানিয়ে দিতে চেয়েছেন তিনি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মোকাবিলা করতে ভয় পান না। পাকিস্তানে ফিরে আসার মাধ্যমে নওয়াজ শরীফ একইসঙ্গে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চান। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সবাইকে এক ধরনের শক্তির জোগান দেয়াই তার উদ্দেশ্য। সেনাবাহিনী যেখানে বার বার পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করছে সেখানে তিনি প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠতে চাইছেন। পাশাপাশি, জেলে আটক অবস্থায় তার প্রতি মানুষের সহানুভূতি বৃদ্ধি পাবে, নির্বাচনে যা ফল ঘুরিয়ে দিতেও সক্ষম। এর আগে ২০০৮ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো নিহত হওয়ার পরে তার দল ‘সিম্প্যাথি ভোট’ এর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে সক্ষম হয়েছিল।
নওয়াজ শরীফের ফিরে আসার আরেকটা কারণ হচ্ছে, তিনি মনে করছেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো শক্তিশালী নয়। নিরপেক্ষ বিচার হলে তিনি সহজেই মুক্তি পেয়ে যাবেন। আদালতে যদি তিনি নিজেকে মুক্ত করে আনতে পারেন তাহলে তা হবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য এক অসাধারণ সময়। তাই বিদেশে পালিয়ে না থেকে বাজি খেলতে চাইছেন নওয়াজ শরীফ।
এর আগে, লন্ডনে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পত্তি থাকার অভিযোগে নওয়াজ শরীফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে যথাক্রমে ১০ বছর ও ৭ বছর কারাদণ্ড দেয় পাকিস্তানের একটি আদালত। শুক্রবার রাতে লন্ডন থেকে পাকিস্তানে ফেরার পর লাহোর বিমানবন্দরে তাদেরকে আটক করে জেলে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বি-শ্রেণির সুবিধা নিয়ে অবস্থান করছেন।
No comments