ক্যামেরনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার
ইউরোপীয় ইউনিয়নে যুক্তরাজ্যের থাকা না-থাকার গণভোট নিয়ে বড় রকমের বাজি ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তাতে হেরে যাওয়ার পর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বেই ইইউ থেকে বেরিয়ে গেল যুক্তরাজ্য। ইতিহাস তাঁকে সেভাবেই মনে রাখবে। এই গণভোটকে একটা পরীক্ষা হিসেবে নিয়েছিলেন ক্যামেরন। ভেবেছিলেন এই পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টিকেও ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন। কিন্তু গণভোটে অংশগ্রহণকারী যুক্তরাজ্যের ৫২ শতাংশ নাগরিক ইইউ ত্যাগ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। এরপর আগামী অক্টোবরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে ক্যামেরন বলেছেন,
তিনি ইইউতে থাকার পক্ষে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর ক্যামেরন যুক্তরাজ্যে ২০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। এ সময় তাঁর সরকারের পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। মধ্যপন্থী লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন নিয়ে কনজারভেটিভ পার্টি ওই সরকার গঠন করেছিল। তবে ২০১৫ সালের মে মাসের নির্বাচনে দলটি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে। এর আগের বছরও দেশটিতে একটি গণভোটের পরীক্ষা হয়, তবে সেই বাধা উতরে যায় কনজারভেটিভ পার্টির সরকার। সেই গণভোটে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে থাকার পক্ষে মত দেয় স্কটল্যান্ড।
No comments