মামলার বাদীর আইনজীবীদের ঘুষ দেন নরেন্দ্র মোদি!
২০০২ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে দাঙ্গার ঘটনায় একটি মামলার বাদীর আইনজীবীদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার ওই মামলার বাদী সমাজকর্মী ও নৃত্যশিল্পী মল্লিকা সারাবাই এই অভিযোগ করেন।
২০০২ সালে গোধরায় ট্রেনে আগুন লেগে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। দাঙ্গায় মুখ্যমন্ত্রী মোদিসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ‘সহযোগিতার’ অভিযোগ এনে জনস্বার্থে মামলা করেন মল্লিকা সারাবাই।
গতকাল মল্লিকা অভিযোগ করেন, ‘ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী মোদি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আর বি শ্রীকুমার ও তাঁর ডেপুটি সঞ্জীব ভাটকে ডেকে পাঠান। মুখ্যমন্ত্রী ওই দুই কর্মকর্তাকে আমার আইনজীবীদের ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে বলেন। ঘুষ দিয়ে ওই মামলার শুনানি প্রভাবিত করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য।’
দাঙ্গার ঘটনা তদন্তে গঠিত নানাবতী কমিশনে দেওয়া গোয়েন্দা কর্মকর্তা শ্রীকুমারের নথির একটি কপিও সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেন মল্লিকা। তিনি দাবি করেন, আরেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সঞ্জীব ভাট গত মে মাসে নানাবতী কমিশনে হাজির হয়ে ঘুষের বিষয়টি স্বীকার করেন। ভাট তদন্ত কমিশনকে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মোদি আইনজীবীদের ঘুষ দেওয়ার জন্য তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মল্লিকা বলেন, এরপর তিনি নিজে তদন্ত কমিশনে গিয়ে এ বিষয়ে শ্রীকুমার ও সঞ্জীব ভাটের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চান। কমিশন তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে তিনি কমিশনে দেওয়া শ্রীকুমারের বক্তব্য লিখিতভাবে দেওয়া উচিত বলে কমিশনের কাছে চিঠি লিখেন। কমিশন তা মঞ্জুর করে। মল্লিকা জানান, তিনি কমিশনের পক্ষে লিখিত বিবৃতির জন্য শ্রীকুমারের কাছে চিঠি লিখেছেন। শ্রীকুমার আগামী শুক্রবার এই বিবৃতি দিতে চেয়েছেন।
২০০২ সালে গোধরায় ট্রেনে আগুন লেগে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। দাঙ্গায় মুখ্যমন্ত্রী মোদিসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ‘সহযোগিতার’ অভিযোগ এনে জনস্বার্থে মামলা করেন মল্লিকা সারাবাই।
গতকাল মল্লিকা অভিযোগ করেন, ‘ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী মোদি রাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আর বি শ্রীকুমার ও তাঁর ডেপুটি সঞ্জীব ভাটকে ডেকে পাঠান। মুখ্যমন্ত্রী ওই দুই কর্মকর্তাকে আমার আইনজীবীদের ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে বলেন। ঘুষ দিয়ে ওই মামলার শুনানি প্রভাবিত করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য।’
দাঙ্গার ঘটনা তদন্তে গঠিত নানাবতী কমিশনে দেওয়া গোয়েন্দা কর্মকর্তা শ্রীকুমারের নথির একটি কপিও সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করেন মল্লিকা। তিনি দাবি করেন, আরেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সঞ্জীব ভাট গত মে মাসে নানাবতী কমিশনে হাজির হয়ে ঘুষের বিষয়টি স্বীকার করেন। ভাট তদন্ত কমিশনকে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মোদি আইনজীবীদের ঘুষ দেওয়ার জন্য তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মল্লিকা বলেন, এরপর তিনি নিজে তদন্ত কমিশনে গিয়ে এ বিষয়ে শ্রীকুমার ও সঞ্জীব ভাটের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চান। কমিশন তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে তিনি কমিশনে দেওয়া শ্রীকুমারের বক্তব্য লিখিতভাবে দেওয়া উচিত বলে কমিশনের কাছে চিঠি লিখেন। কমিশন তা মঞ্জুর করে। মল্লিকা জানান, তিনি কমিশনের পক্ষে লিখিত বিবৃতির জন্য শ্রীকুমারের কাছে চিঠি লিখেছেন। শ্রীকুমার আগামী শুক্রবার এই বিবৃতি দিতে চেয়েছেন।
No comments