নিজেকে রক্ষা করে গেছেন মোবারক, জনগণকে নয়
মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক ১৯৮১ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি দায়িত্ব নেন। এর পর থেকে বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকেন তিনি। ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁকে হত্যার জন্য অন্তত ১০ বার বড় ধরনের হামলা চালানো হয়। প্রতিবারই নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হন তিনি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিজেকে রক্ষা করতে সমর্থ হলেও নিজ দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।
আল-জিহাদ, জামা ইসলামিয়া ও তালায়ে আল-ফাতাহসহ মিসরের বেশ কয়েকটি কট্টরপন্থী সংগঠনের সদস্যরা দেশে ও বিদেশে মোবারককে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। মোবারককে হত্যার উদ্দেশ্যে ইসলামি জঙ্গিরা ১৯৯৩ সালে তাঁর কায়রোর বাসভবনে রকেট হামলা চালায়। এটি ছিল তাঁর ওপর প্রথম সরাসরি হামলা। এটি ব্যর্থ হলেও জঙ্গিরা থেমে থাকেনি। ১৯৯৫ সালে আদ্দিস আবাবায় প্রেসিডেন্টের গাড়িবহর লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। পরের বছর লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে বৈঠকের সময় তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অবশ্য এসব তৎপরতার কোনোটাই সফল হয়নি। তবে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে পোর্ট সৈয়দে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে মোবারক সামান্য জখম হন।হামলার হাত থেকে বারবার রক্ষা পেলেও অন্য ধরনের আক্রমণের শিকার হন মোবারক। ২০০৪ সালে জার্মানিতে মোবারকের অন্ত্রের অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর গুজব ছড়িয়ে পড়ে, ওই অস্ত্রোপচার ব্যর্থ হয়েছে। মোবারক জার্মান চিকিৎসকদের ছুরি-কাঁচির খোঁচায় মারা গেছেন। জোর গুজবের মুখে ২০০৭ সালে তিনি ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে জনসমক্ষে হাজির হন। হোসনি মোবারকের তিন দশকের শাসনাবসানের দাবিতে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে মিসরে বিক্ষোভ শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনী ও মোবারকের সমর্থকদের সঙ্গে সহিংসতায় সেখানে এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার মোবারকের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মোবারক বারবার নিজের জীবন রক্ষা করতে সমর্থ হলেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। এর পরিণতিতে তাঁর ক্ষমতার আসন টলে ওঠে। জনগণের দাবির মুখে শেষ পর্যন্ত গতকাল সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন এই একনায়ক।
বয়সের ভারে ন্যুব্জ মোবারক তাঁর উত্তরাধিকার হিসেবে ছোট ছেলে গামাল মোবারকের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন—একসময় এমন গুজব লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে সরকারের ভেতরের বড় অংশের প্রবল বিরোধিতার কারণে মোবারকের সে উদ্যোগ সফল হয়নি।বিমানবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে হোসনি মোবারক পেশাগত জীবন শুরু করেন ১৯৫০ সালে। ১৯৭২ সালে বিমানবাহিনীর চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন। কায়রোতে ১৯৮১ সালের ৬ অক্টোবর ইসলামি জঙ্গিদের গুলিতে প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত নিহত হন। এর এক সপ্তাহ পর তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোবারক তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। এর পরের মাসে গণভোটে মোবারক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর আগে সাদাতই তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করেছিলেন।
আল-জিহাদ, জামা ইসলামিয়া ও তালায়ে আল-ফাতাহসহ মিসরের বেশ কয়েকটি কট্টরপন্থী সংগঠনের সদস্যরা দেশে ও বিদেশে মোবারককে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। মোবারককে হত্যার উদ্দেশ্যে ইসলামি জঙ্গিরা ১৯৯৩ সালে তাঁর কায়রোর বাসভবনে রকেট হামলা চালায়। এটি ছিল তাঁর ওপর প্রথম সরাসরি হামলা। এটি ব্যর্থ হলেও জঙ্গিরা থেমে থাকেনি। ১৯৯৫ সালে আদ্দিস আবাবায় প্রেসিডেন্টের গাড়িবহর লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। পরের বছর লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে বৈঠকের সময় তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অবশ্য এসব তৎপরতার কোনোটাই সফল হয়নি। তবে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে পোর্ট সৈয়দে এক ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে মোবারক সামান্য জখম হন।হামলার হাত থেকে বারবার রক্ষা পেলেও অন্য ধরনের আক্রমণের শিকার হন মোবারক। ২০০৪ সালে জার্মানিতে মোবারকের অন্ত্রের অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর গুজব ছড়িয়ে পড়ে, ওই অস্ত্রোপচার ব্যর্থ হয়েছে। মোবারক জার্মান চিকিৎসকদের ছুরি-কাঁচির খোঁচায় মারা গেছেন। জোর গুজবের মুখে ২০০৭ সালে তিনি ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে জনসমক্ষে হাজির হন। হোসনি মোবারকের তিন দশকের শাসনাবসানের দাবিতে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে মিসরে বিক্ষোভ শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনী ও মোবারকের সমর্থকদের সঙ্গে সহিংসতায় সেখানে এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার মোবারকের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, মোবারক বারবার নিজের জীবন রক্ষা করতে সমর্থ হলেও জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। এর পরিণতিতে তাঁর ক্ষমতার আসন টলে ওঠে। জনগণের দাবির মুখে শেষ পর্যন্ত গতকাল সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন এই একনায়ক।
বয়সের ভারে ন্যুব্জ মোবারক তাঁর উত্তরাধিকার হিসেবে ছোট ছেলে গামাল মোবারকের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন—একসময় এমন গুজব লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে সরকারের ভেতরের বড় অংশের প্রবল বিরোধিতার কারণে মোবারকের সে উদ্যোগ সফল হয়নি।বিমানবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে হোসনি মোবারক পেশাগত জীবন শুরু করেন ১৯৫০ সালে। ১৯৭২ সালে বিমানবাহিনীর চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন। কায়রোতে ১৯৮১ সালের ৬ অক্টোবর ইসলামি জঙ্গিদের গুলিতে প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত নিহত হন। এর এক সপ্তাহ পর তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট মোবারক তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। এর পরের মাসে গণভোটে মোবারক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর আগে সাদাতই তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করেছিলেন।
No comments