দুর্নীতি প্রতিরোধে আশার আলো by ড. ইফতেখারুজ্জামান

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কর্তৃক আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ৯ ডিসেম্বর ২০১০ প্রকাশিত গ্লোবাল করাপশন রিপোর্ট বা বৈশ্বিক দুর্নীতির পরিমাপক প্রতিবেদন বরাবরের মতো ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত করেছে। প্রতিবেদনে উপস্থাপিত তথ্য ও বিশ্লেষণে দেশের সাধারণ জনগণের অভিজ্ঞতা ও অভিমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটেছে, যদিও অন্যদিকে কোনো কোনো মহলে জরিপের ফলাফলে প্রাপ্ত কঠিন সত্যকে মেনে নেওয়ার সৎসাহসের অভাব কিছুটা বিস্ময়েরও সৃষ্টি করেছে।
টিআইবির কাজের মূল প্রেরণা আমাদের গৌরবময় ইতিহাস, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন। গণতন্ত্রের জন্য, সব মানুষের সমান অধিকারের জন্য, একটি সুশাসিত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের মানুষের অকাতরে রক্ত দেওয়ার যে ঐতিহ্য তার বাহক হিসেবে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের প্রিয় স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে অন্যতম অন্তরায় যে দুর্নীতি তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এ দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক দায়িত্ব ও অধিকার। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দুর্নীতি একুশের চেতনার পরিপন্থী; দুর্নীতি স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক; আর যুদ্ধাপরাধীরা পৃথিবীর জঘন্যতম দুর্নীতিবাজ। স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে আমরা চাই সুশাসিত দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ। দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে আমাদের প্রেরণার এই মৌলিক উৎসের কথা সম্ভবত আমরা এখনো ক্ষমতাধর কারও কাছে পৌঁছাতে পারিনি। যে জন্য আমাদের প্রতিবেদনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ব্যাহত করার উপাদান অনুসন্ধানের অপচেষ্টা করা হয়। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর।
জরিপটি বিশ্বব্যাপী একই দিনে একই সময়ে প্রকাশিত হয়েছে। এই প্রকাশকালের সঙ্গে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কোনো সংযোগ নেই। শুধু তথ্যনির্ভর দুর্নীতিবিরোধী চাহিদা সৃষ্টি ছাড়া কোনো বিশেষ ঘটনা বা উদ্যোগকে কোনোভাবে প্রভাবান্বিত করার সম্ভাবনার ধারণা সম্পূর্ণ অমূলক।
জরিপের পদ্ধতি
এই জরিপে সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও বৈজ্ঞানিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত পরিসংখ্যানবিদ্যায় ব্যবহূত নমুনায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নমুনা কাঠামো অনুসরণ করে বহুপর্যায়ী গুচ্ছ নমুনায়ন পদ্ধতিতে নমুনায়িত বাংলাদেশে তথ্যদাতার সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৯। দুর্নীতিবিষয়ক এই আন্তর্জাতিক গবেষণার আওতাভুক্ত ৮৬টি দেশের মোট নমুনাসংখ্যা ৯১ হাজার ৭৮১। এই নমুনায়নে মার্জিন অব এরর (প্রান্তিক ব্যত্যয়ের মাত্রা) +/- ২.১৮ থেকে ৪.৪ শতাংশ, যা জরিপে প্রাপ্ত তথ্য ও তার বিশ্লেষণের সর্বোত্তম গ্রহণযোগ্যতা, উৎকর্ষ ও নির্ভরযোগ্যতার পরিচায়ক।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যে চিত্র উঠে এসেছে তা বিশ্বব্যাপী চিত্রেরই প্রতিফলন, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর তুলনায় উত্তম। প্রতিবেদনে শুধু উত্তরদাতা তথা সাধারণ জনগণের অভিজ্ঞতা ও অভিমতনির্ভর তথ্যই ব্যবহূত হয়েছে এবং তার ওপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণ বস্তুনিষ্ঠ, পেশাদারিত্ব ও নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আমাদের কাজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে; কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠান বা খাতের বিরুদ্ধে নয়। বরং এ ধরনের গবেষণার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাতে ও প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি বেড়েছে
বিশ্বব্যাপী এই জরিপে অংশগ্রহণকারী নাগরিকদের মতামত অনুযায়ী, বিগত তিন বছরে বিশ্বব্যাপী, শতকরা ৫৬ জনের মতে, দুর্নীতির মাত্রা বেড়েছে। লক্ষণীয়, উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে আরও বেশি—যথাক্রমে ৭৩ ও ৬৭ শতাংশ মানুষের মতে, তাদের দেশে দুর্নীতি বেড়েছে। তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশে এই হারটি কম, শতকরা ৪৬ ভাগ উত্তরদাতা মনে করেন, গত তিন বছরে বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে। অন্যদিকে ১৮ শতাংশ মনে করেন, দুর্নীতি একই মাত্রায় রয়েছে। শতকরা ৩৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন, গত তিন বছরে বাংলাদেশে দুর্নীতি হ্রাস পেয়েছে।
দুর্নীতিতে নিমজ্জিত প্রতিষ্ঠান/খাত
বিশ্বব্যাপী উত্তরদাতাদের ৭৯ শতাংশের মতে, রাজনৈতিক দল সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। এরপর রয়েছে যথাক্রমে জনপ্রশাসন (৬২ শতাংশ), সংসদ (৬০ শতাংশ), বেসরকারি খাত (৫১ শতাংশ), ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (৫০ শতাংশ), বিচার বিভাগ (৪৩ শতাংশ), গণমাধ্যম (৪০ শতাংশ), শিক্ষাব্যবস্থা (৩৮ শতাংশ) এবং এনজিও খাত ও সামরিক বাহিনী (উভয় ৩০ শতাংশ)। কিন্তু বাংলাদেশে ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা পুলিশ বাহিনীকে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত বলে মত দিয়েছেন। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এরপর রয়েছে জনপ্রশাসন (৬৮ শতাংশ), রাজনৈতিক দল (৫৮ শতাংশ), বিচার বিভাগ (৪৩ শতাংশ), সংসদ (৩২ শতাংশ), শিক্ষা (২২ শতাংশ), এনজিও (১৬ শতাংশ), গণমাধ্যম (১৪ শতাংশ), বেসরকারি খাত, সামরিক বাহিনী ও ধর্মীয় সংগঠন (প্রতিটি ৯ শতাংশ)।
ন্যায্য সেবা পেতে ঘুষ
বিশ্বে সর্বাধিক ২৯ শতাংশ উত্তরদাতা পুলিশকে সবচেয়ে বেশি ঘুষ আদায়কারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশেও এই তালিকার শীর্ষে পুলিশ। তবে এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি, ৭৫ শতাংশ উত্তরদাতা পুলিশকে সবচেয়ে বেশি ঘুষগ্রহীতা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে ৬৪ শতাংশ বিচার বিভাগ, ৪৮ শতাংশ ভূমি প্রশাসনে, ৪৭ শতাংশ লাইসেন্স/পারমিট নিতে, ৩৪ শতাংশ ইউটিলিটিজ, ২৮ শতাংশ শিক্ষায়, ১৮ শতাংশ স্বাস্থ্য ও কর খাতে এবং ১০ শতাংশ কাস্টমসে ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন। লক্ষণীয়, বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে সেবামূলক খাতে ঘুষ আদায়ের প্রবণতা বেশি। দক্ষিণ এশীয় অন্যান্য দেশে প্রায় অনুরূপ চিত্র পরিলক্ষিত হয়।
ঘুষ দেওয়ার কারণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী জরিপে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন সেবা পেতে যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য ঘুষ দেওয়ার কথা বলছেন। বাংলাদেশে ৫০ শতাংশ মানুষই ন্যায্য সেবা পেতে এবং প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন দ্রুত সেবা পেতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়ার কথা বলেছেন। তবে প্রতি ১০ জনে একজন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝামেলা এড়ানোর জন্য ঘুষ দেওয়ার কথা বলেছেন। জরিপ অনুযায়ী দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী সার্বিকভাবে উচ্চ আয়ের সেবাগ্রহীতার তুলনায় নিম্ন আয়ের সেবাগ্রহীতারা বেশি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন এবং তাঁদের ওপরই দুর্নীতির নেতিবাচক প্রভাব বেশি পড়ে।
আশার আলো
বাংলাদেশের জন্য এই জরিপে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী গড়ে মাত্র ৩৩ শতাংশ উত্তরদাতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে শতকরা ৬১ জনই সরকারের পদক্ষেপকেই সবচেয়ে বেশি কার্যকর বলে মনে করেন। একইভাবে বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ মানুষ দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি নেতৃত্বের ওপরই আস্থা পোষণ করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গণমাধ্যম (১৬ শতাংশ), অথচ বেসরকারি সংস্থা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা খুবই কম (তিন শতাংশ)। ১০ শতাংশ মানুষ কারও ওপরই আস্থা রাখেন না।
বাংলাদেশের জন্য আরও সুসংবাদ হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী সার্বিকভাবে যেখানে ৬৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন দুর্নীতি প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের ভূমিকা রয়েছে, বাংলাদেশের বেলায় হারটি হলো ৯৩ শতাংশ। তদুপরি, বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষই বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানকে সমর্থন করতে এবং ৯০ শতাংশ মানুষ এই আন্দোলনে নিজেদের অংশগ্রহণে আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছেন।
অতএব, বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে সাফল্যের সম্ভাবনা অসীম, যদি সরকারি নেতৃত্ব তাদের ওপর জনগণের আস্থার সম্মান দিয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতীয় অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে বাস্তবিকই সচেষ্ট হয়। দুর্নীতি প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা অপরিহার্য। এবং এই সদিচ্ছার কার্যকর বাস্তবায়নই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হতে পারে। কারণ, জনগণ মনে করে যে চূড়ান্ত বিবেচনায় সরকারের হাতেই দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা। গণতন্ত্রের মৌলিক প্রতিষ্ঠানগুলোর, বিশেষ করে, রাজনৈতিক দল, সংসদ, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ, বিচার বিভাগ ও জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। আশার দিক হলো, এই জরিপে সাধারণ জনগণ সর্বাত্মকভাবে এ আন্দোলনে অংশগ্রহণে আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছে। জনগণের এই আগ্রহকে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে কাজে লাগাতে হবে। আর এ ব্যাপারে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য।
===========================
জাগো যুববন্ধুরা, মুক্তির সংগ্রামে  ঢাকা নগর ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন প্রয়োজন  মারিও বার্গাস য়োসার নোবেল ভাষণ- পঠন ও কাহিনীর নান্দীপাঠ  লন্ডন পুলিশ জলকামানও নিল না  রাষ্ট্রের চ্যালেঞ্জ ও যুদ্ধাপরাধী বিচারের দায়বদ্ধতা  পোশাক শিল্পে অস্থিরতার উৎস-সন্ধান সূত্র  বাতাসের শব্দ  গোলাপি গল্প  বজ্র অটুঁনি অথবাঃ  উদ্ভট উটের পিঠে আইভরি কোস্ট  আনল বয়ে কোন বারতা!  ফেলানীর মৃত্যুতে পশ্চিমবঙ্গ- নিজ ভূমেই প্রশ্নবিদ্ধ ভারতের মানবিক চেহারা  বাজার চলে কার নিয়ন্ত্রণে  উঠতি বয়সের সংকট : অভিভাবকের দায়িত্ব  বিকল্প ভাবনা বিকল্প সংস্কৃতি  অন্ধত্ব ও আরোগ্য পরম্পরা  খুলে যাক সম্ভাবনার দুয়ার  কক্সবাজার সাফারি পার্কঃ প্রাণীর প্রাচুর্য আছে, নেই অর্থ, দক্ষতা  জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের গুপ্ত জীবন  ছাব্বিশটি মৃতদেহ ও একটি গ্রেপ্তার  ৩৯ বছর পরও আমরা স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি  সাইবারযুদ্ধের দামামা  সরলতার খোঁজে  সেই আমি এই আমি  আমেরিকান অর্থনীতি ডলারের চ্যালেঞ্জ  বাংলাদেশ-ভারত যৌথ ইশতেহার- আশানুরূপ সুফল নেই এক বছরেও  ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও রাজনীতি  মাস্টারদা সূর্যসেন ও যুব বিদ্রোহ সাতাত্তর  রসভা নির্বাচন ২০১১: একটি পর্যালোচনা  ড. ইউনূস অর্থ আত্মসাৎ করেননি  প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ৩৯ বছর  স্বাধীনতাযুদ্ধের 'বিস্মৃত' কূটনৈতিক মুক্তিযোদ্ধারা  আতঙ্কে শেয়ারবাজার বন্ধঃ বিক্ষোভ  আতঙ্কের রাজত্ব কায়েম হয়েছে  মানবকল্যাণ আমাদের মন্ত্র  ট্রানজিট নিয়ে সবে গবেষণা শুরু  ভারতের একতরফা সেচ প্রকল্পঃ বাংলাদেশের আপত্তিতে বিশ্বব্যাংকের সাড়া  আমলাদের যাচ্ছেতাই বিদেশ সফর  সরকারের ব্যর্থতায় হতাশাঃ বিরোধী দলের ব্যর্থতায় বিকল্পের অনুপস্থিতি  ক্ষমতা ও গণতন্ত্র  পানি সংকট পানি বাণিজ্য


দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
লেখকঃ ড. ইফতেখারুজ্জামান
নির্বাহী পরিচালক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.