‘যুক্তরাষ্ট্র আগামী দুই দশকও অপ্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে’
চীনের একজন ঊর্ধ্বতন নীতিনির্ধারক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী দুই দশক পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতি ও সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে অপ্রতিদ্বন্দ্বী থেকে যাবে। বিশ্বজুড়ে দেশটির যে আধিপত্য চলছে, তা এ সময়ের মধ্যে রোখা যাবে না। তাই দেশটির সঙ্গে বিরোধে না জড়িয়ে সব ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রেখে চলার জন্য তিনি চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের কিছু দিন আগে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণ-বিষয়ক বিভাগের উপপরিচালক লি ইউচেং তাঁর লেখা এক নিবন্ধে এ মন্তব্য করেন। নিবন্ধটি গতকাল সোমবার চীনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স রিভিউ-এ প্রকাশিত হয়েছে।
ওই নিবন্ধে লি ইউচেং বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রই। এর কোনো তুলনা নেই। দেশটি বিশ্ব অর্থনীতির এক চতুর্থাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নতুন নতুন আবিষ্কার এবং সামরিক শক্তিতে এটি অতুলনীয়। তাই যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি ও সামর্থ্যকে আমাদের খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা দেশটির আরও অনেক দিন থাকবে। অন্তত ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত থাকবে, সেটা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
লি ইউচেং জোর দিয়ে বলেন, চীন উদিয়মান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, এ কথাও ঠিক। কিন্তু তাই বলে তাদের আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবাও ঠিক হবে না চীনের। তারা পশ্চিমাদের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, এমনটি মনে করা হবে অনুচিত।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জিয়েচিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রকাশনায় একটি নিবন্ধ লিখেন। তাতে তিনি লিয়ের কথার কিছুটা প্রতিধ্বনি করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর লেখায় উল্লেখ করেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে এখনো অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাদের। ২০১০ সালে চীনকে অনেক আন্তর্জাতিক বিবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি, জাপানের সঙ্গে ভূখণ্ড নিয়ে বিরোধ, উত্তর কোরিয়া প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করেন।
লি অবশ্য এসব বিষয় আমলে না নিয়ে বলেন, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান সমস্যার সমাধান সামরিক মহড়া দিয়ে সম্ভব নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীনের কখনোই উচিত হবে না নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্য বৃথা কাজে ব্যয় করা এবং বিভিন্ন ইস্যুতে যক্তরাষ্ট্রকে উসকে দেওয়া। শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতা বা ইচ্ছে থাকাটাও তাদের উচিত হবে না বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে মেইল অন লাইনের এক খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণে চীন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যে স্টিলথ জঙ্গি বিমান তৈরি করেছে, সেটার কায়দাকানুন তারা রপ্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১১৭ নাইটহক বিমান থেকে। ওই বিমানটি ১৯৯৯ সালে সার্বিয়ায় গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল। পরে চীন ওই বিমানের বিভিন্ন দিক অনুসরণ করে জে-২০ স্টিলথ বিমান তৈরি করে। চীন গত মাসে ওই বিমানের সফল পরীক্ষা চালায়।
চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের কিছু দিন আগে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিনির্ধারণ-বিষয়ক বিভাগের উপপরিচালক লি ইউচেং তাঁর লেখা এক নিবন্ধে এ মন্তব্য করেন। নিবন্ধটি গতকাল সোমবার চীনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স রিভিউ-এ প্রকাশিত হয়েছে।
ওই নিবন্ধে লি ইউচেং বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রই। এর কোনো তুলনা নেই। দেশটি বিশ্ব অর্থনীতির এক চতুর্থাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নতুন নতুন আবিষ্কার এবং সামরিক শক্তিতে এটি অতুলনীয়। তাই যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি ও সামর্থ্যকে আমাদের খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা দেশটির আরও অনেক দিন থাকবে। অন্তত ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত থাকবে, সেটা প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
লি ইউচেং জোর দিয়ে বলেন, চীন উদিয়মান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, এ কথাও ঠিক। কিন্তু তাই বলে তাদের আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবাও ঠিক হবে না চীনের। তারা পশ্চিমাদের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, এমনটি মনে করা হবে অনুচিত।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জিয়েচিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রকাশনায় একটি নিবন্ধ লিখেন। তাতে তিনি লিয়ের কথার কিছুটা প্রতিধ্বনি করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর লেখায় উল্লেখ করেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে এখনো অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাদের। ২০১০ সালে চীনকে অনেক আন্তর্জাতিক বিবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি, জাপানের সঙ্গে ভূখণ্ড নিয়ে বিরোধ, উত্তর কোরিয়া প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করেন।
লি অবশ্য এসব বিষয় আমলে না নিয়ে বলেন, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান সমস্যার সমাধান সামরিক মহড়া দিয়ে সম্ভব নয়। তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীনের কখনোই উচিত হবে না নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্য বৃথা কাজে ব্যয় করা এবং বিভিন্ন ইস্যুতে যক্তরাষ্ট্রকে উসকে দেওয়া। শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতা বা ইচ্ছে থাকাটাও তাদের উচিত হবে না বলে তিনি মনে করেন।
এদিকে মেইল অন লাইনের এক খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণে চীন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যে স্টিলথ জঙ্গি বিমান তৈরি করেছে, সেটার কায়দাকানুন তারা রপ্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১১৭ নাইটহক বিমান থেকে। ওই বিমানটি ১৯৯৯ সালে সার্বিয়ায় গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল। পরে চীন ওই বিমানের বিভিন্ন দিক অনুসরণ করে জে-২০ স্টিলথ বিমান তৈরি করে। চীন গত মাসে ওই বিমানের সফল পরীক্ষা চালায়।
No comments