আমেরিকায় বাংলাদেশের সার্বিক রপ্তানি কমেছে
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় পণ্য আমদানি ২০০৯ সালে তার আগের বছরের চেয়ে কমে গেছে। উল্টোভাবে বললে, আমেরিকায় বাংলাদেশের রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ৩৭০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। আর ২০০৮ সালে এই আমদানির পরিমাণ ছিল ৩৭৪ কোটি ৮৪ লাখ ডলার।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, পাঁচ বছর পর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মোট বার্ষিক রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় হ্রাস পেল।
এর আগে ২০০০ সালের পর টানা তিন বছর আমেরিকায় বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় কমে গিয়েছিল। ২০০৪ সাল থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করে এবং ২০০৮ সাল পর্যন্ত তা বাড়ে।
গত বছর রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার পেছনে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়াকেই মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। মন্দাজনিত কারণে চাহিদা ও দাম কমে যাওয়া পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আমেরিকায় ৩৪১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা দেশটিতে মোট রপ্তানির প্রায় ৯৩ শতাংশ। আর ২০০৮ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানির মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৩৮ কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের জন্য।
অবশ্য পণ্য রপ্তানি আয় হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি আমেরিকা থেকে পণ্য আমদানিও একই সময় কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ৪৬ কোটি ৮১ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। আর ২০০৯ সালে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অর্থাত্ আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আমদানিব্যয় কিছুটা কমেছে।
আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় পণ্য-বাণিজ্যে ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে। ২০০৯ সালে পণ্য-বাণিজ্যে বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৩২৬ কোটি ৫১ লাখ ডলার। আর ২০০৮ সালে এই উদ্বৃত্ত ছিল ৩২৮ কোটি ডলার। অর্থাত্ বাণিজ্য উদ্বৃত্ত খানিকটা কমে গেছে।
অবশ্য সার্বিকভাবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যও গত বছর কমে গেছে। ২০০৮ সালে যেখানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল ৪২১ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, ২০০৯ সালে তা কমে হয়েছে ৪১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের প্রায় সব পণ্যকেই উচ্চহারে আমদানিশুল্ক দিয়ে প্রবেশ করতে হয়।
বাংলাদেশি পণ্য আমেরিকার বাজারে প্রবেশ করতে গড়ে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হয় আর কম্বোডিয়ার পণ্যের ক্ষেত্রে দিতে হয় ১৭ শতাংশ। অথচ একই সময় ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এক শতাংশের কম হারে শুল্ক প্রদান করে।
ওয়াশিংটনডিসিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডেমোক্রেটিক লিডারশিপ কাউন্সিলের (ডিএলসি) তথ্যানুসারে, আমেরিকা ২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে ২৫৬ কোটি ডলারের পণ্য আমদানির বিপরীতে আমদানিশুল্ক বাবদ আমেরিকার আয় হয়েছে ৩৯ কোটি ২০ লাখ ডলার। একইভাবে কম্বোডিয়া ১২৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করলেও মার্কিন কোষাগারে এর বিপরীতে আদায় করা হয়েছে ২১ কোটি ডলার। অথচ একই সময় ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র যথাক্রমে দুই হাজার ২৩০ কোটি ডলার ও তিন হাজার কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে মাত্র ১৮ কোটি ডলার করে শুল্ক প্রদান করেছে।
আর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম আমেরিকার হিসাব অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কম্বোডিয়াকে যে সহায়তা প্রদান করে, তার সাত গুণ বেশি শুল্ক হিসেবে আদায় করে। একইভাবে ২০০৮ সালে আমেরিকা থেকে পাওয়া প্রতি এক ডলার সহায়তার বিপরীতে আমেরিকায় পণ্য রপ্তানির জন্য চার ডলার করে শুল্ক দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ৩৭০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। আর ২০০৮ সালে এই আমদানির পরিমাণ ছিল ৩৭৪ কোটি ৮৪ লাখ ডলার।
পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, পাঁচ বছর পর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মোট বার্ষিক রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় হ্রাস পেল।
এর আগে ২০০০ সালের পর টানা তিন বছর আমেরিকায় বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় কমে গিয়েছিল। ২০০৪ সাল থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করে এবং ২০০৮ সাল পর্যন্ত তা বাড়ে।
গত বছর রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার পেছনে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়াকেই মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। মন্দাজনিত কারণে চাহিদা ও দাম কমে যাওয়া পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আমেরিকায় ৩৪১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা দেশটিতে মোট রপ্তানির প্রায় ৯৩ শতাংশ। আর ২০০৮ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানির মোট পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৩৮ কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের জন্য।
অবশ্য পণ্য রপ্তানি আয় হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি আমেরিকা থেকে পণ্য আমদানিও একই সময় কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ৪৬ কোটি ৮১ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। আর ২০০৯ সালে এই রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অর্থাত্ আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আমদানিব্যয় কিছুটা কমেছে।
আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় পণ্য-বাণিজ্যে ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে। ২০০৯ সালে পণ্য-বাণিজ্যে বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৩২৬ কোটি ৫১ লাখ ডলার। আর ২০০৮ সালে এই উদ্বৃত্ত ছিল ৩২৮ কোটি ডলার। অর্থাত্ বাণিজ্য উদ্বৃত্ত খানিকটা কমে গেছে।
অবশ্য সার্বিকভাবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যও গত বছর কমে গেছে। ২০০৮ সালে যেখানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল ৪২১ কোটি ৬৫ লাখ ডলার, ২০০৯ সালে তা কমে হয়েছে ৪১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের প্রায় সব পণ্যকেই উচ্চহারে আমদানিশুল্ক দিয়ে প্রবেশ করতে হয়।
বাংলাদেশি পণ্য আমেরিকার বাজারে প্রবেশ করতে গড়ে ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিতে হয় আর কম্বোডিয়ার পণ্যের ক্ষেত্রে দিতে হয় ১৭ শতাংশ। অথচ একই সময় ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এক শতাংশের কম হারে শুল্ক প্রদান করে।
ওয়াশিংটনডিসিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডেমোক্রেটিক লিডারশিপ কাউন্সিলের (ডিএলসি) তথ্যানুসারে, আমেরিকা ২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে ২৫৬ কোটি ডলারের পণ্য আমদানির বিপরীতে আমদানিশুল্ক বাবদ আমেরিকার আয় হয়েছে ৩৯ কোটি ২০ লাখ ডলার। একইভাবে কম্বোডিয়া ১২৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করলেও মার্কিন কোষাগারে এর বিপরীতে আদায় করা হয়েছে ২১ কোটি ডলার। অথচ একই সময় ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র যথাক্রমে দুই হাজার ২৩০ কোটি ডলার ও তিন হাজার কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে মাত্র ১৮ কোটি ডলার করে শুল্ক প্রদান করেছে।
আর আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম আমেরিকার হিসাব অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কম্বোডিয়াকে যে সহায়তা প্রদান করে, তার সাত গুণ বেশি শুল্ক হিসেবে আদায় করে। একইভাবে ২০০৮ সালে আমেরিকা থেকে পাওয়া প্রতি এক ডলার সহায়তার বিপরীতে আমেরিকায় পণ্য রপ্তানির জন্য চার ডলার করে শুল্ক দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
No comments