যাত্রীর লেখা চিঠিতে টাইটানিক ডোবার বিবরণ
উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল টাইটানিক জাহাজ ডুবে যাওয়ার সময় এক আরোহী লিখেছিলেন চিঠিটি। ওই চিঠিতে রয়েছে সেই দুর্ঘটনার রাতের আতঙ্ক ও বীরত্বের ‘অবিস্মরণীয় দৃশ্যাবলির’ প্রত্যক্ষ বিবরণ। ফরাসি ভাষায় লেখা চিঠিটির প্রেরক ছিলেন রোস অ্যামেলি ইকাহ নামের এক নারী। তিনি ১৯৫৫ সালের ৮ আগস্ট ওই চিঠি লিখেছিলেন। তত দিনে টাইটানিক দুর্ঘটনার অন্তত ৪৩ বছর পেরিয়ে গেছে। ডুবন্ত জাহাজ থেকে বেরিয়ে যাত্রীদের বাঁচার আকুতি, প্রাণপণ চেষ্টা এবং ‘চরম আতঙ্ক’ ও ‘মহিমান্বিত বীরত্বের’ বর্ণনা-সংবলিত ওই চিঠির প্রেরক লিখেছেন, দুর্ঘটনার ৪৩ বছর পরও তিনি দুঃস্বপ্ন দেখেন। ইকাহ ছিলেন টাইটানিকের যাত্রী ও বিত্তশালী মার্কিন নারী মার্থা স্টোনের পরিচারিকা। মার্থা ও ইকাহ একটি ছোট নৌকায় (লাইফবোট) চড়ে প্রাণে বাঁচেন।
পরে তাঁরা কার্পাথিয়া নামের একটি উদ্ধার-জাহাজে চড়ে নিউইয়র্কে পৌঁছান। ইকাহ সম্ভবত বেঁচে যাওয়া আরেক নারী যাত্রীর মেয়ের উদ্দেশে চিঠিটি লিখেছিলেন। নীল কালিতে লেখা ওই চিঠিতে প্রাপক নারীকে ‘মাদাম অসি’ সম্বোধন করা হয়। এ ছাড়া আরও কয়েকটি চিঠি লিখেন তিনি যা প্রায় দুই বছর আগে নিলামে তোলা হয়। ইকাহ লিখেন, ‘১১টার দিকে মিসেস মার্থা ও আমি শুয়ে পড়ি। প্রায় এক ঘণ্টা পর, যখন জাহাজটি পূর্ণ গতিতে চলছিল, আকস্মিক এক আঘাতে আমরা বিছানা থেকে পড়ে যাই।’ নিজেদের সামলে মার্থাকে পোশাক পরতে সহায়তা করেন ইকাহ। এরপর তাঁরা বাইরে বেরিয়ে যান। সেখানে আতঙ্ক ও বীরত্বের সমন্বয়ে অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। অনেক পুরুষ স্ত্রীকে লাইফবোটে তুলে নিজে ডুবন্ত জাহাজে রয়ে যান। আর লাইফবোটের যাত্রীদের সাহস জোগাতে নাবিকেরা প্রশস্তিগীতি গাইছিলেন। পিটিআই।
No comments