কেন্দ্রে ব্যালট পেপার সরবরাহ বন্ধে ভবন অবরোধ
থাইল্যান্ডে আগামীকাল রোববারের সাধারণ নির্বাচন বানচাল করতে বিরোধীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। ব্যালট পেপার সরবরাহ বন্ধের চেষ্টায় গতকাল শুক্রবার শত শত বিক্ষোভকারী বেশ কয়েকটি সরকারি ভবন অবরুদ্ধ করে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল ব্যাংককের একটি এবং দক্ষিণ থাইল্যান্ডের বেশ কয়েকটি সরকারি ভবন ঘেরাও করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। ব্যালট পেপার সরবরাহ ঠেকাতে ইতিমধ্যেই সারা দেশে ডাকঘরসহ অন্য অনেক সরকারি ভবন ঘেরাও করে রেখেছে তারা।
একজন নির্বাচন কমিশনার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বিক্ষোভকারীদের বাধার কারণে আগামীকাল হয়তো ১০ শতাংশ ভোটকেন্দ্র খোলাই যাবে না। প্রধানবিরোধী দল ডেমোক্র্যাট পার্টি নির্বাচন বয়কট করায় আগামীকাল ভোট গ্রহণ করা হলে ক্ষমতাসীন পুয়ে থাই পার্টি নিশ্চিতভাবে জয় লাভ করবে। বিরোধীরা এ নির্বাচন বানচালে অনড়। তারা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সংস্কার চাইছে। এর অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগেরও দাবি জানিয়ে আসছে বিরোধীরা। নভেম্বরে গণ-আন্দোলন শুরুর পর একপর্যায়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন ইংলাক। তবে পদত্যাগের দাবি পূরণ সম্ভব নয় বলে উড়িয়ে দেন। জবাবে বিরোধীরা নির্বাচন বয়কট করে। সেই সঙ্গে নির্বাচন বানচালে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়। ২২ জানুয়ারি রাজধানী ও আশপাশের কয়েকটি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। তবে বিক্ষোভ দমনে বল প্রয়োগ করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষোভকারীরা রাজধানীতে নতুন করে সমাবেশ শুরু করে। এ ছাড়া প্রায় এক মাস ধরে ব্যাংককের প্রধান প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে তারা।
সংবিধানের বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে কালকের ভোট অনুষ্ঠানের পক্ষে কঠোর অবস্থানে আছে সরকার। গত রোববার ব্যাংককে বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে ৫০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫টি কেন্দ্রেই আগাম ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা কাল মূল ভোটের দিনও ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেবে বলে আগেভাগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। এতে সহিংস ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গণ-আন্দোলনের নেতা সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী সুথেপ থাগসুবান বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, তাঁর সমর্থকেরা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেবেন না। গত রোববার আগাম ভোটের আগেও একই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন থাগসুবান। কিন্তু তাঁর সমর্থকেরা তা আমলে নেয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ভোটের দিন ব্যাংককে ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে। জরুরি অবস্থা তদারকির দায়িত্বে থাকা শ্রমমন্ত্রী চালের্ম ইউমবামরুং বলেছেন, সরকারবিরোধীরা সহিংসতায় জড়িয়ে পড়লে তা ঠেকানোর মতো পর্যাপ্ত লোকবল সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশের নেই। বিবিসি ও রয়টার্স।
No comments