ডেভিড ক্যামেরনকে ‘প্রচার কুশলী’ বলছে লেবার পার্টি
যুক্তরাজ্যে বহু সংস্কৃতিবাদ ও ইসলামি চরমপন্থীদের নিয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এসব মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনকে ‘প্রচার কুশলী’ বলে আখ্যা দিয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি।
লেবার পার্টির নেতা ও শ্যাডো জাস্টিস সেক্রেটারি সাদিক আমান খান প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের বক্তব্যকে ‘ইংলিশ ডিফেন্স লিগের (ইডিএল) লিখিত প্রচারণা’ বলে আখ্যা দেন। ইডিএল ইসলামবিরোধীদের একটি সংগঠন, যারা রাজপথে ইসলামের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। সাদিক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন যুক্তরাজ্যের ‘রাষ্ট্রীয় বহু সংস্কৃতিবাদের’ প্রতি আক্রমণ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, চরম ডানপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের যোগাযোগ রয়েছে।
লেবার পার্টির অন্য এমপিরাও প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের কঠোর সমালোচনা করেন। তাঁরা বলেন, লন্ডন থেকে ৩০ মাইল দূরে লুটনে ইডিএলের কর্মীরা যখন বিক্ষোভ করছে, তখন প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য ওই বিক্ষোভকারীদের উসকানি দেওয়ার শামিল। লেবার পার্টির এমপি গ্যাভিন সুকার বলেন, লুটনে ইডিএলের দেড় হাজার কর্মী বিক্ষোভ করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক হাজার ৮০০ কর্মী তাদের ঘিরে রেখেছে—এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের এমন বক্তব্য কাম্য নয়।
গ্যাভিন সুকার আরও বলেন, চরমপন্থী এক পক্ষ রাজপথে বিক্ষোভ করবে আর প্রধানমন্ত্রী আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলবেন, এটা হতে পারে না। সাধারণ মানুষ এতে নিরাপদবোধ করবে না।
লেবার পার্টির এমপিদের বক্তব্যের পাল্টা সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামরনের দল কনজারভেটিভ পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারোনেস ওয়ারসি। তিনি এমপি সাদিক খানের মন্তব্যকে ‘চরমপন্থীদের আসকারা দেওয়া’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এটা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ’।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্র জানায়, মিউনিখে দেওয়া বক্তব্যের বিরুদ্ধে সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
দ্য মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেনের নেতা ফয়সাল হাজরা বলেন, মুসলিমদের সমস্যার সমাধান না করে তাদের আপদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তাবিষয়ক সম্মেলনে গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন বলেন, যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বহু-সংস্কৃতিবাদের নীতি ব্যর্থ হয়েছে। দেশটিতে নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় দিক থেকে সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে নতুন নীতি গ্রহণ করার ইঙ্গিত দিয়ে আরও ‘সংহত স্বাধীনতাবাদ’ গ্রহণ করতে তিনি ব্রিটিশ জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। মূলধারার সংস্কৃতিতে না থাকার কারণেই তরুণ মুসলিমরা চরমপন্থী মতবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বক্তব্যে ইসলামি চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন।
গত বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ডেভিড ক্যামেরন। এরপর এই প্রথম বহু সংস্কৃতিবাদ ও ইসলামি চরমপন্থীদের নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন তিনি।
লেবার পার্টির নেতা ও শ্যাডো জাস্টিস সেক্রেটারি সাদিক আমান খান প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের বক্তব্যকে ‘ইংলিশ ডিফেন্স লিগের (ইডিএল) লিখিত প্রচারণা’ বলে আখ্যা দেন। ইডিএল ইসলামবিরোধীদের একটি সংগঠন, যারা রাজপথে ইসলামের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। সাদিক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন যুক্তরাজ্যের ‘রাষ্ট্রীয় বহু সংস্কৃতিবাদের’ প্রতি আক্রমণ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, চরম ডানপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের যোগাযোগ রয়েছে।
লেবার পার্টির অন্য এমপিরাও প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের কঠোর সমালোচনা করেন। তাঁরা বলেন, লন্ডন থেকে ৩০ মাইল দূরে লুটনে ইডিএলের কর্মীরা যখন বিক্ষোভ করছে, তখন প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য ওই বিক্ষোভকারীদের উসকানি দেওয়ার শামিল। লেবার পার্টির এমপি গ্যাভিন সুকার বলেন, লুটনে ইডিএলের দেড় হাজার কর্মী বিক্ষোভ করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক হাজার ৮০০ কর্মী তাদের ঘিরে রেখেছে—এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের এমন বক্তব্য কাম্য নয়।
গ্যাভিন সুকার আরও বলেন, চরমপন্থী এক পক্ষ রাজপথে বিক্ষোভ করবে আর প্রধানমন্ত্রী আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলবেন, এটা হতে পারে না। সাধারণ মানুষ এতে নিরাপদবোধ করবে না।
লেবার পার্টির এমপিদের বক্তব্যের পাল্টা সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামরনের দল কনজারভেটিভ পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারোনেস ওয়ারসি। তিনি এমপি সাদিক খানের মন্তব্যকে ‘চরমপন্থীদের আসকারা দেওয়া’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এটা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ’।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্র জানায়, মিউনিখে দেওয়া বক্তব্যের বিরুদ্ধে সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
দ্য মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেনের নেতা ফয়সাল হাজরা বলেন, মুসলিমদের সমস্যার সমাধান না করে তাদের আপদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তাবিষয়ক সম্মেলনে গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন বলেন, যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বহু-সংস্কৃতিবাদের নীতি ব্যর্থ হয়েছে। দেশটিতে নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় দিক থেকে সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে নতুন নীতি গ্রহণ করার ইঙ্গিত দিয়ে আরও ‘সংহত স্বাধীনতাবাদ’ গ্রহণ করতে তিনি ব্রিটিশ জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। মূলধারার সংস্কৃতিতে না থাকার কারণেই তরুণ মুসলিমরা চরমপন্থী মতবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বক্তব্যে ইসলামি চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন।
গত বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ডেভিড ক্যামেরন। এরপর এই প্রথম বহু সংস্কৃতিবাদ ও ইসলামি চরমপন্থীদের নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন তিনি।
No comments