ইতালিতে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জীবন শুরু করার চেষ্টা
ভূমিকম্প আঘাত হানার পর একদিকে স্বজন হারানোর শোক; অন্যদিকে শঙ্কা ও অনিশ্চয়তা। এই নিয়ে এই দুই ইতালীয় নারীর মতো অনেকেই ঠাঁই নিয়েছেন একটি আশ্রয়কেন্দ্রে। গতকালের ছবি। রয়টার্স |
ইতালির মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২৫০-এ গিয়ে ঠেকেছে। ভূমিকম্পে গুঁড়িয়ে যাওয়া পাহাড়ি গ্রামগুলোর ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে আরও মৃতদেহ পাওয়ার আশঙ্কা করছিলেন উদ্ধারকারীরা। এর মধ্যেই চলছে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করার চেষ্টা। ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে কতজনকে জীবিত উদ্ধার করা যাবে, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন উদ্ধারকারীরা। ভূমিকম্পের পর গৃহহারা হাজার হাজার মানুষ তাঁবুতে এমনকি নিজেদের গাড়িতে রাত কাটিয়েছে। অনেকেই বাড়িঘর হারিয়ে কাছের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। বুধবারের ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের পর ৪ দশমিক ৫ মাত্রার পরাঘাত অনুভূত হয় বিভিন্ন জায়গায়।
ইতালির সরকারি সিভিল প্রটেকশন নেটওয়ার্ক বলছে, গতকাল পর্যন্ত গুরুতর অবস্থায় ২৬৪ জন মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা জীবিত আর কাউকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে অনেকেই ২০০৯ সালের ভূমিকম্পের সময়ের কথা স্মরণ করেন। সেবার ৭২ ঘণ্টা পরও মানুষকে জীবিত পাওয়া গিয়েছিল। ধ্বংসস্তূপ থেকে গতকাল উদ্ধার করা হয়েছে স্কুলপড়ুয়া ছোট এক মেয়েশিশুকে। ভূমিকম্পের প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার পেসকারা দেল ত্রন্তো গ্রাম থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। মেয়েটির বয়স ১০-এর কম হবে। উদ্ধারকারীদের একজন বলেন, তিনি ১৭ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছিলেন। একপর্যায়ে শুনতে পান মৃদু শব্দ। সেখানে কিছু ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে দেখতে পান ছোট দুটি পা।
প্রবল ভূমিকম্প প্রত্যন্ত অনেক গ্রামে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। পরিণত করেছে ভুতুড়ে গ্রামে। এমনই একটি জায়গা আরকুয়েতা। এর মেয়র আলেন্দ্রো পেত্রুসি বলেন, ‘আমরা যদি কোনো সহায়তা না পাই তবে আরকুয়েতা একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে।’ শুধু এ গ্রাম থেকেই ৫৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আরকুয়েতার ১৫টি এলাকায় ঠিক কত মানুষ বসবাস করত, তার হিসাব আসলে নেই। শীতকালে এসব গ্রাম একেবারে জনশূন্য হয়ে যায়।’ এই ধ্বংস, মৃত্যু, ভীতির মধ্যেও ধ্বংস হয়ে যাওয়া জনপদগুলো নতুন করে গড়ে তোলার কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি গতকাল এক জরুরি বৈঠকের পর বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এখন সবকিছু গড়ে তোলা। নতুন করে শুরু করা।’
ইতালির সরকারি সিভিল প্রটেকশন নেটওয়ার্ক বলছে, গতকাল পর্যন্ত গুরুতর অবস্থায় ২৬৪ জন মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা জীবিত আর কাউকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। তবে অনেকেই ২০০৯ সালের ভূমিকম্পের সময়ের কথা স্মরণ করেন। সেবার ৭২ ঘণ্টা পরও মানুষকে জীবিত পাওয়া গিয়েছিল। ধ্বংসস্তূপ থেকে গতকাল উদ্ধার করা হয়েছে স্কুলপড়ুয়া ছোট এক মেয়েশিশুকে। ভূমিকম্পের প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর গতকাল বৃহস্পতিবার পেসকারা দেল ত্রন্তো গ্রাম থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। মেয়েটির বয়স ১০-এর কম হবে। উদ্ধারকারীদের একজন বলেন, তিনি ১৭ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছিলেন। একপর্যায়ে শুনতে পান মৃদু শব্দ। সেখানে কিছু ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে দেখতে পান ছোট দুটি পা।
প্রবল ভূমিকম্প প্রত্যন্ত অনেক গ্রামে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। পরিণত করেছে ভুতুড়ে গ্রামে। এমনই একটি জায়গা আরকুয়েতা। এর মেয়র আলেন্দ্রো পেত্রুসি বলেন, ‘আমরা যদি কোনো সহায়তা না পাই তবে আরকুয়েতা একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে।’ শুধু এ গ্রাম থেকেই ৫৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আরকুয়েতার ১৫টি এলাকায় ঠিক কত মানুষ বসবাস করত, তার হিসাব আসলে নেই। শীতকালে এসব গ্রাম একেবারে জনশূন্য হয়ে যায়।’ এই ধ্বংস, মৃত্যু, ভীতির মধ্যেও ধ্বংস হয়ে যাওয়া জনপদগুলো নতুন করে গড়ে তোলার কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি গতকাল এক জরুরি বৈঠকের পর বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এখন সবকিছু গড়ে তোলা। নতুন করে শুরু করা।’
No comments