কড়া পদক্ষেপ নিন, রোগীদের হয়রানি দূর করুন
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে এখন দালালদের দৌরাত্ম্য। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা দালালদের হাতে নানাভাবে নাজেহাল হচ্ছেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে এখনো কড়া কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বুধবার প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, হাসপাতালটির চিকিৎসাসেবা কিছু দালালের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। রোগী ও তাঁদের স্বজনদের কাছে নিজেদের হাসপাতালের কর্মী পরিচয় দিয়ে ভর্তি, শয্যা পেতে এবং রোগ পরীক্ষাসহ নানা কাজে সহযোগিতার কথা বলে হাতিয়ে নেন টাকা। অনেক সময় বকশিশ নিয়ে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের হয়রানিও করেন তাঁরা। কম দামে ওষুধ কিনে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে আর ফিরে আসেন না অনেক দালাল। হাসপাতালটি কাগজে-কলমে ২৫০ শয্যার হলেও চলছে ১০০ শয্যার অবকাঠামো ও সরঞ্জামাদি নিয়ে। অথচ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৩০০ রোগী ভর্তি থাকেন।
বোঝা যায় দুর্বল অবকাঠামো ও জনবলসংকটে দালালেরা রোগীদের হয়রানি করার সুযোগ পাচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নানা পদক্ষেপ নিয়েও হাসপাতালকে দালালমুক্ত করা যাচ্ছে না। একটি সরকারি হাসপাতালের এমন চিত্র মেনে নেওয়া যায় না। দালালেরা প্রকাশ্যে তাঁদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন, অথচ তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে না পারার কারণটি বোধগম্য নয়। গত শনিবার দালালবিরোধী এক অভিযানে মাত্র দুজন দালালকে আটক করে পুলিশ। নিয়মিত নজরদারি থাকলে দালালদের ঠেকানো কঠিন হওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া হাসপাতালে ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব দূর করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ জরুরি। হাসপাতালের লোকজনের সঙ্গে দালালদের যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা আশা করব, হাসপাতালটিকে দালালদের দৌরাত্ম্য থেকে মুক্ত করাসহ হাসপাতালটির সমস্যা সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ ও রোগীদের দুর্ভোগ দূর করার সব উদ্যোগ নেওয়া হবে।
No comments